মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ধর্মচাকী গ্রামের মধ্যে দিয়ে চোখতোলা রাস্তার কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তাটি প্রথম থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।সেখানে ২নংও ৩নং ইটের খোয়া ও মাটি মেশানো বালি ব্যবহার করা হয়েছে।
রাস্তার পার্শে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দেখা গেছে নিন্মমানের খোয়া ও মাটি মেশানো বালি ব্যবহার করা হয়েছে।বর্তমানে রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে বিটুমিন কম দেওয়ার কারণে ১২ঘন্টা পার হতে না হতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খোয়া উঠতে শুরু করে।এঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) গোলাপ আলী শেখ এর নির্দেশে পূনরায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে সংস্কার শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
চোখতোলা ধর্মচাকী ১৫০০মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।এছাড়াও গাংনী উপজেলার করমদী সন্ধানী হয়ে তেতঁলবাড়িয়া বারিশাহ মোড় পর্যন্ত ৩৯শ”৩৫মিটার রাস্তা রিপিয়ারিং এর জন্য ৯৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী। সেখানে কাজ শুরুর আগে রাস্তার পার্শে মাটি ভরাটে অনিয়ম শুরু করেছে ভেড়ামারা মেসার্স মঙ্গল কনষ্ট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।স্থানীয়রা জানান,মঙ্গল কনষ্ট্রাকশন কাজ না করে স্থানীয় ঠিকাদার মকলেছুর রহমানকে দিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন।রাস্তার পাশের বাড়ীর উঠানের মাটি কেটে ও সার গর্তের মাটি দিয়ে রাস্তার পাড় ভরাট করার অভিযোগ করেছে গ্রামবাসি।এলাকাবাসীর অভিযোগ,ঠিকাদার গাংনী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বিটুমিন কম দিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করেন।প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কেউ তা কর্ণপাত করেননি।গত বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শেষের মাত্র ১২ঘন্টার মাথায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
রাস্তা নির্মানে অনিয়ম হলে আজ শনিবার বিকেলে কাজের সাইডে দেখা গেছে নির্মাণ কৃত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে সংস্কার করছেন ঠিকাদার। সৈনিক লীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া বলেন,কাজটি করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার মকলেছুর রহমান।রাস্তাটি পাইলিং এজিংয়ের সময় রাস্তার পার্শে আড়াই ইঞ্চি দূরে দূরে ইট দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও ২নংও ৩নং ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটিতে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে ।বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহার করার কারণে ১২ঘন্টা পার হতে না হতে খোয়া উঠতে শুরু করেছে।রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলেও উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ কাজ তদারকী না করে অফিসে বসে থাকেন।এ কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলে বলেন,ঠিকাদার মকলেছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি নির্মাণ করছেন। সে রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা করেছে।
বর্তমানে কার্পেটিংয়ে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহার করছে।ফলে রাস্তার খোয়া উঠতে শুরু করেছে।গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ যোগদান করার পর থেকে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা নির্মানে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।বিষয়টি এলাকাবাসী এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।এনিয়ে ঠিকাদার মখলেছুর রহমান জানান,কাজ খারাপ করা হয়নি।বিটুমিনের চেয়ে মবিলের দাম বেশী।তাই বিটুমিন কম দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ সঠিক না।
অন্যান্য জায়গার তুলনায় কাজ ভাল হচ্ছে। এব্যাপারে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান,রাস্তায় বিটুমিনের পরিমাণ কম দেয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে শুক্রবার আমি কাজের সাইডে যেতে পারিনি শনিবার সকালে আমি গিয়েছিলাম।কোন কোন জায়গায় কিছুটা খারাপ ছিল। আমি আমার স্টাফকে নির্দেশনা দিয়েছি।এখন থেকে আর রাস্তার কাজ নিন্মমানের হবে না।তিনি আরো বলেন,তেতঁলবাড়িয়া রাস্তার রিপিয়ারিং এর কাজ শুরু হয়নি। রাস্তার পাশে মাটি ভরাট শুরু হয়েছে।অমি শুনেছি মানুষের বাড়ীর উঠান কেটে রাস্তা ভরাট করেছে।ঘটনাস্থালে গিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















