০৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাহাত্তারপুলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানবন্ধন

চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল থেকে চকবাজার পর্যন্ত চালাচল করা অটোটেম্পু সার্ভিসটির কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অল্প আয়ের মানুষ এবং অল্প দুরত্বে যাওয়া যাত্রীরা সল্প খরচে আসা যাওয়া করছে।
হাইকোর্ট থেকে অনুমোদন এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যথাযত নির্দেশ মেনে চলছে অটোটেম্পু সার্ভিসটি। সম্প্রতি একটি চক্র চাঁদা দাবি করে না পেয়ে অটোটেম্পু সার্ভিসটি বন্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। পথে পথে চালকদের বাঁধা দিচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে সার্ভিসটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি বন্ধ করা হলে এলাকাবাসী ও যাতীসাধারণ দুর্ভোগে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাহাত্তারপুল মোড়ে এক মানবন্ধনে সাধারণ যাত্রী ও চালকরা এসব অভিযোগ করে সার্ভিসটি চালু রাখার দাবী জানান। একই সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।

মোহাম্মদ নিশাদের পরিচালানায় মানবন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন। সাধারণ যাত্রী ও সমাজ সেবক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, চালক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ যাত্রীরা বক্তব্য রাখেন।

মানবন্ধনে বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, চকবাজারে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, কাজী মহসীন কলেজ, কাজেম আলী স্কুল, বিজ্ঞান কলেজ, মেরনসান স্কুল এন্ড কলেজ, বিএড কলেজসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় যোগাযোগের জন্য তেমন কোন সহজ বাহন নেই। ফলে অল্প দূরত্বের এ পথে চলাচলে লোকজনকে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়।

তিনি বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে শ্রমিক লীগের নেতা ও সমাজসেবক নজরুল ইসলাম খোকন ২০১৬ সালে দেড়শ’টি অটোটেম্পু চলাচলের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন। ২০২২ সালে আদালত অটোটেম্পু সার্ভিস চালুর অনুমতি দেয়। এরপর বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে টেম্পু সার্ভিসটি চালু করে।

মানবন্ধনে চালকরা বলেন, টেম্পু সার্ভিস চালুর পর থেকেই একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চাঁদা দাবি করে আসছে। তারা চালকদের পথে পথে বাঁধা, মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করছে। চাঁদাবাজ চক্রটি অটোটেম্পু সার্ভিসটি বন্ধে বেনামে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে চিঠি দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করছে। মানবন্ধনে বক্তারা, চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

রাহাত্তারপুলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানবন্ধন

প্রকাশিত : ০৩:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

চট্টগ্রাম মহানগরের রাহাত্তারপুল থেকে চকবাজার পর্যন্ত চালাচল করা অটোটেম্পু সার্ভিসটির কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অল্প আয়ের মানুষ এবং অল্প দুরত্বে যাওয়া যাত্রীরা সল্প খরচে আসা যাওয়া করছে।
হাইকোর্ট থেকে অনুমোদন এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যথাযত নির্দেশ মেনে চলছে অটোটেম্পু সার্ভিসটি। সম্প্রতি একটি চক্র চাঁদা দাবি করে না পেয়ে অটোটেম্পু সার্ভিসটি বন্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। পথে পথে চালকদের বাঁধা দিচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে সার্ভিসটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি বন্ধ করা হলে এলাকাবাসী ও যাতীসাধারণ দুর্ভোগে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাহাত্তারপুল মোড়ে এক মানবন্ধনে সাধারণ যাত্রী ও চালকরা এসব অভিযোগ করে সার্ভিসটি চালু রাখার দাবী জানান। একই সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।

মোহাম্মদ নিশাদের পরিচালানায় মানবন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন। সাধারণ যাত্রী ও সমাজ সেবক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, চালক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ যাত্রীরা বক্তব্য রাখেন।

মানবন্ধনে বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, চকবাজারে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, কাজী মহসীন কলেজ, কাজেম আলী স্কুল, বিজ্ঞান কলেজ, মেরনসান স্কুল এন্ড কলেজ, বিএড কলেজসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় যোগাযোগের জন্য তেমন কোন সহজ বাহন নেই। ফলে অল্প দূরত্বের এ পথে চলাচলে লোকজনকে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়।

তিনি বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে শ্রমিক লীগের নেতা ও সমাজসেবক নজরুল ইসলাম খোকন ২০১৬ সালে দেড়শ’টি অটোটেম্পু চলাচলের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন। ২০২২ সালে আদালত অটোটেম্পু সার্ভিস চালুর অনুমতি দেয়। এরপর বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে টেম্পু সার্ভিসটি চালু করে।

মানবন্ধনে চালকরা বলেন, টেম্পু সার্ভিস চালুর পর থেকেই একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চাঁদা দাবি করে আসছে। তারা চালকদের পথে পথে বাঁধা, মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করছে। চাঁদাবাজ চক্রটি অটোটেম্পু সার্ভিসটি বন্ধে বেনামে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে চিঠি দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করছে। মানবন্ধনে বক্তারা, চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব