চুল পড়বেই এটা স্বাভাবিক। যার জন্ম আছে তার মৃত্যু আছে। আমাদের চুল সাধারণত ১ হাজার ১শত ১০ দিন বাঁচে। তারপর মারা যায়। আমরা যদি মাথার চুল দিয়ে শুরু করি। আমাদের মাথায় গড়ে ১ লক্ষ চুল আছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ চুল গজায় এবং ১০০ থেকে ১৫০ চুল পড়ে যায়। এটা নরমাল।
নানা কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন- পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রোডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজিজ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, অ্যানিমিয়া প্রভৃতি।
চুল পড়া কমানো ও বন্ধের উপায় সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিষয়ক বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট নিয়মিত প্রতিবেদন করে থাকে। সেই আলোকে চুল পড়া কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে দেওয়া হলো-
মাথার ত্বক বুঝে শ্যাম্পু করতে হবে। ত্বক শুষ্ক হলে শ্যাম্পু কম করাই ভালো। মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে সপ্তাহে দু-তিনবার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। শ্যাম্পু বেশিক্ষণ মাথায় দিয়ে রাখা ঠিক না। এতে চুল নরম হয়ে পড়তে পারে।
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে, চুলও কম পড়ে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন কম থাকায় অনেক সময় চুল ঝড়ে পড়ে। রক্তসঞ্চালন বাড়াতে তেল ব্যবহারের বিকল্প নেই। আপনার মাথার ত্বকের সঙ্গে মানানসই এরকম তেল সপ্তাহে অন্তত একবার মাথায় দিন। তেল ব্যবহারের দুই ঘন্টা ‘শাওয়ার ক্যাপ’ পরে থাকুন। তার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সব কন্ডিশনার চুলে ব্যবহার করা যাবে না। উন্নত কন্ডিশনার চুলের জন্য উপকারী। এতে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড ক্ষয় পূরণ করে চুলকে মসৃণ করে তোলে।
যতই যত্ন নিন যদি খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার না রাখেন, তবে চুল ধরে রাখা কঠিন হবে। তাই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও লৌহ ধরনের খাবার রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে চুলের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।
চুল বড় হলে আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুলের আগা ছেঁটে ফেলতে হবে।
চুল রঙ করা, স্ট্রেট করা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি বয়ে আনে। এ ছাড়া ভেজা চুলে ‘ব্লো ড্রায়ার’, ‘কার্লিং রড’ ব্যবহার ঠিক নয়। এগুলো চুলের ভেজাভাব শুষে নেয় ও ভঙ্গুরতা সৃষ্টি করে।