০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিক্ষার্থীদের কোটি টাকা হরিলুট

নেই পরিবহন , নেই চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা, তবুও শিক্ষার্থীদের দিতে হয় এইসব খাতে টাকা। এরকম নানা খাত দেখিয়ে প্রতিবছর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় কোটি কোটি টাকা। তবে সে সকল টাকা শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের কোন কাজে আসেনা । কোন খাতে কিভাবে এসব টাকা ব্যায় হয় তাও জানেনা কেউ। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারির যোগসাজসে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয় এসব কোটি কোটি টাকা। ১৯৪৭ সালে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজ। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রিসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২১ হাজার। উন্নয়ন ফিস বাবদ প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওঠে ৭৫ লাখ টাকা, পরিবহন খাত থেকে ওঠে ২০ লাখ, চিকিৎসা খাত থেকে ওঠে ১০ লাখ। এরকম প্রায় ১৮ টি খাত দেখিয়ে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলা হয় কোটি কোটি টাকা। যার কোন দৃশ্যমান কারযক্রম নেই। ছাত্রদের কল্যানে নেওয়া এসব টাকায় কল্যান হচ্ছে কলেজের কিছু শিক্ষক ও কর্মচারিদের এমনই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শুধু এসব খাতই নয় এর বাইরেও নাম মাত্র সংস্কার কাজের খরচ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রেনী কক্ষের ২ টি রুম সংস্কারে নাম মাত্র কিছু কাজ করা হলেও তাতে ব্যায় হয়েছে ঠিক কত টাকা জানেন না এই বিভাগের কোন শিক্ষকও। অভিযোগ রয়েছে এসকল টাকা আত্মসাতে কাজী মনজুর কাদির, অধ্যক্ষের নির্দেশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেন স্টোর কিপার লুৎফর রহমান এবং তা দিয়েই তোলা হয় টাকা। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এতো অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই অধ্যক্ষ বলছেন, শিক্ষার্থীদের নানা খাতে তোলা টাকা পরিপত্রের বিধান মোতাবেক ব্যায় করা হয়।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা পরিদর্শনের প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থ বছরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজসহ দেশের ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাত থেকে টাকা উত্তোলন ও ব্যয়ে অনিয়মের তথ্য চি‎হ্নিত করে আপত্তি তোলা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের দাবী তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এসব অনিয়মের।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

 শিক্ষার্থীদের কোটি টাকা হরিলুট

প্রকাশিত : ১২:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেই পরিবহন , নেই চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা, তবুও শিক্ষার্থীদের দিতে হয় এইসব খাতে টাকা। এরকম নানা খাত দেখিয়ে প্রতিবছর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় কোটি কোটি টাকা। তবে সে সকল টাকা শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের কোন কাজে আসেনা । কোন খাতে কিভাবে এসব টাকা ব্যায় হয় তাও জানেনা কেউ। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারির যোগসাজসে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয় এসব কোটি কোটি টাকা। ১৯৪৭ সালে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজ। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রিসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২১ হাজার। উন্নয়ন ফিস বাবদ প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওঠে ৭৫ লাখ টাকা, পরিবহন খাত থেকে ওঠে ২০ লাখ, চিকিৎসা খাত থেকে ওঠে ১০ লাখ। এরকম প্রায় ১৮ টি খাত দেখিয়ে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলা হয় কোটি কোটি টাকা। যার কোন দৃশ্যমান কারযক্রম নেই। ছাত্রদের কল্যানে নেওয়া এসব টাকায় কল্যান হচ্ছে কলেজের কিছু শিক্ষক ও কর্মচারিদের এমনই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শুধু এসব খাতই নয় এর বাইরেও নাম মাত্র সংস্কার কাজের খরচ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রেনী কক্ষের ২ টি রুম সংস্কারে নাম মাত্র কিছু কাজ করা হলেও তাতে ব্যায় হয়েছে ঠিক কত টাকা জানেন না এই বিভাগের কোন শিক্ষকও। অভিযোগ রয়েছে এসকল টাকা আত্মসাতে কাজী মনজুর কাদির, অধ্যক্ষের নির্দেশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেন স্টোর কিপার লুৎফর রহমান এবং তা দিয়েই তোলা হয় টাকা। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এতো অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই অধ্যক্ষ বলছেন, শিক্ষার্থীদের নানা খাতে তোলা টাকা পরিপত্রের বিধান মোতাবেক ব্যায় করা হয়।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা পরিদর্শনের প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থ বছরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজসহ দেশের ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাত থেকে টাকা উত্তোলন ও ব্যয়ে অনিয়মের তথ্য চি‎হ্নিত করে আপত্তি তোলা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের দাবী তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এসব অনিয়মের।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব