১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

 ব্যবসার আড়ালে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় সিআইডি কর্তৃক গ্রেফতার ১৬

সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটিঅভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৬ (ষোল) জনকে গ্রেফতার

রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ। সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি এদেশের অর্থনীতির উপর যে চাপ তৈরী করেছে তা মোকাবেলা করার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর। হুন্ডি সবসময় রিজার্ভের জন্য একটি বড়চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এই ঝুঁকি মোকাবেলায় সিআইডি হুন্ডি কার্যক্রমের উপর নজরদারী শুরু করে।সিআইডি ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহপূর্বক MFS এর মাধ্যমে হুন্ডি পরিলক্ষিত হচ্ছে এরকম প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক MFS এজেন্টএকাউন্টের সন্ধান পায়।সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটিঅভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৬ (ষোল) জনকে গ্রেফতার করে এবং এই হুন্ডি চক্রের সদস্যদের দ্বারা গত ০৪ মাসে ২০কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় যে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে হুন্ডির মাধমে বিদেশে অর্থপাচার এবং বিদেশে অবস্থানরতওয়েজ আর্নারদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যমে মানি লন্ডারিংঅপরাধ করে আসছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় এর MFS এজেন্ট এই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িতমর্মে চিহ্নিত করা হয়। এই ৫০০০ (পাঁচহাজার) MFS এজেন্টের হুন্ডি ব্যবসার কারণে গত চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ২৫০০০(পঁচিশ হাজার) কোটি টাকার সমপরিমান মূ্ল্যের রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যা গত একবছরে ৭৫০০০ (পঁচাত্তর হাজার) কোটি টাকার সমপরিমাণ। যা ইউএস ডলারে পরিমাণ দাড়ায় প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন।

সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসে বাংলাদেশীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে না পাঠিয়ে উক্ত বৈদেশিক মুদ্রারসমপরিমান মূল্যে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। এ কাজে অপরাধীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করে থাকে। প্রথম গ্রুপবিদেশে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মূদ্রা সংগ্রহ করে, দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদেরকে দেয়।দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তার সহযোগীরা দেশীয় মূদ্রায় উক্ত অর্থ MFS এর এজেন্টকে প্রদান করে। তৃতীয় গ্রুপ তথা MFS এরএজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারীর নিকট হতে প্রাপ্ত MFS নম্বরে দেশীয় মূদ্রায় মূল্য পরিশোধ করে।

এসব চক্র প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে MFS ব্যবহার করে ক্যাশ ইন এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করছে। MFS এরএজেন্টদের সহযোগীতায় পাচারকারীরা বিদেশে স্থায়ী সম্পদ অর্জনসহ অনলাইন জুয়া, মাদক কেনাবেচা, স্বর্ণচোরাচালান, ইয়াবাব্যবসাসহ প্রচুর অবৈধ ব্যবসাও পরিচালনা করছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আক্তার হোসেন (৪০ ),হুন্ডি এজেন্ট দিদারুল আলম সুমন (৩৪)খোরশেদ আলম ইমন (২২), হুন্ডি এজেন্ট এর সহযোগি রুমন কান্তি দাস জয় (৩৪), বিকাশএজেন্ট,রাশেদ মঞ্জুর ফিরোজ (৪৫) সিইও, সেলিম এন্ড ব্রাদার্স ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ,মোঃ হোসাইনুল কবির (৩৫)বিকাশডিএসএস,নবীন উল্লাহ (৩৭)বিকাশ ডিএসএস,মোঃ জুনাইদুল হক (৩০), বিকাশ ডিএসএস আদিবুর রহমান (২৫),বিকাশ ডিএসও,আসিফ নেওয়াজ (২৭)বিকাশ ডিএসও,ফরহাদ হোসাইন (২৫), বিকাশ ডিএসও,আবদুলবাছির (২৭), বিকাশ এজেন্ট,মাহাবুবুর রহমান সেলিম (৫০), বিকাশ এজেন্ট,আবদুল আউয়াল সোহাগ (৩৬), বিকাশএজেন্ট,ফজলে রাব্বি (২৭), বিকাশ এজেন্ট,শামীমা আক্তার (৩২),হুন্ডি পরিচালনাকারী।

তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা- ১০,৪৬,৬৮০/-০৪টি সীমে জব্দকৃত ইলেক্ট্রনিক মানি ৩,৪৬,৪৭,২২৯/- টাকা ৩৪ টি জব্দকৃত মোবাইল ০৩ টি ল্যাপটপ,০১ টি ট্যাব ৩৩ টি জব্দকৃত সিম,০১ টি হার্ডডিস্ক ০৭ মডেম- ০৭টি ১০ টি চেক বই উদ্ধার করা হয়।

এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেশী ও বিদেশী মুদ্রাপাচার মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২(শ) (১৪) ধারা অনুযায়ী সম্পৃক্তঅপরাধ। যা একই আইনের ৪(২) এর ধারায় দন্ডনীয়। এ বিষয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মামলা রেকর্ডসহ যথাযথ আইনানুগব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

 

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

 ব্যবসার আড়ালে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় সিআইডি কর্তৃক গ্রেফতার ১৬

প্রকাশিত : ০৪:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ। সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি এদেশের অর্থনীতির উপর যে চাপ তৈরী করেছে তা মোকাবেলা করার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর। হুন্ডি সবসময় রিজার্ভের জন্য একটি বড়চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এই ঝুঁকি মোকাবেলায় সিআইডি হুন্ডি কার্যক্রমের উপর নজরদারী শুরু করে।সিআইডি ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহপূর্বক MFS এর মাধ্যমে হুন্ডি পরিলক্ষিত হচ্ছে এরকম প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক MFS এজেন্টএকাউন্টের সন্ধান পায়।সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটিঅভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৬ (ষোল) জনকে গ্রেফতার করে এবং এই হুন্ডি চক্রের সদস্যদের দ্বারা গত ০৪ মাসে ২০কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় যে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে হুন্ডির মাধমে বিদেশে অর্থপাচার এবং বিদেশে অবস্থানরতওয়েজ আর্নারদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যমে মানি লন্ডারিংঅপরাধ করে আসছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় এর MFS এজেন্ট এই অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িতমর্মে চিহ্নিত করা হয়। এই ৫০০০ (পাঁচহাজার) MFS এজেন্টের হুন্ডি ব্যবসার কারণে গত চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ২৫০০০(পঁচিশ হাজার) কোটি টাকার সমপরিমান মূ্ল্যের রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যা গত একবছরে ৭৫০০০ (পঁচাত্তর হাজার) কোটি টাকার সমপরিমাণ। যা ইউএস ডলারে পরিমাণ দাড়ায় প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন।

সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসে বাংলাদেশীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে না পাঠিয়ে উক্ত বৈদেশিক মুদ্রারসমপরিমান মূল্যে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। এ কাজে অপরাধীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করে থাকে। প্রথম গ্রুপবিদেশে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মূদ্রা সংগ্রহ করে, দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদেরকে দেয়।দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তার সহযোগীরা দেশীয় মূদ্রায় উক্ত অর্থ MFS এর এজেন্টকে প্রদান করে। তৃতীয় গ্রুপ তথা MFS এরএজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারীর নিকট হতে প্রাপ্ত MFS নম্বরে দেশীয় মূদ্রায় মূল্য পরিশোধ করে।

এসব চক্র প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে MFS ব্যবহার করে ক্যাশ ইন এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করছে। MFS এরএজেন্টদের সহযোগীতায় পাচারকারীরা বিদেশে স্থায়ী সম্পদ অর্জনসহ অনলাইন জুয়া, মাদক কেনাবেচা, স্বর্ণচোরাচালান, ইয়াবাব্যবসাসহ প্রচুর অবৈধ ব্যবসাও পরিচালনা করছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আক্তার হোসেন (৪০ ),হুন্ডি এজেন্ট দিদারুল আলম সুমন (৩৪)খোরশেদ আলম ইমন (২২), হুন্ডি এজেন্ট এর সহযোগি রুমন কান্তি দাস জয় (৩৪), বিকাশএজেন্ট,রাশেদ মঞ্জুর ফিরোজ (৪৫) সিইও, সেলিম এন্ড ব্রাদার্স ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ,মোঃ হোসাইনুল কবির (৩৫)বিকাশডিএসএস,নবীন উল্লাহ (৩৭)বিকাশ ডিএসএস,মোঃ জুনাইদুল হক (৩০), বিকাশ ডিএসএস আদিবুর রহমান (২৫),বিকাশ ডিএসও,আসিফ নেওয়াজ (২৭)বিকাশ ডিএসও,ফরহাদ হোসাইন (২৫), বিকাশ ডিএসও,আবদুলবাছির (২৭), বিকাশ এজেন্ট,মাহাবুবুর রহমান সেলিম (৫০), বিকাশ এজেন্ট,আবদুল আউয়াল সোহাগ (৩৬), বিকাশএজেন্ট,ফজলে রাব্বি (২৭), বিকাশ এজেন্ট,শামীমা আক্তার (৩২),হুন্ডি পরিচালনাকারী।

তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা- ১০,৪৬,৬৮০/-০৪টি সীমে জব্দকৃত ইলেক্ট্রনিক মানি ৩,৪৬,৪৭,২২৯/- টাকা ৩৪ টি জব্দকৃত মোবাইল ০৩ টি ল্যাপটপ,০১ টি ট্যাব ৩৩ টি জব্দকৃত সিম,০১ টি হার্ডডিস্ক ০৭ মডেম- ০৭টি ১০ টি চেক বই উদ্ধার করা হয়।

এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেশী ও বিদেশী মুদ্রাপাচার মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২(শ) (১৪) ধারা অনুযায়ী সম্পৃক্তঅপরাধ। যা একই আইনের ৪(২) এর ধারায় দন্ডনীয়। এ বিষয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মামলা রেকর্ডসহ যথাযথ আইনানুগব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব