০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘আপা’ ডাকায় আপত্তি: সেই পোস্ট সরিয়ে নিলেন ব্যবসায়ী

বুড়িচং এর ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন। ফাইল ছবি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ ডাকার আপত্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী। মুহূর্তের মধ্যে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে পোস্টটি এখন আর জামাল উদ্দিনের টাইমলাইনে দেখাচ্ছে না।

ফেসবুক পোস্টে জামাল উদ্দিন লিখেছিলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণ ‘স্যার’ বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফ্যাক্ট: বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘আপা’ বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি অফিস অ্যাড্রেস না। আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ‘আপু’তে আপত্তি জানিয়ে ‘মা’ ডাকতে বললেন ইউএনও শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ।

ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দুপুরে এক আত্মীয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য ইউএনও মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের কার্যালয়ে যান জামাল উদ্দিন। ‘স্যার’ সম্বোধন করে তার সঙ্গে জামাল উদ্দিনের কথা শুরু হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে মুখ থেকে ‘আপা’ বলে ফেলেন তিনি। এ সময় ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন রেগে গিয়ে বলেন, ‘এটা তো অফিসিয়াল ভাষা নয়। আপা না ডেকে মা ডাকেন’। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। পরে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন।

সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠুকে ইউএনও কার্যালয় থেকে জামাল উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়। এরপর থেকে পোস্টটি আর দেখাচ্ছে না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামাল উদ্দিনের টাইমলাইনে ঢুকে এ-সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।

ফেসবুক পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠু আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ইউএনও বলেছেন পোস্টটি ডিলিট করে দিতে। তবে আমি পোস্ট ডিলিট করিনি, হাইড করে রেখেছি।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠু বলেন, ‘বিকেলে চেম্বারে যাওয়ার পথে ইউএনও ম্যাডাম আমাকে ফোন করেন। তিনি বললেন, আপনার এলাকায় জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখেছেন। বিষয়টি একটু দেখেন। সরকারি চাকরি করি বিধায় আমি জামাল ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাই। ওনাকে অনুরোধ করি পোস্টটি ডিলিট করতে। পরে তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।’

জনপ্রিয়

দেশজুড়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলল ইরান, স্বাভাবিক তেহরান

‘আপা’ ডাকায় আপত্তি: সেই পোস্ট সরিয়ে নিলেন ব্যবসায়ী

প্রকাশিত : ১২:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ ডাকার আপত্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী। মুহূর্তের মধ্যে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে পোস্টটি এখন আর জামাল উদ্দিনের টাইমলাইনে দেখাচ্ছে না।

ফেসবুক পোস্টে জামাল উদ্দিন লিখেছিলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণ ‘স্যার’ বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফ্যাক্ট: বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘আপা’ বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি অফিস অ্যাড্রেস না। আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ‘আপু’তে আপত্তি জানিয়ে ‘মা’ ডাকতে বললেন ইউএনও শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ।

ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দুপুরে এক আত্মীয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য ইউএনও মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের কার্যালয়ে যান জামাল উদ্দিন। ‘স্যার’ সম্বোধন করে তার সঙ্গে জামাল উদ্দিনের কথা শুরু হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে মুখ থেকে ‘আপা’ বলে ফেলেন তিনি। এ সময় ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন রেগে গিয়ে বলেন, ‘এটা তো অফিসিয়াল ভাষা নয়। আপা না ডেকে মা ডাকেন’। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। পরে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন।

সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠুকে ইউএনও কার্যালয় থেকে জামাল উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়। এরপর থেকে পোস্টটি আর দেখাচ্ছে না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামাল উদ্দিনের টাইমলাইনে ঢুকে এ-সংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।

ফেসবুক পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠু আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ইউএনও বলেছেন পোস্টটি ডিলিট করে দিতে। তবে আমি পোস্ট ডিলিট করিনি, হাইড করে রেখেছি।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির হোসেন মিঠু বলেন, ‘বিকেলে চেম্বারে যাওয়ার পথে ইউএনও ম্যাডাম আমাকে ফোন করেন। তিনি বললেন, আপনার এলাকায় জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখেছেন। বিষয়টি একটু দেখেন। সরকারি চাকরি করি বিধায় আমি জামাল ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাই। ওনাকে অনুরোধ করি পোস্টটি ডিলিট করতে। পরে তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।’