আজ থেকে দুই যুগ আগে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায় চিত্রনায়ক রিয়াজের বিপরীতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিষক হয়েছিলো এক তরুণীর। রূপে,গুণে এবং অভিনয় নৈপুণ্যে তিনি হয়ে উঠেন নন্দিত তারকা, সেইসাথে লাখো তরুণের ক্রাশ। বলছিলাম, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার কথা।
আজ নন্দিত এ তারকার জন্মদিন। জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোন আয়োজন নেই পূর্ণিমার। করোনা’র এই ক্রান্তিকালে পরিবারের সাথেই সময় কাটবে তার। আগামী ঈদে পূর্ণিমা’কে কোন নাটকে অভিনয়েও দেখা যাচ্ছেনা। তবে এরইমধ্যে তিনি প্রায় শেষ করেছেন দু’টি সিনেমার কাজ। একটি ওবায়দুল কাদরের সাহিত্য অবলম্বনে ‘গাঙচিল’ এবং অন্যটি ‘জ্যাম’। তবে সিনেমা দু’টি কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারে এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ, করোনার কারণে বিশেষত বাংলাদেশের মানুষর জীবন এখন বিপর্যস্ত।
পূর্ণিমা’কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ বরেণ্য তারকারা । শুভেচ্ছা জানিয়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি তো পূর্ণিমাকে আমার মেয়ের মতোই স্নেহ করি, আদর করি। পূর্ণিমা খুব ভালো একজন অভিনেত্রী এবং একজন ভালো মানুষও বটে।’

ববিতা বলেন,‘তার অভিনীত প্রথম সিনেমায় আমি ছিলাম। তখন পূর্ণিমা অনেক ছোট। এখনতো অভিনয়ে বেশ পরিপক্ক। চলচ্চিত্র তো একটি পরিবার। আমাদের পরিবারেরই মেয়ে পূর্ণিমা। তার জন্য অনেক দোয়া। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।’
ফেরদৌস বলেন,‘চলচ্চিত্রে পূর্ণিমা আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমার বিপদ আপদ সুখ দু:খ নানান কথা তার সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি শেয়ার করি। অভিনয়ে পূর্ণিমা পরিপূর্ণ, পরিণত। এই সময় তাকে ভালো ভালো গল্পে অনেক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলোত তাকে বেশ ভালোভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, যেসব কাজ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে। মেধাবী পরিচালকদেরই সেই উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে একজন শিল্পী যখন অভিনয়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে বাংলাদশের প্রেক্ষাপটে তখনই তার কাজ কমতে থাকে। এটা কোনভাবেই ঠিক নয়। পূর্ণিমার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভ কামনা। সে তার পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকুক সবসময়।’
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ
























