০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬

ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই বস হয়ে লাখো কর্মসংস্থান তৈরি করছে

ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই নিজেদের বস হয়ে লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স আহরণের সঙ্গে তারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের বিকাশে পেমেন্ট গ্রহণ সুবিধার ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার’র মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট বিকাশে আনা যাবে।

দেশের ফ্রিল্যান্সিং খাতে গতিশীলতা আনতে পেওনিয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক এবং বিকাশ যৌথভাবে এ সেবা চালু করলো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদির, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, সবচেয়ে তারুণ্য মেধার দেশ বাংলাদেশ। এই সম্পদের সঙ্গে যখন আমরা ডিজিটাল সেবার সমন্বয় করেছি তখনই সমৃদ্ধ, শক্তিতে রূপ নিয়েছে। সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার বিশ্বের মোট ফ্রিল্যান্সারের ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে।

বিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছেন এই ফ্রিল্যান্সাররা। কিন্তু তাদের উপার্জিত অর্থ যাতে দ্রুত পেতে পারেন সেটি আমাদের কাম্য ছিল। সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে বিকাশ-ব্র্যাক-পেওনিয়ার। আমাদেরও চাওয়া ছিল তাদের অর্থ দ্রুত-নিরাপদে কাছে নিয়ে আসা। আমাদের বিশ্বাস, বিকাশের এ সেবার মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরণ আরও সহজ হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক নির্দেশনার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতা করছি। তাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

তারা যে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে তার বিপরীতে ৪ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়া হচ্ছে। এসব সুবিধা বিশ্বের অন্যান্য দেশে নেই। ৫৫টি অনলাইন মাধ্যমের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে, যাতে রপ্তানিতে তারা সুবিধা পান। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ৪টি ল্যাপটপ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে কাজ করেন তাহলে তিনি একজন উদ্যোক্তা। এখন আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা জব খুঁজবেন না, জব দেবেন। বর্তমানে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর ২০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বামীর কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আপসহীন নেত্রী

ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই বস হয়ে লাখো কর্মসংস্থান তৈরি করছে

প্রকাশিত : ১২:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই নিজেদের বস হয়ে লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স আহরণের সঙ্গে তারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের বিকাশে পেমেন্ট গ্রহণ সুবিধার ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার’র মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট বিকাশে আনা যাবে।

দেশের ফ্রিল্যান্সিং খাতে গতিশীলতা আনতে পেওনিয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক এবং বিকাশ যৌথভাবে এ সেবা চালু করলো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদির, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, সবচেয়ে তারুণ্য মেধার দেশ বাংলাদেশ। এই সম্পদের সঙ্গে যখন আমরা ডিজিটাল সেবার সমন্বয় করেছি তখনই সমৃদ্ধ, শক্তিতে রূপ নিয়েছে। সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার বিশ্বের মোট ফ্রিল্যান্সারের ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে।

বিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছেন এই ফ্রিল্যান্সাররা। কিন্তু তাদের উপার্জিত অর্থ যাতে দ্রুত পেতে পারেন সেটি আমাদের কাম্য ছিল। সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে বিকাশ-ব্র্যাক-পেওনিয়ার। আমাদেরও চাওয়া ছিল তাদের অর্থ দ্রুত-নিরাপদে কাছে নিয়ে আসা। আমাদের বিশ্বাস, বিকাশের এ সেবার মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরণ আরও সহজ হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক নির্দেশনার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতা করছি। তাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

তারা যে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে তার বিপরীতে ৪ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়া হচ্ছে। এসব সুবিধা বিশ্বের অন্যান্য দেশে নেই। ৫৫টি অনলাইন মাধ্যমের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে, যাতে রপ্তানিতে তারা সুবিধা পান। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ৪টি ল্যাপটপ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে কাজ করেন তাহলে তিনি একজন উদ্যোক্তা। এখন আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা জব খুঁজবেন না, জব দেবেন। বর্তমানে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর ২০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হবে।