১১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসা

পুলিশের মত কঠিন পেশায় থেকেও পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস (৩৬)। পেশা হিসেবে পুলিশের চাকরি এমনিতেই অনেক কঠিন। তার ওপর পেশা যদি হয় ট্রাফিক পুলিশের তাহলে তো কথাই নেই! তারপরও কঠিন এই পেশার ফাঁকেই বছরের পর বছর প্রতিদিন নিয়ম করে শত শত পাখিদের নিজ হাতে খাবার খাওয়াচ্ছেন পাখিপ্রেমী পুলিশ কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয়।

অভুক্ত পাখিদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার পাশাপাশি পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে দেয়া, নির্বিচারে পাখি শিকার বা পাখি নিধন বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলারও কাজ করে যাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। এসব কিছুই তিনি করছেন পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকে। গাঁটের টাকা খরচ করে এভাবে বছরের পর বছর ধরে পাখিদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। এ কাজে আলোচনা-সমালোচনারও যেন শেষ নেই। ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এমনকি সহকর্মীদের অনেকেই তাকে পাগল বলে মন্তব্য করে থাকেন। তবে প্রখ্যাত উপস্থাপক হানিফ সংকেত পাখিপ্রেমী মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে একটি প্রতিবেদন প্রচার করার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় এখন রীতিমত ভাইরাল।

‘জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশর’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন মৃত্যুঞ্জয়। ছোট বেলা থেকেই মৃত্যুঞ্জয় পশু-পাখিদের প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করতেন। কিন্তু পাখিদের নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা খাওয়ানোর গল্পের শুরু ২০২০ সালে। মত্যুঞ্জয় জানান, তখন করোনা মহামারী চলছে। কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাফিক পুলিশে। করোনার বিধিনিষেধের কারণে খাবারের হোটেল-রেস্তরা, দোকান-পাট সব কিছুই বন্ধ। এরকম একদিন আমি পাখিদের অনেক কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার উপলদ্ধি হয় পাখিরা হয়তো অভুক্ত। ক্ষুধার জ্বালায় তারা এরকম করছে। এরকম উপলদ্ধি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের কোন এক সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে পাখিদের খাবার দেয়া শুরু করি। চানাচুর, মুড়ি, বিস্কুটের গুড়া ছিটানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই দল বেঁধে পাখিরা খাবারের জন্য ছুটে আসত। এভাবে নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা সকাল-বিকাল পাখিদের খাবার দিতাম।

এভাবেই শুরু হয় মৃত্যুঞ্জয়ের পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অন্য রকম গল্প। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মৃত্যুঞ্জয় চুয়াডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশে যোগদান করেন। বাসা ভাড়া নেন শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকায়। চুয়াডাঙ্গা জেলার মত কুষ্টিয়াতেও মৃত্যুঞ্জয় প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে নিজ হাতে পাখিদের খাবার দিয়ে আসছেন। তার ব্যবহৃত সরকারি মোটরসাইকেলের দুই পাশের বক্সে সব সময় পাখিদের জন্য খাবার মজুদ থাকে। ভোরের আলো ফুঁটে বের হতে না হতেই চাবি দিয়ে তালাবদ্ধ বক্স খুলে প্যাকেট করা খাবার খুলে পাখিদের মাঝে ছিটিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয়। আর শত শত শালিক আর কাক ছুটে এসে সে খাবার খেতে থাকে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। শুধু পাখি নয়; পশুদের প্রতিও একই রকম মমত্ববোধ কাজ করে মৃত্যুঞ্জয়ের। গত ১৬ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে ডিউটিরত অবস্থায় একটি ক্ষুধার্ত বানরকে নিজ হাতে কলা আর পাউরুটি খাওয়াতে দেখা যায় মৃত্যুঞ্জয়কে। শুধু পশু-পাখির প্রতি মমত্ববোধই নয়, নির্বিচারে পাখি শিকার বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজও করে যাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে তিনি পাখি শিকার বন্ধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ২০১৪ সালে গড়ে তুলেছেন ‘বিহঙ্গ বিলাস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

মৃত্যুঞ্জয় জানান, সংগঠনটির উদ্যোগে নিজ এলাকায় পাখি শিকার বন্ধে সাইকেল র‌্যালী, লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচী তারা পালন করে আসছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ও শালিকা উপজেলার আড়পাড়া এবং বুনগাতী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি ইউনিয়ন ঘেঁষে বুরাইল বিলের বিস্তৃতি। ফটকি নদী ঘেঁষা বুরাইল বিলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শামুককোল, পাতিসরাইল, পানকড়ি, কালেম, বক, ডাহুকসহ নানা প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে থাকে। এই সুযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে শিকারিরা এখানে এসে নির্বিচারে পাখি শিকার করত। ‘বিহঙ্গ বিলাস’ সংগঠনের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ চলতি বছরের ৩ আগষ্ট বুরাইল বিল এলাকাকে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি মনে করেন, এটি তাদের সংগঠনের সদস্যদের জন্য একটি অনেক বড় প্রাপ্তি। চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকাবস্থায় ২০২০ সালে পাখিদের জন্য বাসা তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেন মৃত্যুঞ্জয়। সে সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় পুলিশের ৩৯টি স্থাপনায় মাটির হাঁড়ি ও পাহাড়ী বাঁশের তৈরি প্রায় ৫ হাজার পাখির বাসা বানিয়ে দেয়া হয়।

মৃত্যুঞ্জয়ের পশু-পাখির প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখি বিশেষজ্ঞ এসআই সোহেল বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হয়েও পাখির প্রতি তার যে মমত্ববোধ তা প্রশংসার দাবি রাখে। নাগরায়নের ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পশু-পাখিরা খাবারের সন্ধানে দলে দলে ঝাঁক বেঁধে শহরে আসছে। আমাদের সবার উচিত পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা। মানুষের পাশাপাশি পশু পাখির জন্যও একটি বাসযোগ্য পৃথিবী কাম্য। মৃত্যুঞ্জয়ের দেখাদেখি আমরা সবাই যদি পশু পাখির প্রতি একটু মমতা প্রদর্শন করতে পারি তাহলে এটি হবে আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে পুলিশ সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের পশু-পাখির প্রতি মমত্ববোধ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ইতিবাচক-নেতিবাচক কোন মন্তব্যই করতে রাজি হননি।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসা

প্রকাশিত : ০৪:২৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

পুলিশের মত কঠিন পেশায় থেকেও পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস (৩৬)। পেশা হিসেবে পুলিশের চাকরি এমনিতেই অনেক কঠিন। তার ওপর পেশা যদি হয় ট্রাফিক পুলিশের তাহলে তো কথাই নেই! তারপরও কঠিন এই পেশার ফাঁকেই বছরের পর বছর প্রতিদিন নিয়ম করে শত শত পাখিদের নিজ হাতে খাবার খাওয়াচ্ছেন পাখিপ্রেমী পুলিশ কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয়।

অভুক্ত পাখিদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার পাশাপাশি পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে দেয়া, নির্বিচারে পাখি শিকার বা পাখি নিধন বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলারও কাজ করে যাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। এসব কিছুই তিনি করছেন পশু-পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকে। গাঁটের টাকা খরচ করে এভাবে বছরের পর বছর ধরে পাখিদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। এ কাজে আলোচনা-সমালোচনারও যেন শেষ নেই। ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এমনকি সহকর্মীদের অনেকেই তাকে পাগল বলে মন্তব্য করে থাকেন। তবে প্রখ্যাত উপস্থাপক হানিফ সংকেত পাখিপ্রেমী মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে একটি প্রতিবেদন প্রচার করার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় এখন রীতিমত ভাইরাল।

‘জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশর’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন মৃত্যুঞ্জয়। ছোট বেলা থেকেই মৃত্যুঞ্জয় পশু-পাখিদের প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করতেন। কিন্তু পাখিদের নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা খাওয়ানোর গল্পের শুরু ২০২০ সালে। মত্যুঞ্জয় জানান, তখন করোনা মহামারী চলছে। কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাফিক পুলিশে। করোনার বিধিনিষেধের কারণে খাবারের হোটেল-রেস্তরা, দোকান-পাট সব কিছুই বন্ধ। এরকম একদিন আমি পাখিদের অনেক কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার উপলদ্ধি হয় পাখিরা হয়তো অভুক্ত। ক্ষুধার জ্বালায় তারা এরকম করছে। এরকম উপলদ্ধি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের কোন এক সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে পাখিদের খাবার দেয়া শুরু করি। চানাচুর, মুড়ি, বিস্কুটের গুড়া ছিটানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই দল বেঁধে পাখিরা খাবারের জন্য ছুটে আসত। এভাবে নিয়ম করে প্রতিদিন দুবেলা সকাল-বিকাল পাখিদের খাবার দিতাম।

এভাবেই শুরু হয় মৃত্যুঞ্জয়ের পাখিদের প্রতি ভালোবাসার এক অন্য রকম গল্প। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মৃত্যুঞ্জয় চুয়াডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশে যোগদান করেন। বাসা ভাড়া নেন শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকায়। চুয়াডাঙ্গা জেলার মত কুষ্টিয়াতেও মৃত্যুঞ্জয় প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে নিজ হাতে পাখিদের খাবার দিয়ে আসছেন। তার ব্যবহৃত সরকারি মোটরসাইকেলের দুই পাশের বক্সে সব সময় পাখিদের জন্য খাবার মজুদ থাকে। ভোরের আলো ফুঁটে বের হতে না হতেই চাবি দিয়ে তালাবদ্ধ বক্স খুলে প্যাকেট করা খাবার খুলে পাখিদের মাঝে ছিটিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয়। আর শত শত শালিক আর কাক ছুটে এসে সে খাবার খেতে থাকে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। শুধু পাখি নয়; পশুদের প্রতিও একই রকম মমত্ববোধ কাজ করে মৃত্যুঞ্জয়ের। গত ১৬ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে ডিউটিরত অবস্থায় একটি ক্ষুধার্ত বানরকে নিজ হাতে কলা আর পাউরুটি খাওয়াতে দেখা যায় মৃত্যুঞ্জয়কে। শুধু পশু-পাখির প্রতি মমত্ববোধই নয়, নির্বিচারে পাখি শিকার বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজও করে যাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে তিনি পাখি শিকার বন্ধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ২০১৪ সালে গড়ে তুলেছেন ‘বিহঙ্গ বিলাস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

মৃত্যুঞ্জয় জানান, সংগঠনটির উদ্যোগে নিজ এলাকায় পাখি শিকার বন্ধে সাইকেল র‌্যালী, লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচী তারা পালন করে আসছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ও শালিকা উপজেলার আড়পাড়া এবং বুনগাতী ইউনিয়নের প্রায় ১০টি ইউনিয়ন ঘেঁষে বুরাইল বিলের বিস্তৃতি। ফটকি নদী ঘেঁষা বুরাইল বিলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শামুককোল, পাতিসরাইল, পানকড়ি, কালেম, বক, ডাহুকসহ নানা প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে থাকে। এই সুযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে শিকারিরা এখানে এসে নির্বিচারে পাখি শিকার করত। ‘বিহঙ্গ বিলাস’ সংগঠনের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ চলতি বছরের ৩ আগষ্ট বুরাইল বিল এলাকাকে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি মনে করেন, এটি তাদের সংগঠনের সদস্যদের জন্য একটি অনেক বড় প্রাপ্তি। চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকাবস্থায় ২০২০ সালে পাখিদের জন্য বাসা তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেন মৃত্যুঞ্জয়। সে সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় পুলিশের ৩৯টি স্থাপনায় মাটির হাঁড়ি ও পাহাড়ী বাঁশের তৈরি প্রায় ৫ হাজার পাখির বাসা বানিয়ে দেয়া হয়।

মৃত্যুঞ্জয়ের পশু-পাখির প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখি বিশেষজ্ঞ এসআই সোহেল বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হয়েও পাখির প্রতি তার যে মমত্ববোধ তা প্রশংসার দাবি রাখে। নাগরায়নের ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই পশু-পাখিরা খাবারের সন্ধানে দলে দলে ঝাঁক বেঁধে শহরে আসছে। আমাদের সবার উচিত পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা। মানুষের পাশাপাশি পশু পাখির জন্যও একটি বাসযোগ্য পৃথিবী কাম্য। মৃত্যুঞ্জয়ের দেখাদেখি আমরা সবাই যদি পশু পাখির প্রতি একটু মমতা প্রদর্শন করতে পারি তাহলে এটি হবে আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে পুলিশ সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের পশু-পাখির প্রতি মমত্ববোধ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ইতিবাচক-নেতিবাচক কোন মন্তব্যই করতে রাজি হননি।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব