০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেশাদার খুনি আক্কাস মিয়া গ্রেফতার করছে র‍্যাব-৩

  • মাসুদ রানাঃ
  • প্রকাশিত : ০২:১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 13

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজকরছে প্রতিনিয়ত ।বিগত দিনগুলোতে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতারের অভিযান পরিচালনা করেউল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসামী গ্রেফতার করে।যার মধ্যে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর ০৩ টি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসিরিয়াল কিলার খ্যাত দুর্ধর্ষ ফেরারি আসামী মোঃ হেলাল হোসেনকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকা থেকেগ্রেফতার,এছাড়াও র‍্যাব-৩ মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ছদ্মবেশী বেশ কিছু দুর্ধর্ষ খুনী, ডাকাত এবংধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ গভীর রাতে র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিকদল রাজধানীর দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানা এলাকা হতে খুন, ডাকাতি ও খুনসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তহবিগঞ্জ,নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জের ত্রাস পেশাদার খুনি আক্কাস মিয়া (৪২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ধৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, খুন এবং ডাকাতি করা তার পেশা। খুন ও ডাকাতি হতে অর্জিত অর্থ দিয়ে সে জীবিকানির্বাহ করে থাকে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সে নগর ইউনিয়ন, আদমপুর, গোয়ালবাড়ী, খালীয়াজুড়িঁ থানা, জেলানেত্রকোনা এলাকার জনৈক মনোরঞ্জন সরকারের পাকা বাড়ির দেয়াল হেমার দিয়ে ভেঙ্গে তার দলসহ বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িরপুরুষ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ অলংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। উক্ত ডাকাতিরঘটনায় মনোরঞ্জন সরকারের পুত্র বাঁধা প্রদান করলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

উক্ত ডাকাতির ঘটনা ছাড়াও তার বাহিনী হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ এলাকায় অর্ধ-শতাধিক বাড়িতে ডাকাতি করে।অধিকাংশ ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃংখলা বাহিনী তার পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি।তার একটি ডাকাত দল রয়েছে যাআক্কাস বাহিনী হিসেবে পরিচিত। ব্যক্তি জীবনে আব্বাস সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি ও পার করতে পারেনি এক কথায় সে গন্ডমূর্খ ।তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

২০০৬ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খুন, ডাকাতি, খুনসহ ডাকাতি, চুরি, মারামারি, লুটপাট, দাঙ্গা-হামলাসহ ১২ টি মামলা নিয়েপলাতক রয়েছেন দীর্ঘ সময়। ২০১৬ সালে সে সুনামগঞ্জ হতে পালিয়ে রাজধানীতে এসে ছদ্মনামে বসবাস করতে শুরু করে।রাজধানীতে আসার পর একাধিকবার সে তার বাসস্থান ও পেশা পরিবর্তন করলেও কখনোই সে তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশকরেনি। জীবিকার তাগিদে সে প্রথমে রিক্সা চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।

আজ ০১ সেপ্টেম্বর ২২ ইং কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসকল তথ্য জানান, র‍্যাব-৩ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেশাদার খুনি আক্কাস মিয়া গ্রেফতার করছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত : ০২:১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজকরছে প্রতিনিয়ত ।বিগত দিনগুলোতে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতারের অভিযান পরিচালনা করেউল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসামী গ্রেফতার করে।যার মধ্যে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর ০৩ টি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসিরিয়াল কিলার খ্যাত দুর্ধর্ষ ফেরারি আসামী মোঃ হেলাল হোসেনকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকা থেকেগ্রেফতার,এছাড়াও র‍্যাব-৩ মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ছদ্মবেশী বেশ কিছু দুর্ধর্ষ খুনী, ডাকাত এবংধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ গভীর রাতে র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিকদল রাজধানীর দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানা এলাকা হতে খুন, ডাকাতি ও খুনসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তহবিগঞ্জ,নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জের ত্রাস পেশাদার খুনি আক্কাস মিয়া (৪২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ধৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, খুন এবং ডাকাতি করা তার পেশা। খুন ও ডাকাতি হতে অর্জিত অর্থ দিয়ে সে জীবিকানির্বাহ করে থাকে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সে নগর ইউনিয়ন, আদমপুর, গোয়ালবাড়ী, খালীয়াজুড়িঁ থানা, জেলানেত্রকোনা এলাকার জনৈক মনোরঞ্জন সরকারের পাকা বাড়ির দেয়াল হেমার দিয়ে ভেঙ্গে তার দলসহ বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িরপুরুষ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ অলংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। উক্ত ডাকাতিরঘটনায় মনোরঞ্জন সরকারের পুত্র বাঁধা প্রদান করলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

উক্ত ডাকাতির ঘটনা ছাড়াও তার বাহিনী হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ এলাকায় অর্ধ-শতাধিক বাড়িতে ডাকাতি করে।অধিকাংশ ডাকাতির ঘটনায় আইন-শৃংখলা বাহিনী তার পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি।তার একটি ডাকাত দল রয়েছে যাআক্কাস বাহিনী হিসেবে পরিচিত। ব্যক্তি জীবনে আব্বাস সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি ও পার করতে পারেনি এক কথায় সে গন্ডমূর্খ ।তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

২০০৬ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খুন, ডাকাতি, খুনসহ ডাকাতি, চুরি, মারামারি, লুটপাট, দাঙ্গা-হামলাসহ ১২ টি মামলা নিয়েপলাতক রয়েছেন দীর্ঘ সময়। ২০১৬ সালে সে সুনামগঞ্জ হতে পালিয়ে রাজধানীতে এসে ছদ্মনামে বসবাস করতে শুরু করে।রাজধানীতে আসার পর একাধিকবার সে তার বাসস্থান ও পেশা পরিবর্তন করলেও কখনোই সে তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশকরেনি। জীবিকার তাগিদে সে প্রথমে রিক্সা চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।

আজ ০১ সেপ্টেম্বর ২২ ইং কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসকল তথ্য জানান, র‍্যাব-৩ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব