০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে: তথ্যমন্ত্রী

 করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক এর গবেষণাগারে করোনা ভাইরাসের সিঙ্গেল-ডোজ ভ্যাকসিন আবিস্কারক দলের প্রধান দুই বৈজ্ঞানিক কাকন নাগ এবং নাজনীন সুলতানার সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হলেন তখন অনেকেই আশঙ্কা করে বলেছিলো আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবো না। সরকার ঘোষণা করেছিলো জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন আসবে। সেই সময়েই ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। যখন ভ্যাকসিন আসলো তখন অপপ্রচার শুরু করা হলো, এই ভ্যাকসিন জনগণ নেবে না, এটার ওপর তাদের আস্থা নেই। পাশাপাশি প্রথমে এমপি মন্ত্রীদের নেয়ার কথা বলা হলো। এখন ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে। এটিই মনে হচ্ছে আজকে। সেটির সঙ্গে আজকে যুক্ত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে ও নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গবেষণা করেছেন এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। মুজিববর্ষের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন পরিপূর্ণভাবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারবে বলে আশা করছেন তারা। আমিও আশা করছি এই ভ্যাকসিন খুব সহসাই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জনগণকে দিতে সক্ষম হবো। আমি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সরকার এক্ষেত্রে সবদিক থেকে সহায়তা করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকেই মনে করেছিলো করোনা শুরুতে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে থাকবে বলে আশঙ্কা করেছিলো। বিএনপি জামায়াতসহ কিছু বুদ্ধিজীবী এই আশঙ্কা করেছিলো। এর সঙ্গে কিছু বিদেশি মিডিয়াও সুর মিলিয়েছিলো। পরবর্তিতে তারা আরও আশঙ্কা করেছিলো এই মহামারি সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষ অনাহারে মৃত্যু বরণ করবে। আজকে প্রায় এক বছর হতে চললো করোনা মহামারি বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু একজন মানুষও অভুক্ত থাকেনি আর মৃত্যুবরণতো দূরের কথা। সরকার সাত কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে সারা দেশের প্রতিটি জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। জনগণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। আগামী ৭ তারিখে দেশব্যাপী এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ উদ্বোধন করা হবে। করোনা ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এর বৈজ্ঞানিক ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা একটি মৌলিক গবেষণা করে বঙ্গভ্যাক্স নামে একটি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) লিস্টেট করেছেন যা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। উপমহাদেশে আমরা দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। পৃথিবীতে খুব বেশি দেশ এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এজন্য আমি খুব গর্বিত অনুভব করছি। কাকন নাগ ও নাজনিন সুলতানার এই সাফল্যে আমিসহ সারা বাংলাদেশ গর্বিত। হাছান মাহমুদ বলেন, এটা একটা সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন। বিশ্বে আবিষ্কৃত বেশির ভাগই হচ্ছে ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন। বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিন একবার নিলেই হয়ে যাবে। এটি একটি বড় দিক এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। আমি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন আমরা এই বঙ্গভ্যাক্স আমরা আমাদের জনগণের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবো। সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সময় আমরা প্রয়োজনে অন্যদেশকেও সহায়তা করতে পারবো। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, সাবেক মুখ্যসচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২:০০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

 করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক এর গবেষণাগারে করোনা ভাইরাসের সিঙ্গেল-ডোজ ভ্যাকসিন আবিস্কারক দলের প্রধান দুই বৈজ্ঞানিক কাকন নাগ এবং নাজনীন সুলতানার সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হলেন তখন অনেকেই আশঙ্কা করে বলেছিলো আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবো না। সরকার ঘোষণা করেছিলো জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন আসবে। সেই সময়েই ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। যখন ভ্যাকসিন আসলো তখন অপপ্রচার শুরু করা হলো, এই ভ্যাকসিন জনগণ নেবে না, এটার ওপর তাদের আস্থা নেই। পাশাপাশি প্রথমে এমপি মন্ত্রীদের নেয়ার কথা বলা হলো। এখন ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে। এটিই মনে হচ্ছে আজকে। সেটির সঙ্গে আজকে যুক্ত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে ও নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে গবেষণা করেছেন এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। মুজিববর্ষের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন পরিপূর্ণভাবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারবে বলে আশা করছেন তারা। আমিও আশা করছি এই ভ্যাকসিন খুব সহসাই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জনগণকে দিতে সক্ষম হবো। আমি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সরকার এক্ষেত্রে সবদিক থেকে সহায়তা করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকেই মনে করেছিলো করোনা শুরুতে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে থাকবে বলে আশঙ্কা করেছিলো। বিএনপি জামায়াতসহ কিছু বুদ্ধিজীবী এই আশঙ্কা করেছিলো। এর সঙ্গে কিছু বিদেশি মিডিয়াও সুর মিলিয়েছিলো। পরবর্তিতে তারা আরও আশঙ্কা করেছিলো এই মহামারি সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষ অনাহারে মৃত্যু বরণ করবে। আজকে প্রায় এক বছর হতে চললো করোনা মহামারি বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু একজন মানুষও অভুক্ত থাকেনি আর মৃত্যুবরণতো দূরের কথা। সরকার সাত কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে সারা দেশের প্রতিটি জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। জনগণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। আগামী ৭ তারিখে দেশব্যাপী এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ উদ্বোধন করা হবে। করোনা ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এর বৈজ্ঞানিক ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা একটি মৌলিক গবেষণা করে বঙ্গভ্যাক্স নামে একটি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) লিস্টেট করেছেন যা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। উপমহাদেশে আমরা দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। পৃথিবীতে খুব বেশি দেশ এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এজন্য আমি খুব গর্বিত অনুভব করছি। কাকন নাগ ও নাজনিন সুলতানার এই সাফল্যে আমিসহ সারা বাংলাদেশ গর্বিত। হাছান মাহমুদ বলেন, এটা একটা সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন। বিশ্বে আবিষ্কৃত বেশির ভাগই হচ্ছে ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন। বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিন একবার নিলেই হয়ে যাবে। এটি একটি বড় দিক এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। আমি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন আমরা এই বঙ্গভ্যাক্স আমরা আমাদের জনগণের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবো। সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সময় আমরা প্রয়োজনে অন্যদেশকেও সহায়তা করতে পারবো। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, সাবেক মুখ্যসচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।