০৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশে আঘাত হানবে কি ? জেনে নিন সম্ভাব্য গতিপথ

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বর্তমান গতিপথ না বদলালে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না। তবে এর প্রভাবে সুন্দরবন এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবার ভোরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর পূর্বে ঠিক করা তালিকা অনুযায়ী এটির নাম হয় ‘ইয়াস’।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এই নামটি প্রস্তাব করেছিল ওমান। এর অর্থ ‘হতাশা’।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আরও শক্তি সঞ্চয় না করলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে এটাকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ই বলা চলে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণের সম্ভাবনাও নেই।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ উড়িষ্যা ও কলকাতার মাঝামাঝি রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মাঝে মাঝেই গতিপথ পরিবর্তন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বর্তমানে উড়িষ্যার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিতে এগিয়ে যেতে পারে।

শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় ওই লঘুচাপের তৈরি হয়। পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং আরো শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় ইয়াস।

ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে না যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। বাংলাদেশে ‘আম্পানে’ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে সাড়ে এগারোশ’ কোটি টাকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি হিসাবে অন্তত ৭২ জন আর বাংলাদেশে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে ইয়াস। তারপরের ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও উড়িষ্যার পারাদ্বীপের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ও আনন্দবাজার

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশে আঘাত হানবে কি ? জেনে নিন সম্ভাব্য গতিপথ

প্রকাশিত : ০২:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বর্তমান গতিপথ না বদলালে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না। তবে এর প্রভাবে সুন্দরবন এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবার ভোরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর পূর্বে ঠিক করা তালিকা অনুযায়ী এটির নাম হয় ‘ইয়াস’।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এই নামটি প্রস্তাব করেছিল ওমান। এর অর্থ ‘হতাশা’।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আরও শক্তি সঞ্চয় না করলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে এটাকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ই বলা চলে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণের সম্ভাবনাও নেই।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ উড়িষ্যা ও কলকাতার মাঝামাঝি রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মাঝে মাঝেই গতিপথ পরিবর্তন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বর্তমানে উড়িষ্যার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিতে এগিয়ে যেতে পারে।

শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় ওই লঘুচাপের তৈরি হয়। পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং আরো শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় ইয়াস।

ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে না যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। বাংলাদেশে ‘আম্পানে’ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে সাড়ে এগারোশ’ কোটি টাকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি হিসাবে অন্তত ৭২ জন আর বাংলাদেশে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে ইয়াস। তারপরের ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও উড়িষ্যার পারাদ্বীপের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ও আনন্দবাজার

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার