১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

এ কে এম বজলুর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীকে আসওয়াত আকসির মুজিব ওয়াসির শুভেচ্ছা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ এর জন্য মনোনীত (মরণোত্তর) হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও এ কে এম বজলুর রহমানের দৌহিত্র আসওয়াত আকসির মুজিব ওয়াসি।
উল্লেখ্য, এ কে এম বজলুর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ও সংগঠক হিসেবে একই সঙ্গে তৎকালীন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের যোদ্ধা। বারবার জেল খেটেছেন, মাথায় হুলিয়া নিয়ে ফেরারী ছিলেন, অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছেন। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এ কে এম বজলুর রহমান। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। ১৯৫৪ সালে নরসিংদীর রায়পুরায় যুক্তফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পান এ কে বজলুর রহমানকে। সেই সময় তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ সনে এ কে এম বজলুর রহমান নারায়ণগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছয় দফার পক্ষে আন্দোলন জোরদার করেন।
এ কে এম বজলুর রহমান ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ এর পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে ঝাঁপিয়ে পড়েন সম্মুখ সমরে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর এ কে এম বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে ক্যান্টনম্যান্টে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। কিছুদিন পরেই পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৮৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ও সহচর এ কে এম বজলুর রহমান।

ট্যাগ :

এ কে এম বজলুর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীকে আসওয়াত আকসির মুজিব ওয়াসির শুভেচ্ছা

প্রকাশিত : ০৯:১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ এর জন্য মনোনীত (মরণোত্তর) হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও এ কে এম বজলুর রহমানের দৌহিত্র আসওয়াত আকসির মুজিব ওয়াসি।
উল্লেখ্য, এ কে এম বজলুর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ও সংগঠক হিসেবে একই সঙ্গে তৎকালীন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের যোদ্ধা। বারবার জেল খেটেছেন, মাথায় হুলিয়া নিয়ে ফেরারী ছিলেন, অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছেন। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এ কে এম বজলুর রহমান। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। ১৯৫৪ সালে নরসিংদীর রায়পুরায় যুক্তফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পান এ কে বজলুর রহমানকে। সেই সময় তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ সনে এ কে এম বজলুর রহমান নারায়ণগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছয় দফার পক্ষে আন্দোলন জোরদার করেন।
এ কে এম বজলুর রহমান ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ এর পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে ঝাঁপিয়ে পড়েন সম্মুখ সমরে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর এ কে এম বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে ক্যান্টনম্যান্টে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। কিছুদিন পরেই পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৮৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ও সহচর এ কে এম বজলুর রহমান।