০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রাথমিকের ৪৫ হাজার শিক্ষক কবে পাবেন নিয়োগ

চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আগস্ট এলেও এখনো শেষ হয়নি মৌখিক পরীক্ষা। দেশব্যাপী একসঙ্গে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। অধিদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই নিয়োগ হতে পারে অক্টোবরের শেষের দিকে কিংবা নভেম্বরের শুরুর দিকে। তবে অর্থ বিভাগের সম্মতির ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত নিয়োগ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে বলে অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের ধারণা। দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষা তিনভাগে অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রত্যাশীদের এখন চলছে মৌখিক পরীক্ষা। একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে পরীক্ষার ফল। এবারের পরীক্ষায় থাকবে না কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একসঙ্গে ফল প্রকাশের পর নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে। এরপর দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগের ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়। ১৩তম বেতন গ্রেডের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০শে অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সে সময় পরীক্ষা বিলম্বিত হয়। এরইমাঝে অবসরে গেছেন আরও ১০ হাজার শিক্ষক। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ৪২ হাজার শূন্যপদ নিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগের জন্য আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। বৃহৎ এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে শুরুতেই আন্দোলন করেন পরীক্ষার্থীরা। তারা দাবি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা গ্রহণের। কিন্তু এরপরও এই পরীক্ষা দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় দুর্নীতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রস্তুতের সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এত বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আমরাও কিছুটা সন্দিহান। নিয়োগ পিছিয়ে গেলেও আমরা আশ্চর্য হবো না। কারণ এই শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ লাগবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে এই বদলি কার্যক্রম। মহানগরে অধিক সংখ্যক শিক্ষক আশার ইচ্ছা পোষণ করায় আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে ১১টি মহানগরের বদলি কার্যক্রম। শিক্ষক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, বদলি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতে নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া না হয়। এই বদলি কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগে বিলম্বিত হতে পারে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা, এসব শিক্ষকদের ফল প্রকাশের পর নিয়োগ পেতে বদলি কার্যক্রমের কারণে অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। বদলি কার্যক্রম শেষে শূন্যপদ সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে চায় মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান বলেন, সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে আমরা ফলাফল দিয়ে দেবো। তারা অক্টোবরে নিয়োগ পেতে পারেন। এটা নভেম্বরও হয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত তাদের নিয়োগ দেয়ার।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

প্রাথমিকের ৪৫ হাজার শিক্ষক কবে পাবেন নিয়োগ

প্রকাশিত : ১০:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আগস্ট এলেও এখনো শেষ হয়নি মৌখিক পরীক্ষা। দেশব্যাপী একসঙ্গে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। অধিদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই নিয়োগ হতে পারে অক্টোবরের শেষের দিকে কিংবা নভেম্বরের শুরুর দিকে। তবে অর্থ বিভাগের সম্মতির ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত নিয়োগ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে বলে অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের ধারণা। দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষা তিনভাগে অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রত্যাশীদের এখন চলছে মৌখিক পরীক্ষা। একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে পরীক্ষার ফল। এবারের পরীক্ষায় থাকবে না কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একসঙ্গে ফল প্রকাশের পর নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে। এরপর দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগের ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়। ১৩তম বেতন গ্রেডের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০শে অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সে সময় পরীক্ষা বিলম্বিত হয়। এরইমাঝে অবসরে গেছেন আরও ১০ হাজার শিক্ষক। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ৪২ হাজার শূন্যপদ নিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগের জন্য আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। বৃহৎ এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে শুরুতেই আন্দোলন করেন পরীক্ষার্থীরা। তারা দাবি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা গ্রহণের। কিন্তু এরপরও এই পরীক্ষা দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় দুর্নীতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রস্তুতের সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এত বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আমরাও কিছুটা সন্দিহান। নিয়োগ পিছিয়ে গেলেও আমরা আশ্চর্য হবো না। কারণ এই শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ লাগবে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে এই বদলি কার্যক্রম। মহানগরে অধিক সংখ্যক শিক্ষক আশার ইচ্ছা পোষণ করায় আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে ১১টি মহানগরের বদলি কার্যক্রম। শিক্ষক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, বদলি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতে নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া না হয়। এই বদলি কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগে বিলম্বিত হতে পারে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা, এসব শিক্ষকদের ফল প্রকাশের পর নিয়োগ পেতে বদলি কার্যক্রমের কারণে অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। বদলি কার্যক্রম শেষে শূন্যপদ সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে চায় মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান বলেন, সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে আমরা ফলাফল দিয়ে দেবো। তারা অক্টোবরে নিয়োগ পেতে পারেন। এটা নভেম্বরও হয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত তাদের নিয়োগ দেয়ার।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব