০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দুমাস আগে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া শ্রীলঙ্কায় ফিরলেন

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি এতদিন সাময়িক ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই সিঙ্গাপুর হয়ে কলম্বো ফিরেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, শ্রীলংকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জন্য এই গোটাবাইয়ার সাবেক সরকারকেই দায়ী করে দেশটির মানুষের একাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের জের ধরে দেশটিতে তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছিলো। এর জের ধরেই গত এপ্রিলে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে। এর জেরে গত মে মাসে পদত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং গোটাবাইয়ার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে।

তবে মাহিন্দার পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি আন্দোলনকারীরা। তারা গত জুলাই মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। গোটাবাইয়া ওই অবস্থায় সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ এবং পরে সিঙ্গাপুর হয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান নেন।

তার পলায়নের পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হন রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে নতুন সরকারের জন্য গোটাবাইয়ার ফিরে আসাটাও অনেক স্পর্শকাতর একটি বিষয়, কারণ সরকার এই মুহূর্তে নতুন করে কোন বিক্ষোভ দেখতে চাইছে না। আবার দেশে গোটাবাইয়ার নিরাপত্তাও হুমকিতে আছে। অবশ্য বিক্ষোভের অন্যতম নেতা ফাদার জিভান্থা পেইরিস জানিয়েছেন, রাজাপাকসের ফিরে আসার বিরোধিতা তারা করছেন না। শ্রীলংকার যে কোন নাগরিকই দেশে ফিরে আসতে পারেন। তবে তিনি যদি আবার রাজনীতি বা সরকারে সক্রিয় হতে চান তাহলে আবারও আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

দুমাস আগে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া শ্রীলঙ্কায় ফিরলেন

প্রকাশিত : ১১:৪১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি এতদিন সাময়িক ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই সিঙ্গাপুর হয়ে কলম্বো ফিরেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, শ্রীলংকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জন্য এই গোটাবাইয়ার সাবেক সরকারকেই দায়ী করে দেশটির মানুষের একাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের জের ধরে দেশটিতে তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছিলো। এর জের ধরেই গত এপ্রিলে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে। এর জেরে গত মে মাসে পদত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং গোটাবাইয়ার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে।

তবে মাহিন্দার পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি আন্দোলনকারীরা। তারা গত জুলাই মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। গোটাবাইয়া ওই অবস্থায় সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ এবং পরে সিঙ্গাপুর হয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান নেন।

তার পলায়নের পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হন রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে নতুন সরকারের জন্য গোটাবাইয়ার ফিরে আসাটাও অনেক স্পর্শকাতর একটি বিষয়, কারণ সরকার এই মুহূর্তে নতুন করে কোন বিক্ষোভ দেখতে চাইছে না। আবার দেশে গোটাবাইয়ার নিরাপত্তাও হুমকিতে আছে। অবশ্য বিক্ষোভের অন্যতম নেতা ফাদার জিভান্থা পেইরিস জানিয়েছেন, রাজাপাকসের ফিরে আসার বিরোধিতা তারা করছেন না। শ্রীলংকার যে কোন নাগরিকই দেশে ফিরে আসতে পারেন। তবে তিনি যদি আবার রাজনীতি বা সরকারে সক্রিয় হতে চান তাহলে আবারও আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব