০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

৪৩৭ কোটি টাকায় রফা ড. ইউনূসের

দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মামলা প্রত্যাহারের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা টাকার রফা হয়েছে। শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিলের ৪৩৭ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে তাকে। তবে সেটি কম্পানির মুনাফার কত শতাংশ তা জানা যায়নি।

কম্পানি অর্থাৎ গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফার ৫ শতাংশ ‘শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল’ গঠন করে ২০০৬ সাল থেকে লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা।

আজ মঙ্গলবার রাতে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের আইনজীবী বলেন, “যতটুকু জানি হিসাব-নিকাশ করে ৪৩৭ কোটি টাকায় রফা হয়েছে। ১৭৬ জন শ্রমিক-কর্মচারী এ টাকাটা পাবেন। চেক ইস্যু করা শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সমঝোতা সম্পন্ন হতে আরো এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ”

আইন অনুযায়ী পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে, সম্প্রতি এমন সমঝোতার পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ছাঁটাই, পাওনা নিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ও ‘শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন’র করা শতাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হয়। সে সমঝোতায় গতকাল সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে একটি, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে পাঁচটি এবং শ্রম আদালত থেকে ১০৪টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়।

হাইকোর্টে ছয়টি মামলার মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা মামলাটিও ছিল। বাকি পাঁচটি মামলার মধ্যে দুটি রিট মামলা, তিনটি আদালত অবমাননার। আর শ্রম আদালতে ১০৪টি মামলার মধ্যে ১০৩টিই শ্রমিক-কর্মচারীদের আলাদা মামলা। একটি মামলা ইউনিয়নের।

গ্রামীণ টেলিকমের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, “গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের সঙ্গে মালিক পক্ষের যে বিরোধ ছিল সেটি মিটে গেছে। ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড অনুযায়ী অনুযায়ী তাদের যে টাকাটা প্রাপ্য সেই টাকাটা তাদের দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে ফান্ডের টাকা ধরা হয়েছে। ”

কম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ ‘শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠন’ করে ২০০৬ সাল থেকে লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা। কিন্তু সেই লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন না করায় শ্রম আদালত ও হাইকোর্টে মামলা করেন তারা। আর গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।

মামলা প্রত্যাহারের পর

ট্যাগ :

৪৩৭ কোটি টাকায় রফা ড. ইউনূসের

প্রকাশিত : ০৯:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

মামলা প্রত্যাহারের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা টাকার রফা হয়েছে। শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিলের ৪৩৭ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে তাকে। তবে সেটি কম্পানির মুনাফার কত শতাংশ তা জানা যায়নি।

কম্পানি অর্থাৎ গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফার ৫ শতাংশ ‘শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল’ গঠন করে ২০০৬ সাল থেকে লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা।

আজ মঙ্গলবার রাতে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের আইনজীবী বলেন, “যতটুকু জানি হিসাব-নিকাশ করে ৪৩৭ কোটি টাকায় রফা হয়েছে। ১৭৬ জন শ্রমিক-কর্মচারী এ টাকাটা পাবেন। চেক ইস্যু করা শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সমঝোতা সম্পন্ন হতে আরো এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ”

আইন অনুযায়ী পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে, সম্প্রতি এমন সমঝোতার পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ছাঁটাই, পাওনা নিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ও ‘শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন’র করা শতাধিক মামলা প্রত্যাহার করা হয়। সে সমঝোতায় গতকাল সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে একটি, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে পাঁচটি এবং শ্রম আদালত থেকে ১০৪টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়।

হাইকোর্টে ছয়টি মামলার মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা মামলাটিও ছিল। বাকি পাঁচটি মামলার মধ্যে দুটি রিট মামলা, তিনটি আদালত অবমাননার। আর শ্রম আদালতে ১০৪টি মামলার মধ্যে ১০৩টিই শ্রমিক-কর্মচারীদের আলাদা মামলা। একটি মামলা ইউনিয়নের।

গ্রামীণ টেলিকমের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, “গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের সঙ্গে মালিক পক্ষের যে বিরোধ ছিল সেটি মিটে গেছে। ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড অনুযায়ী অনুযায়ী তাদের যে টাকাটা প্রাপ্য সেই টাকাটা তাদের দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে ফান্ডের টাকা ধরা হয়েছে। ”

কম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ ‘শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠন’ করে ২০০৬ সাল থেকে লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা। কিন্তু সেই লভ্যাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন না করায় শ্রম আদালত ও হাইকোর্টে মামলা করেন তারা। আর গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।

মামলা প্রত্যাহারের পর