০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সিরাজগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলন

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সরিষা চাষের আবাদ হয়েছে, এর মধ্যে চলন বিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়ার পশ্চিমাঞ্চলে সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে, মাঠগুলো জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা। যে দিকে তাকাই, সেই দিকেই দেখি শুধু সরিষা আর সরিষা। সরিষা দেখে চোখ জুরিয়ে মন ভরিয়ে যায় । সরিষার এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশীর ভাগ জমির সরিষার ফল এখন পাক ধরতে শুরু করেছে। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক ঘরে তুলবে সরিষা।

উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের কয়ড়া, মোহনপুর, বড়পঙ্গাশী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা ও পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের মাঠ গুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল সরিষা । সরিষার এই ভাম্পায়ার ফলনে কৃষকের মনে আসার আলো ছড়িয়েছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ধুপি সরিষার দাম-৮৫ টাকা ও মাগী সরিষার দাম-৮০ টাকা। এখনো নতুন সরিষা ওঠেনি। নতুন সরিষা ওঠলে তখন হয়তো কিছু দাম কমে ধুপি ৭৫ টাকা ও মাগী ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায় এবার সরিষা মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু বর্ষার পানি মাঠ থেকে সঠিক সময়ের মধ্যে নেমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আরো প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশী করেছে কৃষক। উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতিটি মাঠেই বারী-১৪, ১৭, ও ১৮ জাতের নতুন উদ্ভাবিত বেশী ফলনশীল সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এতে ফলনের মাত্রাও বেশী হবে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেও বেশী ফলনের আশা করছে। প্রতি এক বিঘায় ৮ থেকে ৯ মন করে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার নরোসিংপাড়ার কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মনে আশার আলো ছড়িয়েছ। হাট- বাজারে সরিষার দামও বেশী। বাজার এ অবস্থায় থাকলে কৃষকের চাষ- আবাদের খরচ পুষিয়ে নিয়ে কিছুটা হলেও লাভবান হবে।

উল্লাপাড়া আর.এস বাজারের তেলমিল ব্যবসায়ী শাহিন জানান বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। সরিষা তেলের চাহিদা বেশী থাকায় তেলমিল ব্যবসায়ীরা সরিষা ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে । আর এতে সরিষার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান সরিষা আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার এবার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেও উৎপাদন আরো বেশী আশা করছেন। এ ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা আবাদ করায় ফলন বেশী হবে । প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ মন উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

সিরাজগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলন

প্রকাশিত : ০৩:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সরিষা চাষের আবাদ হয়েছে, এর মধ্যে চলন বিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়ার পশ্চিমাঞ্চলে সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে, মাঠগুলো জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা। যে দিকে তাকাই, সেই দিকেই দেখি শুধু সরিষা আর সরিষা। সরিষা দেখে চোখ জুরিয়ে মন ভরিয়ে যায় । সরিষার এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশীর ভাগ জমির সরিষার ফল এখন পাক ধরতে শুরু করেছে। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক ঘরে তুলবে সরিষা।

উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের কয়ড়া, মোহনপুর, বড়পঙ্গাশী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা ও পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের মাঠ গুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল সরিষা । সরিষার এই ভাম্পায়ার ফলনে কৃষকের মনে আসার আলো ছড়িয়েছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ধুপি সরিষার দাম-৮৫ টাকা ও মাগী সরিষার দাম-৮০ টাকা। এখনো নতুন সরিষা ওঠেনি। নতুন সরিষা ওঠলে তখন হয়তো কিছু দাম কমে ধুপি ৭৫ টাকা ও মাগী ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায় এবার সরিষা মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু বর্ষার পানি মাঠ থেকে সঠিক সময়ের মধ্যে নেমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আরো প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশী করেছে কৃষক। উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতিটি মাঠেই বারী-১৪, ১৭, ও ১৮ জাতের নতুন উদ্ভাবিত বেশী ফলনশীল সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এতে ফলনের মাত্রাও বেশী হবে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেও বেশী ফলনের আশা করছে। প্রতি এক বিঘায় ৮ থেকে ৯ মন করে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার নরোসিংপাড়ার কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মনে আশার আলো ছড়িয়েছ। হাট- বাজারে সরিষার দামও বেশী। বাজার এ অবস্থায় থাকলে কৃষকের চাষ- আবাদের খরচ পুষিয়ে নিয়ে কিছুটা হলেও লাভবান হবে।

উল্লাপাড়া আর.এস বাজারের তেলমিল ব্যবসায়ী শাহিন জানান বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। সরিষা তেলের চাহিদা বেশী থাকায় তেলমিল ব্যবসায়ীরা সরিষা ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে । আর এতে সরিষার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান সরিষা আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার এবার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেও উৎপাদন আরো বেশী আশা করছেন। এ ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা আবাদ করায় ফলন বেশী হবে । প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ মন উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর