০২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

মারাত্মক চোখের জখম নিয়ে হাসপাতালে চার দিন, ডাক্তার বলল আঘাত সিম্পল

চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় একটি মারামারির ঘটনায় বাম চোখের উপরে মারাত্মক জখম নিয়ে গত ১৪ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আব্দুল রশিদের পুত্র মামুনুর রশিদ (৩২)। চিকিৎসা শেষে ১৭ জুলাই ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এই বিষয়ে ১৭ জুলাই ছাড়পত্রে ও ১৫ আগস্ট ইনজুরি সনদপত্রে আঘাতের ধরণ সিম্পল বলে উল্লেখ করেছেন সনদপত্র প্রদান বোর্ডের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ ও সদস্যসচিব ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আহত ব্যক্তি, মামলার বাদী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধির সাথে আতাঁত করে রিপোর্ট কারসাজির অভিযোগ তুলে তারা বলছেন মারাত্মক জখম নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে টানা তিন দিন চিকিৎসা প্রদান করে ৪ দিনের মাথায় পরবর্তী ১০ দিনের চিকিৎসাপত্র প্রদান করে রিলিজ দেন। আঘাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়াতেই এতোদিন সময় লেগেছে সুস্থ হতে। মামলা থেকে রেহাই পেতে একটি অপরাধী চক্রের যোগসাজসে রিপোর্টে সিম্পল আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে ন্যয় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন বাদী।

তবে সনদপত্রে কারসাজির কথা অস্বীকার করে ইনজুরি সনদপত্র প্রদান বোর্ডের সদস্য ডা. মনজুর মোর্শেদ বলেন ১শটা সেলাই হলেও আঘাত গ্রিভিয়াস বা গুরুত্বর পর্যায়ে পড়বে না, যতক্ষন পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গেনি । আমরা যা চিকিৎসা করেছি তাই সনদে উল্লেখ করেছি। চোখের উপরে আঘাতের ব্যপারে তিনি বলেন এধরণের আঘতে চোখ বেরিয়ে গেলেই আমরা গ্রিভিয়াস লিখি।

তখন তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তাহলে মাথায় দা এর কোপে রক্তক্ষরণ হয়ে ৩০টি সেলাই করে তখনও কি গুরুত্বর হবেনা ? তখন তিনি বলেন না হবেনা যতক্ষন মাথার হাড় ভেঙ্গে মগজ না বের হয়। ওই অবস্থায় মারা গেলে আপনি তখন কি লিখবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন তখনো সিম্পল লিখব তবে মারা গেলে পরে হত্যারটা যোগ হয়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের ডাক্তাররা ৮টি পয়েন্টে আঘাতই গুরুতর মনে করেন।

এব্যপারে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান আব্দুল্লা আল মামুন বলেন-আমি এখন ঢাকায় ব্যস্ত আপনি সোমবারে অফিসে আসেন। তবে সনদ দেয়ার বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিব। গুরুত্বর আর গুরুত্বর নয় সেই বিষয়ে আপনাকে আমি এসে সরাসরি ব্যাখ্যা দিব।

উল্লেখ্য এই ঘটনায় স্থানীয় সাতকানিয়া থানায় গত ১৪ জুলাই আহতের মামা মোহাম্মদ ফোরকান ( ৪৮ ) বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মো. খোকন (২৫), শরিফুল ইসলাম (২৮) ও মো. শহিদুল ইসলাম (৩২) এবং তাদের মাতা জাহানারা বেগম (৫০)।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

মারাত্মক চোখের জখম নিয়ে হাসপাতালে চার দিন, ডাক্তার বলল আঘাত সিম্পল

প্রকাশিত : ০৫:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় একটি মারামারির ঘটনায় বাম চোখের উপরে মারাত্মক জখম নিয়ে গত ১৪ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আব্দুল রশিদের পুত্র মামুনুর রশিদ (৩২)। চিকিৎসা শেষে ১৭ জুলাই ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এই বিষয়ে ১৭ জুলাই ছাড়পত্রে ও ১৫ আগস্ট ইনজুরি সনদপত্রে আঘাতের ধরণ সিম্পল বলে উল্লেখ করেছেন সনদপত্র প্রদান বোর্ডের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ ও সদস্যসচিব ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আহত ব্যক্তি, মামলার বাদী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধির সাথে আতাঁত করে রিপোর্ট কারসাজির অভিযোগ তুলে তারা বলছেন মারাত্মক জখম নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে টানা তিন দিন চিকিৎসা প্রদান করে ৪ দিনের মাথায় পরবর্তী ১০ দিনের চিকিৎসাপত্র প্রদান করে রিলিজ দেন। আঘাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়াতেই এতোদিন সময় লেগেছে সুস্থ হতে। মামলা থেকে রেহাই পেতে একটি অপরাধী চক্রের যোগসাজসে রিপোর্টে সিম্পল আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে ন্যয় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন বাদী।

তবে সনদপত্রে কারসাজির কথা অস্বীকার করে ইনজুরি সনদপত্র প্রদান বোর্ডের সদস্য ডা. মনজুর মোর্শেদ বলেন ১শটা সেলাই হলেও আঘাত গ্রিভিয়াস বা গুরুত্বর পর্যায়ে পড়বে না, যতক্ষন পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গেনি । আমরা যা চিকিৎসা করেছি তাই সনদে উল্লেখ করেছি। চোখের উপরে আঘাতের ব্যপারে তিনি বলেন এধরণের আঘতে চোখ বেরিয়ে গেলেই আমরা গ্রিভিয়াস লিখি।

তখন তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তাহলে মাথায় দা এর কোপে রক্তক্ষরণ হয়ে ৩০টি সেলাই করে তখনও কি গুরুত্বর হবেনা ? তখন তিনি বলেন না হবেনা যতক্ষন মাথার হাড় ভেঙ্গে মগজ না বের হয়। ওই অবস্থায় মারা গেলে আপনি তখন কি লিখবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন তখনো সিম্পল লিখব তবে মারা গেলে পরে হত্যারটা যোগ হয়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের ডাক্তাররা ৮টি পয়েন্টে আঘাতই গুরুতর মনে করেন।

এব্যপারে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান আব্দুল্লা আল মামুন বলেন-আমি এখন ঢাকায় ব্যস্ত আপনি সোমবারে অফিসে আসেন। তবে সনদ দেয়ার বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিব। গুরুত্বর আর গুরুত্বর নয় সেই বিষয়ে আপনাকে আমি এসে সরাসরি ব্যাখ্যা দিব।

উল্লেখ্য এই ঘটনায় স্থানীয় সাতকানিয়া থানায় গত ১৪ জুলাই আহতের মামা মোহাম্মদ ফোরকান ( ৪৮ ) বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আবু তাহেরের পুত্র মো. খোকন (২৫), শরিফুল ইসলাম (২৮) ও মো. শহিদুল ইসলাম (৩২) এবং তাদের মাতা জাহানারা বেগম (৫০)।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব