১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

লাল ঘোড়ায় সওয়ার শেয়ারবাজার

মাত্র একদিনেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এদিন দরপতন হয়েছে ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্টের ওপরে। যেন লেনদেনের পুরো সময় লাল ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ছুটে চলেছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে ঘটেছে ভয়াবহ দরপতন। শেয়ারবাজারে এই দরপতনের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় বিনিয়োগকারীরা আটকে রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে সার্বিক বাজরে লেনদেনের গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনকে আরও তরান্বিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সরাসরি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যেসব পণ্য রফতানি হয় তার বেশিরভাগ তৈরি-পোশাক। বিপরীতে রাশিয়া থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বেশিরভাগ খাদ্য পণ্য। রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক মহল বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের থেকে বাজারে এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজব। একটি চক্র কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজারে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে চক্রটি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর গুজবের কবলে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। যার ফলে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামের পাশে লাল চিহ্ন দেখা যায়, অর্থাৎ দরপতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাল চিহ্নের সংখ্যা। লাল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটে চলার মতো ছিল পুরো লেনদেন সময়। ফলে দিন শেষে ভয়াবহ দপতনের দেখা মেলে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর ৪টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকা। এই পতনের মধ্যে পড়ে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলদন কমেছে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৪টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়াবাজারের এই দরপতনের প্রেক্ষিত্রে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পরোক্ষ একটি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে পড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে। সবকিছু মিলিয়েই শেয়ারবাজারে এই দরপতন হয়েছে।মাত্র একদিনেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এদিন দরপতন হয়েছে ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্টের ওপরে। যেন লেনদেনের পুরো সময় লাল ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ছুটে চলেছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে ঘটেছে ভয়াবহ দরপতন। শেয়ারবাজারে এই দরপতনের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় বিনিয়োগকারীরা আটকে রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে সার্বিক বাজরে লেনদেনের গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনকে আরও তরান্বিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সরাসরি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যেসব পণ্য রফতানি হয় তার বেশিরভাগ তৈরি-পোশাক। বিপরীতে রাশিয়া থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বেশিরভাগ খাদ্য পণ্য। রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক মহল বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের থেকে বাজারে এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজব। একটি চক্র কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজারে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে চক্রটি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর গুজবের কবলে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। যার ফলে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামের পাশে লাল চিহ্ন দেখা যায়, অর্থাৎ দরপতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাল চিহ্নের সংখ্যা। লাল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটে চলার মতো ছিল পুরো লেনদেন সময়। ফলে দিন শেষে ভয়াবহ দপতনের দেখা মেলে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর ৪টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকা। এই পতনের মধ্যে পড়ে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলদন কমেছে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৪টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়াবাজারের এই দরপতনের প্রেক্ষিত্রে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পরোক্ষ একটি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে পড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে। সবকিছু মিলিয়েই শেয়ারবাজারে এই দরপতন হয়েছে।

ট্যাগ :

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

লাল ঘোড়ায় সওয়ার শেয়ারবাজার

প্রকাশিত : ১২:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাত্র একদিনেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এদিন দরপতন হয়েছে ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্টের ওপরে। যেন লেনদেনের পুরো সময় লাল ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ছুটে চলেছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে ঘটেছে ভয়াবহ দরপতন। শেয়ারবাজারে এই দরপতনের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় বিনিয়োগকারীরা আটকে রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে সার্বিক বাজরে লেনদেনের গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনকে আরও তরান্বিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সরাসরি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যেসব পণ্য রফতানি হয় তার বেশিরভাগ তৈরি-পোশাক। বিপরীতে রাশিয়া থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বেশিরভাগ খাদ্য পণ্য। রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক মহল বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের থেকে বাজারে এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজব। একটি চক্র কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজারে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে চক্রটি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর গুজবের কবলে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। যার ফলে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামের পাশে লাল চিহ্ন দেখা যায়, অর্থাৎ দরপতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাল চিহ্নের সংখ্যা। লাল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটে চলার মতো ছিল পুরো লেনদেন সময়। ফলে দিন শেষে ভয়াবহ দপতনের দেখা মেলে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর ৪টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকা। এই পতনের মধ্যে পড়ে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলদন কমেছে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৪টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়াবাজারের এই দরপতনের প্রেক্ষিত্রে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পরোক্ষ একটি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে পড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে। সবকিছু মিলিয়েই শেয়ারবাজারে এই দরপতন হয়েছে।মাত্র একদিনেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এদিন দরপতন হয়েছে ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্টের ওপরে। যেন লেনদেনের পুরো সময় লাল ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ছুটে চলেছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে ঘটেছে ভয়াবহ দরপতন। শেয়ারবাজারে এই দরপতনের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় বিনিয়োগকারীরা আটকে রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে সার্বিক বাজরে লেনদেনের গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনকে আরও তরান্বিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সরাসরি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যেসব পণ্য রফতানি হয় তার বেশিরভাগ তৈরি-পোশাক। বিপরীতে রাশিয়া থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বেশিরভাগ খাদ্য পণ্য। রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক মহল বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের থেকে বাজারে এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজব। একটি চক্র কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজারে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে চক্রটি রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর গুজবের কবলে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। যার ফলে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামের পাশে লাল চিহ্ন দেখা যায়, অর্থাৎ দরপতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাল চিহ্নের সংখ্যা। লাল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটে চলার মতো ছিল পুরো লেনদেন সময়। ফলে দিন শেষে ভয়াবহ দপতনের দেখা মেলে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর ৪টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকা। এই পতনের মধ্যে পড়ে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলদন কমেছে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৪টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়াবাজারের এই দরপতনের প্রেক্ষিত্রে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পরোক্ষ একটি প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে পড়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে। সবকিছু মিলিয়েই শেয়ারবাজারে এই দরপতন হয়েছে।