০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিদিন ঢাকায় পৌঁছাবে ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি

‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা’র গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গন্ধর্বপুর প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সারফেস ওয়াটার’ বা নদীর পানিকে পরিশোধন করে রাজধানীবাসীর জন্য উপযোগী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’র মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানীসহ আশপাশের মোট আটটি এলাকায় এই পরিশোধিত পানি সরবরাহ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় পৌঁছাবে। রাজধানীর পানির দামের ব্যাপারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি। তুলনামূলক কম উন্নত এলাকায় অনেক সুবিধা নেই। আবার নগরের উচ্চবিত্ত ও উচ্চ আয়ের মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি, দরিদ্র মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ কম। তাই সকল এলাকায় পানির দাম একই থাকা যৌক্তিক নয়। গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগারের নির্মাণের সময়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রকল্পের কাজ চলেছে। আমি নিজেসহ মন্ত্রণালয়ের সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য দিনরাত প্রকল্পের কাজও হচ্ছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। প্রকল্প ব্যয় সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ২০১৩ সালে নেয়া প্রকল্প ২০২০ সালে পৌঁছে গেছে। এসময়ের মধ্যে অনেক জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। এক্ষেত্রে কাল ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু, গাছেই ঝুলছিল ম’র’দে’হ

প্রতিদিন ঢাকায় পৌঁছাবে ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি

প্রকাশিত : ১২:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা’র গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গন্ধর্বপুর প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সারফেস ওয়াটার’ বা নদীর পানিকে পরিশোধন করে রাজধানীবাসীর জন্য উপযোগী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’র মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানীসহ আশপাশের মোট আটটি এলাকায় এই পরিশোধিত পানি সরবরাহ করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় পৌঁছাবে। রাজধানীর পানির দামের ব্যাপারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি। তুলনামূলক কম উন্নত এলাকায় অনেক সুবিধা নেই। আবার নগরের উচ্চবিত্ত ও উচ্চ আয়ের মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি, দরিদ্র মানুষের ট্যাক্সের পরিমাণ কম। তাই সকল এলাকায় পানির দাম একই থাকা যৌক্তিক নয়। গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগারের নির্মাণের সময়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রকল্পের কাজ চলেছে। আমি নিজেসহ মন্ত্রণালয়ের সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য দিনরাত প্রকল্পের কাজও হচ্ছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। প্রকল্প ব্যয় সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ২০১৩ সালে নেয়া প্রকল্প ২০২০ সালে পৌঁছে গেছে। এসময়ের মধ্যে অনেক জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। এক্ষেত্রে কাল ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।