নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি রেল পথ সংযোগের স্থাপন কাজ শেষে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের একটি রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে চিলাহাটি রেল স্টেশন হতে রেলের বিশেষজ্ঞ দল একটি ইঞ্জিন নিয়ে ভারত সীমান্ত ছুয়ে থেমে যায়। সেখানে ভারতের একটি বিশেষজ্ঞ দল উপস্থিত ছিল। এর আগে গত ৮ অক্টোবর সকাল ১১ টার দিকে ভারতের রেলওয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি রেল ইঞ্জিন বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল করে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞ দল নতুন পাতানো রেল লাইনের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে ঐক্যমত হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উৎযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। ৫৫ বছর পর আবারো এ রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের নব দিগন্তের সুচনা হবে।
বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষে ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো: শাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম। আর ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী জেপি শিং, উপ-প্রধান প্রকৌশলী ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে।
এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজার রহমানসহ রেলওয়ের কর্মকর্তা ও বিজিবি’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রি ও মালবাহি ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর