০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

দুই চাকার সাধারণ পরিবহনে অসাধারণ কিছু মানবতার গল্প

বর্তমান সময়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন দুর আকাশের মৃগাঙ্ক সদৃশ। চারিদিকে আর্তনাদ, হাহাকার ও বেঁচে থাকার তাগিদ। ইতোমধ্যে অনেকে হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের আবার অনেকে হাসপাতালের করিডোরে প্রহর গুনছেন কখন তারা তাদের প্রিয়জনকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরবেন। আবার অনেক মানুষ পথের দিকে চাতক পাখির মত চেয়ে আছে কখন তাদের পেটের ক্ষুধা মেটাবার জন্য কেউ দুমুঠো খাবার জোগাড় করে আনবেন।

বিশ্বমহামারি আমাদের এমনই দারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। করোনায় যেসব মানুষ হারিয়ে গেছেন তারা তো চিরপ্রস্থান করেছেন আবার যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চোখমুখ মলিন হলেও এখনও বেঁচে থাকার স্বপ্ন লালিত হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে সেই সব মানুষদের যাদের পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা আজ করোনার প্রাদূর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। যারা অতিশয় কষ্টে কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। এমন কর্মহীন ও নিষ্পাপ মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফোটাবার জন্য দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।

সাব্বির মেহেরপুর জেলার মূখার্জি পাড়ার মোহা. আনছারুল হক এবং ইরা উম্মে সালমার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক। করোনা প্রাদুর্ভাবের সেই শুরু থেকে অনেক মানুষের দারপ্রান্তে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। নিজের প্রচেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় ৮৭ দিনের মতো ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনার প্রথম ঢেউয়ে ৭৫ দিনে কাজ সমাপ্ত করলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে বসে থাকতে পারেননি। নিজের সব কাজ ফেলে ছুটে চলে এসেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। প্রথমদিকে টিউশনির টাকা দিয়ে শুরু করলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতায় ৭৫ দিনের মতো কাজ চালিয়েছিলেন সাব্বির আহমেদ। করোনার প্রথম দিকে তার নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে ছিল মানবতার দেয়ালের আদলে খাদ্য সামগ্রীর ফ্রি দোকান, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী , সবজি যাবে আপনার বাড়ি, ফ্রি বাজার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, ইদ উপহার, ইফতার সামগ্রী, মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, জীবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার স্প্রে সহ আরো অনেক কার্যক্রম।

বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন ফ্রি বাজার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে তিনি আবারও কাজ শুরু করেছেন। সামনে ইদ উপহার সামগ্রী সহ অন্যান্য কার্যক্রম আবারো শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাব্বির আহমেদ এবং এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় এবং রাব্বি, তানভীর, নাঈম, আকাশ, পিয়াস, রুমেল সহ আরো অনেক স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে প্রতিদিন অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মহামারীর এই সময়টি একরকম অঘোষিত যুদ্ধের ময়দান। যেখানে শত্রু আমাদের চক্ষুদৃষ্টির আড়ালে কিন্তু সমস্যাগুলো সকলের সামনে প্রতিয়মান। সমস্যার সমাধানে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, নাহলে কখনোই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতম অবস্থা থেকে আমরা উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবো না। আমাদের কার্যক্রমগুলো সম্পূর্ণই মানুষের সহযোগিতার উপরে নির্ভরশীল। তাই সকলকে মানুষের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানাই। সকলে মিলে কাজ করলে একদিন স্বপ্নের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, অতি সাধারণ স্বাভাবিক জীবনযাপন চলমান থাকলেও করোনা মহামারীর সময়ে তা পুরোটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়াতে মানুষের প্রকৃত কষ্টের কথাগুলো সামনে ভেসে উঠে। সীমাহীন কষ্টের চিত্রগুলোই অনুপ্রাণিত করে মানুষের জন্য কিছু করার।

আমরা সকলেই দুই চাকার এক পরিবহন, যেখানে জীবনের প্রয়োজনে হাজারো মোড়ে নিতে হয় বিরতি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে জীবনের গল্পের অংশগ্রহণ করতে পারা অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর মানুষের জন্য জীবনের যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয় সেখানে রচনা হয় হাজারো স্মৃতিবহ সুখের উপাখ্যান। বর্তমানে এই করোনা পরিস্থিতিতে এই সাধারণ পরিবহনেই সংরক্ষণ করতে চাই হাজারো স্মৃতি, যেখানে সাধারণ মানুষের না পাওয়ার বেদনার থেকে পাওয়ার অনুভূতিই থাকবে বেশি।

আমাদের সমাজে যেমন অনেক গরীব অসহায় মানুষ আছে ঠিক তেমনি বিত্তবান মানুষ রয়েছে যারা চাইলেই হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তবে এজন্য দরকার বিরাট মহানুভবতা। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যদি এমন সাহস ও মহানুভবতা দেখাতে পারে তাহলে দেশের বিত্তশালীরা কেন পারবে না! হঠাৎ বেকার হয়ে যাওয়া বাবা যখন তাঁর সন্তানের মুখে আহার জোগাতে ব্যর্থ হন, তখন তাঁর মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।

তিনিই হয়তো সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই কঠিন বিপদে তাঁর যাওয়ার জায়গা কোথায়! আমরা মানুষ হয়ে কি তাদের পাশে দাঁড়াব না! তাদের কষ্টের সময় সহানুভূতির হাত বাড়াতে পারি না! তাই শুধু সাব্বির নয়, আমরা সাব্বিরের মতো আরও অনেক বেশি মানুষকে আমরা দেখতে চাই যাদের একটু পরিশ্রমে অসহায়দের মুখে একটু খাবার ওঠে। আসুন, আমরা মানবতার হাত বাড়াই। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই। চারিদিকে একটু তাকিয়ে দেখুন, বাইরে ওরা আপনার দিকে চেয়ে একমুঠো খাবারের জন্য হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে।

সব শেষে শক্তিমান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার ভাষায় বলতে চাই
‘মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও।
মানুষই ফাঁদ পাতছে, তুমি পাখির মতো পাশে দাঁড়াও।
মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাড়াও।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দুই চাকার সাধারণ পরিবহনে অসাধারণ কিছু মানবতার গল্প

প্রকাশিত : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

বর্তমান সময়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন দুর আকাশের মৃগাঙ্ক সদৃশ। চারিদিকে আর্তনাদ, হাহাকার ও বেঁচে থাকার তাগিদ। ইতোমধ্যে অনেকে হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের আবার অনেকে হাসপাতালের করিডোরে প্রহর গুনছেন কখন তারা তাদের প্রিয়জনকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরবেন। আবার অনেক মানুষ পথের দিকে চাতক পাখির মত চেয়ে আছে কখন তাদের পেটের ক্ষুধা মেটাবার জন্য কেউ দুমুঠো খাবার জোগাড় করে আনবেন।

বিশ্বমহামারি আমাদের এমনই দারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। করোনায় যেসব মানুষ হারিয়ে গেছেন তারা তো চিরপ্রস্থান করেছেন আবার যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চোখমুখ মলিন হলেও এখনও বেঁচে থাকার স্বপ্ন লালিত হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে সেই সব মানুষদের যাদের পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা আজ করোনার প্রাদূর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। যারা অতিশয় কষ্টে কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। এমন কর্মহীন ও নিষ্পাপ মানুষ গুলোর মুখে হাসি ফোটাবার জন্য দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।

সাব্বির মেহেরপুর জেলার মূখার্জি পাড়ার মোহা. আনছারুল হক এবং ইরা উম্মে সালমার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক। করোনা প্রাদুর্ভাবের সেই শুরু থেকে অনেক মানুষের দারপ্রান্তে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। নিজের প্রচেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় ৮৭ দিনের মতো ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনার প্রথম ঢেউয়ে ৭৫ দিনে কাজ সমাপ্ত করলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে বসে থাকতে পারেননি। নিজের সব কাজ ফেলে ছুটে চলে এসেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। প্রথমদিকে টিউশনির টাকা দিয়ে শুরু করলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতায় ৭৫ দিনের মতো কাজ চালিয়েছিলেন সাব্বির আহমেদ। করোনার প্রথম দিকে তার নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে ছিল মানবতার দেয়ালের আদলে খাদ্য সামগ্রীর ফ্রি দোকান, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী , সবজি যাবে আপনার বাড়ি, ফ্রি বাজার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, ইদ উপহার, ইফতার সামগ্রী, মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, জীবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার স্প্রে সহ আরো অনেক কার্যক্রম।

বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন ফ্রি বাজার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে তিনি আবারও কাজ শুরু করেছেন। সামনে ইদ উপহার সামগ্রী সহ অন্যান্য কার্যক্রম আবারো শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাব্বির আহমেদ এবং এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় এবং রাব্বি, তানভীর, নাঈম, আকাশ, পিয়াস, রুমেল সহ আরো অনেক স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে প্রতিদিন অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মহামারীর এই সময়টি একরকম অঘোষিত যুদ্ধের ময়দান। যেখানে শত্রু আমাদের চক্ষুদৃষ্টির আড়ালে কিন্তু সমস্যাগুলো সকলের সামনে প্রতিয়মান। সমস্যার সমাধানে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, নাহলে কখনোই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতম অবস্থা থেকে আমরা উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবো না। আমাদের কার্যক্রমগুলো সম্পূর্ণই মানুষের সহযোগিতার উপরে নির্ভরশীল। তাই সকলকে মানুষের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানাই। সকলে মিলে কাজ করলে একদিন স্বপ্নের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, অতি সাধারণ স্বাভাবিক জীবনযাপন চলমান থাকলেও করোনা মহামারীর সময়ে তা পুরোটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়াতে মানুষের প্রকৃত কষ্টের কথাগুলো সামনে ভেসে উঠে। সীমাহীন কষ্টের চিত্রগুলোই অনুপ্রাণিত করে মানুষের জন্য কিছু করার।

আমরা সকলেই দুই চাকার এক পরিবহন, যেখানে জীবনের প্রয়োজনে হাজারো মোড়ে নিতে হয় বিরতি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে জীবনের গল্পের অংশগ্রহণ করতে পারা অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর মানুষের জন্য জীবনের যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয় সেখানে রচনা হয় হাজারো স্মৃতিবহ সুখের উপাখ্যান। বর্তমানে এই করোনা পরিস্থিতিতে এই সাধারণ পরিবহনেই সংরক্ষণ করতে চাই হাজারো স্মৃতি, যেখানে সাধারণ মানুষের না পাওয়ার বেদনার থেকে পাওয়ার অনুভূতিই থাকবে বেশি।

আমাদের সমাজে যেমন অনেক গরীব অসহায় মানুষ আছে ঠিক তেমনি বিত্তবান মানুষ রয়েছে যারা চাইলেই হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তবে এজন্য দরকার বিরাট মহানুভবতা। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যদি এমন সাহস ও মহানুভবতা দেখাতে পারে তাহলে দেশের বিত্তশালীরা কেন পারবে না! হঠাৎ বেকার হয়ে যাওয়া বাবা যখন তাঁর সন্তানের মুখে আহার জোগাতে ব্যর্থ হন, তখন তাঁর মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।

তিনিই হয়তো সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই কঠিন বিপদে তাঁর যাওয়ার জায়গা কোথায়! আমরা মানুষ হয়ে কি তাদের পাশে দাঁড়াব না! তাদের কষ্টের সময় সহানুভূতির হাত বাড়াতে পারি না! তাই শুধু সাব্বির নয়, আমরা সাব্বিরের মতো আরও অনেক বেশি মানুষকে আমরা দেখতে চাই যাদের একটু পরিশ্রমে অসহায়দের মুখে একটু খাবার ওঠে। আসুন, আমরা মানবতার হাত বাড়াই। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই। চারিদিকে একটু তাকিয়ে দেখুন, বাইরে ওরা আপনার দিকে চেয়ে একমুঠো খাবারের জন্য হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে।

সব শেষে শক্তিমান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার ভাষায় বলতে চাই
‘মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও।
মানুষই ফাঁদ পাতছে, তুমি পাখির মতো পাশে দাঁড়াও।
মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাড়াও।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ