০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কোদাল বিক্রি করে ফরম ফিলাপ, ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাত সুপারের!

ময়মনসিংহের ভালুকায় এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে এসএসসি সমমান দাখিল পরিক্ষার্থীর রেজিঃ ফি এবং ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের টাসকাপাড়া ডি এস বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী মোছা. পারভিন নামের এক ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে পারভিন বলেন, আমি দরিদ্র বাবার সন্তান। আমার বাবা মাটি কাটার কাজ করে আমার পরাশুনার খরচ বহন করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমার এস এস সি (দাখিল) পরিক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। বাবা কোন মতেই আমার ফরম পুরনের জন্য সম্পূর্ন টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাবার কাজের কোদাল বিক্রি করে দেন। পরে আমি মাদরাসার সুপার আমিনুল স্যারের কাছে ২৫০০ টাকা জমা দেই। এবং বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য চাদা প্রদান করি। কিন্তু এডমিট কার্ড আনতে গেয়ে শুনি আমার নাকি রেজিষ্টেশনই হয়নি। হতভম্ব হয়ে সুপার স্যারের কাছে জানতে চাই। তিনিও বলেন তোমার রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। এমতাবস্থায় আমি কোন কুল কিনারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরা লিখিত অভযোগ দায়ের করি। আমি যে কোন মূল্যে ২০২২ সনের এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে চাই। এ ব্যাপারে মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে, তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

কোদাল বিক্রি করে ফরম ফিলাপ, ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাত সুপারের!

প্রকাশিত : ০৫:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

ময়মনসিংহের ভালুকায় এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে এসএসসি সমমান দাখিল পরিক্ষার্থীর রেজিঃ ফি এবং ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের টাসকাপাড়া ডি এস বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী মোছা. পারভিন নামের এক ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে পারভিন বলেন, আমি দরিদ্র বাবার সন্তান। আমার বাবা মাটি কাটার কাজ করে আমার পরাশুনার খরচ বহন করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমার এস এস সি (দাখিল) পরিক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। বাবা কোন মতেই আমার ফরম পুরনের জন্য সম্পূর্ন টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাবার কাজের কোদাল বিক্রি করে দেন। পরে আমি মাদরাসার সুপার আমিনুল স্যারের কাছে ২৫০০ টাকা জমা দেই। এবং বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য চাদা প্রদান করি। কিন্তু এডমিট কার্ড আনতে গেয়ে শুনি আমার নাকি রেজিষ্টেশনই হয়নি। হতভম্ব হয়ে সুপার স্যারের কাছে জানতে চাই। তিনিও বলেন তোমার রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। এমতাবস্থায় আমি কোন কুল কিনারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরা লিখিত অভযোগ দায়ের করি। আমি যে কোন মূল্যে ২০২২ সনের এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে চাই। এ ব্যাপারে মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে, তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ