১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মেয়র জাহাঙ্গীর, ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আকুতি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য গেলে আমি ন্যায় বিচার পেতাম। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনো অন‌্যায় বা পাপের সঙ্গে আমি জড়িত না।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করার পর শনিবার দুপুরে ছয়দানা এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাঁর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। আমি এ সাধারণ সম্পাদক পদ চাই না, বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।’

এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে এখানে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

মেয়র বলেন, ‘আমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আংশিক তথ‌্য দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তথ‌্য দেওয়া হয়নি। আমি আওয়ামী লীগের কাছে সময় চেয়েছিলাম আমার কথা বলার জন‌্য। আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাগুলো বলতে পারতাম তাহলে তিনি সঠিক বিষয়টা জানতে পারতেন।’

তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে আমি আমার নিজের কাজটা করেছি। আমাকে বহিষ্কার করে আমার এবং আমার পরিবারের অস্তিত্বে মাঝে আঘাত দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করি, আমার ভুল হতে পারে। ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’

আওয়ামী লীগে থেকে আজীবন বহিষ্কার করার একদিন পর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন‌্য আকুতি জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আমি আত্মসমর্পণ করবো। আমাকে যেন অন্য কোনো মিথ্যা কিছুতে জড়ানো না হয়। আমাকে ফাঁসি দিক আমার নেত্রীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর জন্য। কিন্তু আমাকে মিথ্যা অপবাদ যেন না দেওয়া হয়। যদি মনে হয় আমাকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন আমাকে বলবেন, আমি আত্মসমর্পণ করবো।’

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়।

অডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গাজীপুরে আওয়ামী লীগ এবং সেখানকার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন আওয়ামী লীগে থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মেয়র জাহাঙ্গীর, ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আকুতি

প্রকাশিত : ০৯:০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য গেলে আমি ন্যায় বিচার পেতাম। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনো অন‌্যায় বা পাপের সঙ্গে আমি জড়িত না।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করার পর শনিবার দুপুরে ছয়দানা এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাঁর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। আমি এ সাধারণ সম্পাদক পদ চাই না, বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।’

এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে এখানে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

মেয়র বলেন, ‘আমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আংশিক তথ‌্য দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তথ‌্য দেওয়া হয়নি। আমি আওয়ামী লীগের কাছে সময় চেয়েছিলাম আমার কথা বলার জন‌্য। আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাগুলো বলতে পারতাম তাহলে তিনি সঠিক বিষয়টা জানতে পারতেন।’

তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে আমি আমার নিজের কাজটা করেছি। আমাকে বহিষ্কার করে আমার এবং আমার পরিবারের অস্তিত্বে মাঝে আঘাত দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করি, আমার ভুল হতে পারে। ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’

আওয়ামী লীগে থেকে আজীবন বহিষ্কার করার একদিন পর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন‌্য আকুতি জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আমি আত্মসমর্পণ করবো। আমাকে যেন অন্য কোনো মিথ্যা কিছুতে জড়ানো না হয়। আমাকে ফাঁসি দিক আমার নেত্রীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর জন্য। কিন্তু আমাকে মিথ্যা অপবাদ যেন না দেওয়া হয়। যদি মনে হয় আমাকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন আমাকে বলবেন, আমি আত্মসমর্পণ করবো।’

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়।

অডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গাজীপুরে আওয়ামী লীগ এবং সেখানকার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন আওয়ামী লীগে থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ