গত ১৬ আগস্ট ছিল গিটার জাদুকর-ব্যান্ড কিংবদন্তি ৬০তম জন্মবার্ষিকী। এ দিনটি উপলক্ষে এবার তাকে ট্রিবিউট করে প্রকাশ হলো ম্যাশআপ। যেখানে স্থান পেয়েছে তার তৈরি জনপ্রিয় ৫ গান।
এগুলো হলো- তারা ভরা রাতে, কষ্ট একটু কম দিলে হতো না, সাড়ে তিন হাত মাটি, একি অচেনা জীবন ও এক আকাশের তারা তুই। ম্যাশআপটির উদ্যোগ নিয়েছেন সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ। সংগীতায়োজন করেছেন আদিব কবীর। জুয়েলের সঙ্গে গেয়েছেন শেখ সাদী, হাসান শাম্স ইকবাল ও নূর নবী। ভিডিও পরিচালনায় আছেন চন্দন রায় চৌধুরী। আর তাতে মডেল হয়েছেন শিশুশিল্পী জাহরান।
বিষয়টি নিয়ে জুয়েল মোর্শেদ বলেন, ‘রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি তার বিশাল ভক্ত। তার গান শুনেই কিংবা স্টেজ শো দেখেই মিউজিকের প্রতি আসক্তি আমার। তার জীবদ্দশায় মিউজিকের টেকনিক্যাল অনেক বিষয়ে একসাথে কাজ করেছি। এমনকি তার মৃত্যুর পরও উনার ওয়েবসাইট ও রয়্যালটি নিয়ে কাজ করছি। তাই ভালোবাসার জায়গা থেকেই এই কাজটি করা।’
এদিকে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে এলআরবির পেজে। যেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর গানের কপিরাইট সংক্রান্ত সকল বিষয়ে আমাদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে জুয়েল। কিংবদন্তির জন্মদিনে তার একটি শুভেচ্ছা ট্রিবিউট এটি। জুয়েল ও তার বন্ধুদের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা।
এদিকে আজ (২০ আগস্ট) গানটি প্রকাশ হওয়ার পর প্রথম ঘণ্টাতেই সংগীতাঙ্গনের অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন অবসকিওরের গিটারিস্ট শান্ত রহমান ও সংগীতশিল্পী সুমন কল্যাণ।
সুমন কল্যাণ প্রথমে মন্তব্য করে জানতে চান, এলআরবি পেজটি হ্যাক হয়েছে কিনা? পরে আবার লেখেন, ‘আমি বসের সাথে মিউজিক করা মানুষ। আমি এই লোড নিতে পারলাম না আসলে।’
বিষয়টির প্রতিক্রিয়ায় জুয়েল বলেন, ‘সবার মন রক্ষা করা কঠিন। এরা নতুন প্রজন্মের গায়ক। ওদের মতো করে মিউজিক করেছে, গেয়েছে। সুমন কল্যাণের মনের মতো তো এই সময়ের মিউজিক হবে না। আমি শুধু তরুণদের ইনস্পায়ার করেছি। আর আমি কাজটি করেছি বাচ্চু ভাইর পরিবারের অনুমতি নিয়ে। এই কাজ থেকে কোনও রেভিনিউ জেনারেট হলে পরিবার পাবে, আমরা না।’
উল্লেখ্য, আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তার গানের মতোই সবাইকে কাঁদিয়ে উড়াল দেন না ফেরার দেশে। দেশের শীর্ষ ব্যান্ডদল ‘এলআরবি’র প্রাণ ছিলেন এই গিটার জাদুকর। ভালোবেসে সবাই তাকে ডাকতেন ‘এবি’ বলে। আর সংগীতাঙ্গনের মানুষরা ‘বস’ বলে সম্বোধন করতেন। তাকে বলা হতো বাংলাদেশের ‘গিটার লিজেন্ড’।
বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব