০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নৌকা পেতে আগ্রহী এক ঝাঁক আ.লীগ নেতা

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। গত ২৩ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরপরই আলোচনা চলছে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। ইতোমধ্যে অনেকের নাম এসেছে এই তালিকায়। একাধিক ব্যক্তিই দলীয় সমর্থন চাইবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের জন্য। ইতিমধ্যে নিজ নিজ সমর্থন আদায়ের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে যেগাযোগ শুরু করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি চা-স্টলে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এই হাওয়া থেকে পিছিয়ে নেই গ্রাম-গঞ্জ। কে হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন স্থানে গুঞ্জন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি দলের বাইরে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।

প্রার্থীদের তালিকায় আলোচনার শীর্ষে আছেন, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান।

এই তালিকায় আরও আছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য্য, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধকালীন বেসামরিক সেক্টর পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহ-অধিনায়ক, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র আইনজীবি বিমল কুমার দাস, ঢাকা বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, সিরাজগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বর্তমানে প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে জেলায় অনেক উন্নয়নমুলক কাজ করেছি।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান বলেন, আমি সারাটা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে পরিচালিত করেছি। জীবনের সবটুকু সময় দলকে শক্তিশালী করতে নিবেদিত হয়ে কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়, তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো।

আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ অনুযায়ী, নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ইতিমধ্যে পাচ বছর পূর্ন হওয়ায় পুনরায সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

নৌকা পেতে আগ্রহী এক ঝাঁক আ.লীগ নেতা

প্রকাশিত : ০১:২১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। গত ২৩ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরপরই আলোচনা চলছে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। ইতোমধ্যে অনেকের নাম এসেছে এই তালিকায়। একাধিক ব্যক্তিই দলীয় সমর্থন চাইবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের জন্য। ইতিমধ্যে নিজ নিজ সমর্থন আদায়ের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে যেগাযোগ শুরু করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি চা-স্টলে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এই হাওয়া থেকে পিছিয়ে নেই গ্রাম-গঞ্জ। কে হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন স্থানে গুঞ্জন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি দলের বাইরে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।

প্রার্থীদের তালিকায় আলোচনার শীর্ষে আছেন, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান।

এই তালিকায় আরও আছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য্য, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধকালীন বেসামরিক সেক্টর পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহ-অধিনায়ক, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র আইনজীবি বিমল কুমার দাস, ঢাকা বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, সিরাজগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বর্তমানে প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে জেলায় অনেক উন্নয়নমুলক কাজ করেছি।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান বলেন, আমি সারাটা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে পরিচালিত করেছি। জীবনের সবটুকু সময় দলকে শক্তিশালী করতে নিবেদিত হয়ে কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়, তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো।

আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ অনুযায়ী, নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ইতিমধ্যে পাচ বছর পূর্ন হওয়ায় পুনরায সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব