০৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন

টানা দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ১৯ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। লেনদেন খরার পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই’র পর এটিই ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন। ওইদিন (২০১৬ সালের ১১ জুলাই) ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরপর বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত গত দেড় বছরে ডিএসইতে ৩’শ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার দরপতনের মাধ্যমে ডিএসইতে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হয়েছে। শেয়ারবাজারে এই টানা দরপতন শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রকার ধস নামে ডিএসই ও সিএসইতে। ওইদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকের ৯৯ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচকের ১৭৮ পয়েন্ট পতন হয়। এমন দরপতনের কারণ খুঁজে বের করতে ওইদিনই ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয় শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

চিঠিতে দরপতনের পেছনে কোনো বাজার কারসাজি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখে অতিসত্বর কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়। তবে এরপর তিন কার্যদিবস চলে গেলেও দরপতনের কারণ সম্পর্কে বিএসইসিকে কোন তথ্য জানায়নি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার মূল্য সূচকের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইউনিক হোটেল, ফার্মা এইড, সিটি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং উসমানিয়া গ্লাস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

ট্যাগ :

সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন

প্রকাশিত : ১০:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

টানা দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ১৯ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। লেনদেন খরার পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই’র পর এটিই ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন। ওইদিন (২০১৬ সালের ১১ জুলাই) ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এরপর বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত গত দেড় বছরে ডিএসইতে ৩’শ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার দরপতনের মাধ্যমে ডিএসইতে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হয়েছে। শেয়ারবাজারে এই টানা দরপতন শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রকার ধস নামে ডিএসই ও সিএসইতে। ওইদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকের ৯৯ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচকের ১৭৮ পয়েন্ট পতন হয়। এমন দরপতনের কারণ খুঁজে বের করতে ওইদিনই ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয় শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

চিঠিতে দরপতনের পেছনে কোনো বাজার কারসাজি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখে অতিসত্বর কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়। তবে এরপর তিন কার্যদিবস চলে গেলেও দরপতনের কারণ সম্পর্কে বিএসইসিকে কোন তথ্য জানায়নি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার মূল্য সূচকের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইউনিক হোটেল, ফার্মা এইড, সিটি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং উসমানিয়া গ্লাস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।