০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান -এর জন্মদিন উদযাপন

আজ ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (জামান)-এর ৯৬তম জন্মদিন। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। ‘আশিক ফাউন্ডেশন- এর আয়োজনে শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর বাংলামটর জহুরা ভবনের সপ্তম তলায় আশিক সেন্টারে এসময় উপস্থিত ছিলেন ২০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু, সঙ্গীতশিল্পী রিদওয়ানা আফরীন সুমি, শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের পরিবারের লোকজন ও ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবার। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদেশ থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি আশিকের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও সেবাগ্রুপের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন চৌধুরী ও চেয়ারপার্সন সালমা চৌধুরী।

মহতি এই আয়োজন নিয়ে জামানের মেঝো ছেলে মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, `আজ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাবার জন্মদিন পালন করতে পেরে ভালো লাগছে। বাবা যে একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী ছিলেন তার সন্তান ভাবতে গর্বে মন ভরে যায়। স্বাধীনতার জন্য বাবার যে অবদান তা তুলেধরা অত্যন্ত্ জরুরী। বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

১৯২৬ সালে নরসিংদি জেলার রায়পুরা উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের জন্মগ্রহন করেন জামান। দেশের স্বাধীনতার জন্য চিরস্মরনীয় যে কয়জন বুদ্ধিজীবী ছিলেন তাদের একজন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (জামান)। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রথম প্রচারিত জাতীয় সংগীত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত (৭মার্চ’৭১) ভাষণের ক্যাসেট যিনি বেতার কেন্দ্রকে সরবরাহ করেছিলেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন নিজ গ্রামের অনেকে জানেন না ওনার ইতিহাস. চট্রগ্রাম পোর্টে ওনার নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হলেও নিজ জেলা এবং উপজেলাতে ওনার নামে নেই কোন স্হাপনা। পিতা মরহুম তায়েবদ্দীন আহমদ রায়পুরা উপজেলার প্রথম মুসলমান গ্রাজুয়েট। চার ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মহাম্মদ শামসুজ্জামান তিনি রেখে গেছেন ৪ সন্তান তিন ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে আসাদুজ্জামান,মেজো ছেলে মোঃ সাইদুজ্জামান, ছোট ছেলে মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান এবং একমাত্র কন্যা সালমা চৌধুরী।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জামান তাঁর সহধর্মিনী সালেহা জামান একজন মহীয়সী নারী। সুযোগ্য চার সন্তানের জননী। চার সন্তানকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে এতগুলো বছর পাড়ি দিয়েছেন সঙ্গীহীন একাই। বাংলাদেশ শ্রদ্ধা জানায় শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহধর্মিণী সালেহা জামানকে। তাঁর এই দেশের জন্য ত্যাগ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবো যতদিন বাংলাদেশ আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

নির্বাচন ঘিরে এআই ও ড্রোনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির কর্মপরিকল্পনা

ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান -এর জন্মদিন উদযাপন

প্রকাশিত : ০৪:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আজ ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (জামান)-এর ৯৬তম জন্মদিন। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। ‘আশিক ফাউন্ডেশন- এর আয়োজনে শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর বাংলামটর জহুরা ভবনের সপ্তম তলায় আশিক সেন্টারে এসময় উপস্থিত ছিলেন ২০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু, সঙ্গীতশিল্পী রিদওয়ানা আফরীন সুমি, শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের পরিবারের লোকজন ও ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবার। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদেশ থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি আশিকের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও সেবাগ্রুপের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন চৌধুরী ও চেয়ারপার্সন সালমা চৌধুরী।

মহতি এই আয়োজন নিয়ে জামানের মেঝো ছেলে মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, `আজ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাবার জন্মদিন পালন করতে পেরে ভালো লাগছে। বাবা যে একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী ছিলেন তার সন্তান ভাবতে গর্বে মন ভরে যায়। স্বাধীনতার জন্য বাবার যে অবদান তা তুলেধরা অত্যন্ত্ জরুরী। বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

১৯২৬ সালে নরসিংদি জেলার রায়পুরা উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের জন্মগ্রহন করেন জামান। দেশের স্বাধীনতার জন্য চিরস্মরনীয় যে কয়জন বুদ্ধিজীবী ছিলেন তাদের একজন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (জামান)। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রথম প্রচারিত জাতীয় সংগীত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত (৭মার্চ’৭১) ভাষণের ক্যাসেট যিনি বেতার কেন্দ্রকে সরবরাহ করেছিলেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন নিজ গ্রামের অনেকে জানেন না ওনার ইতিহাস. চট্রগ্রাম পোর্টে ওনার নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হলেও নিজ জেলা এবং উপজেলাতে ওনার নামে নেই কোন স্হাপনা। পিতা মরহুম তায়েবদ্দীন আহমদ রায়পুরা উপজেলার প্রথম মুসলমান গ্রাজুয়েট। চার ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মহাম্মদ শামসুজ্জামান তিনি রেখে গেছেন ৪ সন্তান তিন ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে আসাদুজ্জামান,মেজো ছেলে মোঃ সাইদুজ্জামান, ছোট ছেলে মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান এবং একমাত্র কন্যা সালমা চৌধুরী।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জামান তাঁর সহধর্মিনী সালেহা জামান একজন মহীয়সী নারী। সুযোগ্য চার সন্তানের জননী। চার সন্তানকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে এতগুলো বছর পাড়ি দিয়েছেন সঙ্গীহীন একাই। বাংলাদেশ শ্রদ্ধা জানায় শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহধর্মিণী সালেহা জামানকে। তাঁর এই দেশের জন্য ত্যাগ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবো যতদিন বাংলাদেশ আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ