চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম আবাসিক পর্যায়ে 38 শতাংশ ও অনাবাসিকে ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধির ঘোষণাকে অমানবিক আখ্যায়িত করে এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম চট্টগ্রাম।
নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি এ এস এম আবদুল গফ্ফার মিয়াজী এক বিবৃতিতে এ আহবান জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনার ধাক্কায় দুই বছর এমনিতেই সকল শ্রেণীর মানুষ নানা সংকটে পড়েছেন। পুরো দেশ সেই সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্ঠায় আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় পণ্যের দাম বেড়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা করোনাকালীন সময়েও পানির দাম বাড়িয়েছে। নিয়মিত দাম বাড়ানোর পরও অতিরিক্ত ৩৮ শতাংশ দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। এর প্রভাব পড়বে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এতে শহর ছাড়তে বাধ্য হবেন অনেক পরিবার।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার অধিকাংশ গ্রাহকই সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিন্মআয়ের মানুষ। এ অবস্থায় ৬ মাসের মাথায় ওয়াসা কতৃক আবারো পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা, মরার উপর খাড়াঁর ঘা এর মতো। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার দৌরাত্ম্যে এমনিতেই জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। দফায় দফায় বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর দামও। মানুষ যখন বিদ্যুৎ-গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মুল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণায় কাতর, সেখানে নতুন করে পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।
আবদুল গফ্ফার মিয়াজী বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ৯২ শতাংশই আবাসিক গ্রাহক। প্রতি ইউনিটের জন্য আবাসিক গ্রাহকের পানির দাম ১৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩১ টাকা ৮২ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা করা হচ্ছে। সেই হিসেবে আবাসিকে পানির দাম একলাফে ৩৮ শতাংশ এবং বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের চেয়ে আবাসিকের গ্রাহকদের উপর চাপ তিনগুন বেশি পড়বে। সব মিলিয়ে শহরে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে বেশিরভাগ নিম্ম ও মধ্যবৃত্ত মানুষের।
তিনি অবিলম্বে পানির মূল্যবৃদ্ধির এই অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, দামের বোঝা ছাপিয়ে দিলে ওয়াসা জনরোষে পড়বে। সেবার পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে ওয়াসাকে স্বনির্ভর হতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সুয়্যারেজ প্রকল্প বাস্তবাায়নের মাধ্যমে আয় বাড়াতে হবে। তাছাড়া ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প চালু হলে ওয়াসা স্বনির্ভর হবে। আয় বর্ধক প্রকল্পগুলোর দিকে নজর না দিয়ে শুধু মাত্র পানির দাম বাড়ানো কোনো অবস্থাতেই যৌক্তিক হতে পারে না। ওয়াসাকে এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ


























