০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কলাবাগানে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বাড়ির মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর কলাবাগানে সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক নারী শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলেসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের পরিবার।

সোমবার (১ মার্চ) রাতে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামাল মোস্তফা খান শামীম নিজে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিনদিন পর তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

সোমবার রাতে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ   মামলার  বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‌‘নিহতের পরিবার মামলা করেছে। ঘটনা তদন্ত করছি।’

নিহত শিক্ষার্থীর ফুপা মো. মোসাব্বির হোসেন সোমবার রাতে বলেন, ‘বাড়ির মালিকের ছেলে ফায়জারসহ কয়েকজনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় সোমবার রাতেই আমরা মামলা করেছি।’

জানা যায়, কলাবাগানের গ্রিনরোডের ওই ভবনের চার তলায় থাকেন ব্যবসায়ী শামীম। তার মেয়ে মৌমিতা পড়াশোনা করতেন মালেয়শিয়ায়। ঢাকায় এসেছিলেন পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে।

এর আগে নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল সাত তলা ভবনের মালিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের ছেলে ও তার বন্ধু।

গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডির কলাবাগানের সাত তলা ভবনের ছাদে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যার দিকে ভবনের পেছনের গলিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণ বা বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানতে রক্ত, ভিসেরা ও সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে তাকে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কলাবাগানে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বাড়ির মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ০৯:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

রাজধানীর কলাবাগানে সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক নারী শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলেসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের পরিবার।

সোমবার (১ মার্চ) রাতে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামাল মোস্তফা খান শামীম নিজে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিনদিন পর তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

সোমবার রাতে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ   মামলার  বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‌‘নিহতের পরিবার মামলা করেছে। ঘটনা তদন্ত করছি।’

নিহত শিক্ষার্থীর ফুপা মো. মোসাব্বির হোসেন সোমবার রাতে বলেন, ‘বাড়ির মালিকের ছেলে ফায়জারসহ কয়েকজনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় সোমবার রাতেই আমরা মামলা করেছি।’

জানা যায়, কলাবাগানের গ্রিনরোডের ওই ভবনের চার তলায় থাকেন ব্যবসায়ী শামীম। তার মেয়ে মৌমিতা পড়াশোনা করতেন মালেয়শিয়ায়। ঢাকায় এসেছিলেন পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে।

এর আগে নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল সাত তলা ভবনের মালিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের ছেলে ও তার বন্ধু।

গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডির কলাবাগানের সাত তলা ভবনের ছাদে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যার দিকে ভবনের পেছনের গলিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণ বা বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানতে রক্ত, ভিসেরা ও সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে তাকে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।