০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

করোনায় একদিনে লন্ডনপ্রবাসী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবুল লেইছ মিয়া এবং তার বড় ভাই কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আকদ্দুস আলী মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বড় ভাই আকদ্দুস আলী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রয়েল লন্ডন হসপিটালে ইন্তেকাল করেন এবং এর ১০ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় নিজ ঘরে মৃত্যুবরণ করেন ছোটভাই আবুল লেইস মিয়া। তিনিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তাদের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।

মরহুম আবুল লেইস লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি ৩ ছেলে ২ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তিনি নিউহ্যামে বসবাস করতেন। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসশী গ্রামে তার আদি বাড়ি।

সদ্য প্রয়াত আবুল লেইস মিয়া একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগ্রহে একজন তরুণ সংগঠক হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত ও তহবিল সংগ্রহে মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন অন্যতম শীর্ষ সংগঠক গৌস খানের সঙ্গে ওই সময় তিনি সারা ব্রিটেন চষে বেড়ান। ট্রাফালগার স্কোয়ারসহ ব্রিটেনের প্রতিটি বড় বড় ক্যাম্পেইন সমাবেশে আবুল লেইস মিয়ার ছিল সরব উপস্থিতি। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তার ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতাই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাকে তৎকালীন সিনিয়র নেতাদের নজরে নিয়ে আসে।

ট্যাগ :

করোনায় একদিনে লন্ডনপ্রবাসী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৯:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবুল লেইছ মিয়া এবং তার বড় ভাই কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আকদ্দুস আলী মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বড় ভাই আকদ্দুস আলী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রয়েল লন্ডন হসপিটালে ইন্তেকাল করেন এবং এর ১০ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় নিজ ঘরে মৃত্যুবরণ করেন ছোটভাই আবুল লেইস মিয়া। তিনিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তাদের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।

মরহুম আবুল লেইস লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি ৩ ছেলে ২ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তিনি নিউহ্যামে বসবাস করতেন। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসশী গ্রামে তার আদি বাড়ি।

সদ্য প্রয়াত আবুল লেইস মিয়া একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগ্রহে একজন তরুণ সংগঠক হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত ও তহবিল সংগ্রহে মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন অন্যতম শীর্ষ সংগঠক গৌস খানের সঙ্গে ওই সময় তিনি সারা ব্রিটেন চষে বেড়ান। ট্রাফালগার স্কোয়ারসহ ব্রিটেনের প্রতিটি বড় বড় ক্যাম্পেইন সমাবেশে আবুল লেইস মিয়ার ছিল সরব উপস্থিতি। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তার ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতাই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাকে তৎকালীন সিনিয়র নেতাদের নজরে নিয়ে আসে।