১১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

কাজ দেয়ার কথা বলে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার ৭

গ্রেপ্তারকৃত সাত জন আসামী

রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য রোববার টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মো. আ. রহিম (৪০)। নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে কাজ দেয়ার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাকে মারধর করে তার সাথে থাকা তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে তাকে আটকে রেখে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তার পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে রহিমকে অপহরণকারী মোটরসাইকেল যোগে শহরের অন্য বাসায় নিয়ে যায়। তারা দুটি বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা আনার জন্য রহিমের বাড়িতে তাগিদ দেয়। বিষয়টি আ. রহিমের ছোট ভাই আ. রাজ্জাক র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুর সাহাপাড়া থেকে আ. রহিমকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাব সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।


গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে কালিহাতীর রতনগঞ্জ গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে জামিল হোসেন সাগর (২২), আদি টাঙ্গাইল এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শাকিল আহমেদ হৃদয় (২৭), মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে লাবিব খান (১৮), ফজলুল হকের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), গারাইল এলাকার আব তাহেরের ছেলে হৃদয় আহমেদ (২২), সখীপুর সদরের এবাদত হোসেনের ছেলে বাধন (১৯), ও মোস্তফা কামালের ছেলে রাব্বি খান (১৮)।


রহিম বলেন, আমি কাজের সন্ধ্যানে টাঙ্গাইল শহরে এসেছিলাম। এখানে এসে যে আমি অপহরণ ও জিম্মি হবো তা কখনও কল্পনাও করিনি। আমাকে যারা মারধর করে মুক্তিপন দাবি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
দুপুরে র‌্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান নিশ্চিত করে জানান, শহরের কাজের উদ্দেশ্যে এসে অপহরণ হয় আ. রহিম। পরে তার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আ. রহিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দুটি সুইচ গিয়ার ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে সদর থানায় আ. রহিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত সাত জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

কাজ দেয়ার কথা বলে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশিত : ০৩:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য রোববার টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মো. আ. রহিম (৪০)। নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে কাজ দেয়ার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাকে মারধর করে তার সাথে থাকা তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে তাকে আটকে রেখে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তার পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে রহিমকে অপহরণকারী মোটরসাইকেল যোগে শহরের অন্য বাসায় নিয়ে যায়। তারা দুটি বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা আনার জন্য রহিমের বাড়িতে তাগিদ দেয়। বিষয়টি আ. রহিমের ছোট ভাই আ. রাজ্জাক র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুর সাহাপাড়া থেকে আ. রহিমকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাব সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।


গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে কালিহাতীর রতনগঞ্জ গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে জামিল হোসেন সাগর (২২), আদি টাঙ্গাইল এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শাকিল আহমেদ হৃদয় (২৭), মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে লাবিব খান (১৮), ফজলুল হকের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), গারাইল এলাকার আব তাহেরের ছেলে হৃদয় আহমেদ (২২), সখীপুর সদরের এবাদত হোসেনের ছেলে বাধন (১৯), ও মোস্তফা কামালের ছেলে রাব্বি খান (১৮)।


রহিম বলেন, আমি কাজের সন্ধ্যানে টাঙ্গাইল শহরে এসেছিলাম। এখানে এসে যে আমি অপহরণ ও জিম্মি হবো তা কখনও কল্পনাও করিনি। আমাকে যারা মারধর করে মুক্তিপন দাবি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
দুপুরে র‌্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান নিশ্চিত করে জানান, শহরের কাজের উদ্দেশ্যে এসে অপহরণ হয় আ. রহিম। পরে তার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আ. রহিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দুটি সুইচ গিয়ার ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে সদর থানায় আ. রহিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত সাত জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব