০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

তিস্তার সেচে বাম্পার ফলন

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সেচের পানিতে রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলাকার প্রতিটি কৃষকের গোলা ভরা ধান আর ধান। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ২৮ মণ করে ধান ঘরে তুলেছেন তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, সেচ ক্যানেলের পানি উৎপন্ন ধানের হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি ধান কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছেন। এতে পাঁচ জেলায় সম্ভাব্য উৎপাদন ২০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে জমি থেকে সব ধান কৃষকরা কাটাই মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছেন। মনের মতো ধান পেয়ে খুশি তারা।

এদিকে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকার সেচে নীলফামারী সদর, জলঢাকা, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর,পার্বতিপুর, গঙ্গাচড়া উপজেলাসহ ৪৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এতে কৃষকরা বিদ্যুৎ ও ডিজেল সাশ্রয় করতে পেরেছে ৫০ কোটি টাকা।

তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এমন হিসাব তুলে ধরে জানালেন বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রে যদি একজন কৃষক এক হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করে তাহলে সেচ খরচ হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আবার ডিজেল চালিত সেচ যন্ত্রে যদি এক হেক্টর জমিতে সেচ দেয় তাহলে কৃষকের খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। সেখানে তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকার সেচে এক হেক্টরে কৃষকের খরচ পড়ে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেলগুলোতে করা হবে সিসি লাইনিং আর টারসিয়ারি ক্যানেলগুলোতে দেয়া হবে আরসিসি ঢালাই। এতে পানির অপচয় ছাড়াই খুব দ্রুত পানি পৌঁছে যাবে জমিতে।’

জ্যোতি প্রসাদ বলেন, ‘তিনি বলেন চলতি বছর তিস্তা সেচ ক্যানেলে মাধ্যমে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছিল। সেচ ক্যানেলে পানিতে সরকারি হিসেবে ১ হাজার ২০০ কোটির বেশি টাকার ধান উৎপাদ করেছে উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা। যা কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

তিস্তার সেচে বাম্পার ফলন

প্রকাশিত : ১২:০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সেচের পানিতে রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলাকার প্রতিটি কৃষকের গোলা ভরা ধান আর ধান। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ২৮ মণ করে ধান ঘরে তুলেছেন তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, সেচ ক্যানেলের পানি উৎপন্ন ধানের হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি ধান কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছেন। এতে পাঁচ জেলায় সম্ভাব্য উৎপাদন ২০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে জমি থেকে সব ধান কৃষকরা কাটাই মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছেন। মনের মতো ধান পেয়ে খুশি তারা।

এদিকে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকার সেচে নীলফামারী সদর, জলঢাকা, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর,পার্বতিপুর, গঙ্গাচড়া উপজেলাসহ ৪৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এতে কৃষকরা বিদ্যুৎ ও ডিজেল সাশ্রয় করতে পেরেছে ৫০ কোটি টাকা।

তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এমন হিসাব তুলে ধরে জানালেন বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রে যদি একজন কৃষক এক হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করে তাহলে সেচ খরচ হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আবার ডিজেল চালিত সেচ যন্ত্রে যদি এক হেক্টর জমিতে সেচ দেয় তাহলে কৃষকের খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। সেখানে তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকার সেচে এক হেক্টরে কৃষকের খরচ পড়ে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেলগুলোতে করা হবে সিসি লাইনিং আর টারসিয়ারি ক্যানেলগুলোতে দেয়া হবে আরসিসি ঢালাই। এতে পানির অপচয় ছাড়াই খুব দ্রুত পানি পৌঁছে যাবে জমিতে।’

জ্যোতি প্রসাদ বলেন, ‘তিনি বলেন চলতি বছর তিস্তা সেচ ক্যানেলে মাধ্যমে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছিল। সেচ ক্যানেলে পানিতে সরকারি হিসেবে ১ হাজার ২০০ কোটির বেশি টাকার ধান উৎপাদ করেছে উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা। যা কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’