০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে দশটি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’র প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে তলিয়ে যায় ফষলি জমিসহ বাঁধের অভ্যন্তরের কয়েকশ বসত ঘর।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ওই বাঁধ দুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মিজানুর রহমান জানান, লালুয়ার চাড়িপাড়া বেড়িবাঁধটি ২০১০ সালের পর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভাঙ্গা। এছাড়া সিডরের পর দেবপুর বেড়িবাঁধটি দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে।

এদিকে বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় শতশত মান্ষু জীবন রক্ষায় বেড়িবাঁধের উপর অবস্থান নিয়েছে। এসময় জোযারের পানির তোড়ে ভেসে গেছে নদীর তীরের একাধিক স্থাপনা ও বসত ঘর। কলাপাড়ার লালুয়া ও ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সকাল থেকে কলাপাড়ায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেলেও মানুষকে সচেতনতায় সিপিবি কর্মীদের কোন সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। যদিও সিপিবি কর্মকর্তা বলছেন ৩৩৬০ জন সিপিবি কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, উপজেলায় ১৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি মুজিব কিল্লা ও ২১ টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোন মান্ষু আশ্রয় নেয়নি।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ

প্রকাশিত : ১২:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে দশটি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’র প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে তলিয়ে যায় ফষলি জমিসহ বাঁধের অভ্যন্তরের কয়েকশ বসত ঘর।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ওই বাঁধ দুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মিজানুর রহমান জানান, লালুয়ার চাড়িপাড়া বেড়িবাঁধটি ২০১০ সালের পর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভাঙ্গা। এছাড়া সিডরের পর দেবপুর বেড়িবাঁধটি দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে।

এদিকে বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় শতশত মান্ষু জীবন রক্ষায় বেড়িবাঁধের উপর অবস্থান নিয়েছে। এসময় জোযারের পানির তোড়ে ভেসে গেছে নদীর তীরের একাধিক স্থাপনা ও বসত ঘর। কলাপাড়ার লালুয়া ও ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সকাল থেকে কলাপাড়ায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেলেও মানুষকে সচেতনতায় সিপিবি কর্মীদের কোন সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। যদিও সিপিবি কর্মকর্তা বলছেন ৩৩৬০ জন সিপিবি কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, উপজেলায় ১৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি মুজিব কিল্লা ও ২১ টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোন মান্ষু আশ্রয় নেয়নি।