০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

প্রস্তুত হচ্ছে আরও ৪৪ হাজার ঘর

  • শেখ লিমন
  • প্রকাশিত : ১২:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • 48

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে ঘর-জমি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় গত ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার ১৮৯ ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে আরও ৪৪ হাজার ১০৮টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ সহনীয় ঘর ৩০ হাজার ১৮২টি। ৭ এপ্রিলের মধ্যে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে, ঘর নির্মাণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে দুই শতাংশ খাস জমির ব্যবস্থা করে একক গৃহনির্মাণ কাজ করতে হবে, আশ্রায়ন-২ প্রকল্প থেকে অনুমোদিত নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে টেকসই দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর দেওয়া নীতিমালা-২০২০’ অনুসরণ করতে হবে।
শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে- নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রকল্প বাতিল করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বরাদ্দ হওয়া অর্থ ফেরত নেওয়াসহ প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রচলিত নিয়মে প্রকল্প কাজের ভাউচার বা মাস্টার রোল নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণে ঘরপ্রতি বরাদ্দও বেড়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার তা বাড়িয়ে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৯৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন করে ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন ভুল বা অনিয়ম না হয়, সেজন্য মাঠ প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। দেশের সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, যাচাই-বাছাই করে গৃহহীনদের তালিকা করতে হবে। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা যোগ্য নন, তারা যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন। নির্মাণকাজ চলাকালে বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ অনুপাত সঠিকভাবে হতে হবে। জমির মালিকানা রয়েছে এমন কেউ চলমান গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আসবে না। সংশোধিত নকশা অবশ্যই মানতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সব সদস্যকে নির্মাণকাজ তদারকিতে থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই উপকারভোগীর কাছ থেকে কোনো ধরনের খরচের টাকা নেওয়া যাবে না। এমনকি পরিবহন বাবদ যদি কোনো টাকা খরচ হয়, সেই টাকাও নেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঘর নির্মাণের সময় গুণগত মান নিশ্চিত করতে কোনো আপস করা যাবে না। কাঠ, টিন, ইট, বালু ও সিমেন্টের গুণগত মান নিশ্চিত করে ঘর নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে। জমির মালিকানা রয়েছে এমন কেউ চলমান গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় যাতে না ঢুকতে পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারির কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

প্রস্তুত হচ্ছে আরও ৪৪ হাজার ঘর

প্রকাশিত : ১২:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে ঘর-জমি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় গত ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার ১৮৯ ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে আরও ৪৪ হাজার ১০৮টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ সহনীয় ঘর ৩০ হাজার ১৮২টি। ৭ এপ্রিলের মধ্যে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে, ঘর নির্মাণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে দুই শতাংশ খাস জমির ব্যবস্থা করে একক গৃহনির্মাণ কাজ করতে হবে, আশ্রায়ন-২ প্রকল্প থেকে অনুমোদিত নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে টেকসই দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর দেওয়া নীতিমালা-২০২০’ অনুসরণ করতে হবে।
শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে- নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রকল্প বাতিল করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বরাদ্দ হওয়া অর্থ ফেরত নেওয়াসহ প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রচলিত নিয়মে প্রকল্প কাজের ভাউচার বা মাস্টার রোল নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণে ঘরপ্রতি বরাদ্দও বেড়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার তা বাড়িয়ে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৯৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন করে ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন ভুল বা অনিয়ম না হয়, সেজন্য মাঠ প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। দেশের সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, যাচাই-বাছাই করে গৃহহীনদের তালিকা করতে হবে। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা যোগ্য নন, তারা যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন। নির্মাণকাজ চলাকালে বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ অনুপাত সঠিকভাবে হতে হবে। জমির মালিকানা রয়েছে এমন কেউ চলমান গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আসবে না। সংশোধিত নকশা অবশ্যই মানতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সব সদস্যকে নির্মাণকাজ তদারকিতে থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই উপকারভোগীর কাছ থেকে কোনো ধরনের খরচের টাকা নেওয়া যাবে না। এমনকি পরিবহন বাবদ যদি কোনো টাকা খরচ হয়, সেই টাকাও নেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঘর নির্মাণের সময় গুণগত মান নিশ্চিত করতে কোনো আপস করা যাবে না। কাঠ, টিন, ইট, বালু ও সিমেন্টের গুণগত মান নিশ্চিত করে ঘর নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে। জমির মালিকানা রয়েছে এমন কেউ চলমান গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় যাতে না ঢুকতে পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারির কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।