০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিএম কাদেরের ক্ষমতা খর্ব করলেন রওশন এরশাদ

সাংগঠনিক চিঠির মাধ্যমে গঠনতন্ত্রের ধারাবলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরে ক্ষমতা খর্ব করলেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই চিঠিতে মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউল হক মৃধাসহ জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া, বহিষ্কৃত ও কমিটি থেকে বাদ যাওয়া নেতাকর্মীদের দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির সর্বময় ক্ষমতার সংরক্ষক হিসেবে পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা-১: প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরপন্থী ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ৩ এবং উপধারা ২ এর ক, খ, গ এবং উপধারা-৩ এ বর্ণিত অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীমূলক বিধান স্থগিত করে জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কমিটি থেকে বাদ দেয়া সকল নেতাকর্মীকে পার্টিতে অন্তর্ভূক্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদিত পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১) ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, চ, উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ এর সব বিধানের অপব্যবহার হচ্ছে। যা মৌলিকভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধান পরিপন্থ এবং স্বেচ্ছাচারীমূলক। একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন প্রণীত বিধানাবলী অনুযায়ী তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি সারা দেশের নেতাকর্মীরাও গঠনতন্ত্রে বর্ণিত এধরণের অগণতান্ত্রিক ধারার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ ধরণের অগণতান্ত্রিক ধরা-উপধারা বাতিল এখন লাখ লাখ পল্লীবন্ধুর কর্মী সমর্থকদের সময়ের দাবি।

আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসন ও সরকার পরিচালনায় যেমন এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে: থাকে একইভাবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক উল্লেখিত ধারার আবহে দলের গঠনতন্ত্রের মধ্যেও ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ ও ছ এবং উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ গৃহীত হয়েছে। যে ধারা অনুযায়ী আপনি যখন তখন তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত যে কাউকে দায়িত্ব থেকে বিনা নোটিশে শোকজে অব্যাহতি ও বহিষ্কার করে একজন রাজনৈতিক কর্মীর গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। প্রকৃতপক্ষে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ গৃহীত হওয়ার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার ১ (১) উপধারা-২ ও উপধারা-৩ বর্ণিত বিধানাবলীর সাথে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ন্যূনতম কোন সামঞ্জস্যতা নেই। আমি পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা-১: প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে সারা দেশের লাখ লাখ নেতা কর্মীর দাবি মেনে দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ চ ছ এবং উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ সহ সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক ধারা উপধারাসমূহ স্থগিত ঘোষণা করছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেন, সাম্প্রতিক দলীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমার কাছে প্রতিয়মান হয় যে, বিগত দিনে দলের বহু সিনিয়র, অভিজ্ঞ দায়িত্বশীল পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে, পদোন্নতি বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে যা পার্টিকে দিন দিন দুর্বল করার নামান্তর। পার্টির মধ্যে অগণতান্ত্রিক ভাব-আবহ সৃষ্টির কারণে নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে পার্টি খন্ডিত হওয়ার সমূহ আশংকা দেখা দিচ্ছে।

এরকম একটি পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে এবং পার্টি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আমার নিদর্শেনা অনুযায়ী প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙা এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গাফফার বিশ্বাস, এছাড়া নবম সম্মেলনের পর পদ-পদবিতে না রাখা সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড, মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুসহ দেশজুড়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত, বহিষ্কার ও নিষ্ক্রিয় করে রাখা সকল নেতাকর্মীদের এই আদেশ জারির পর হতে যার যার আগের পদ পদবিতে অর্ন্তভূক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

জিএম কাদেরের ক্ষমতা খর্ব করলেন রওশন এরশাদ

প্রকাশিত : ০৭:২৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাংগঠনিক চিঠির মাধ্যমে গঠনতন্ত্রের ধারাবলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরে ক্ষমতা খর্ব করলেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই চিঠিতে মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউল হক মৃধাসহ জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া, বহিষ্কৃত ও কমিটি থেকে বাদ যাওয়া নেতাকর্মীদের দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির সর্বময় ক্ষমতার সংরক্ষক হিসেবে পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা-১: প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরপন্থী ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ৩ এবং উপধারা ২ এর ক, খ, গ এবং উপধারা-৩ এ বর্ণিত অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীমূলক বিধান স্থগিত করে জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কমিটি থেকে বাদ দেয়া সকল নেতাকর্মীকে পার্টিতে অন্তর্ভূক্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদিত পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১) ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, চ, উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ এর সব বিধানের অপব্যবহার হচ্ছে। যা মৌলিকভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধান পরিপন্থ এবং স্বেচ্ছাচারীমূলক। একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন প্রণীত বিধানাবলী অনুযায়ী তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি সারা দেশের নেতাকর্মীরাও গঠনতন্ত্রে বর্ণিত এধরণের অগণতান্ত্রিক ধারার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ ধরণের অগণতান্ত্রিক ধরা-উপধারা বাতিল এখন লাখ লাখ পল্লীবন্ধুর কর্মী সমর্থকদের সময়ের দাবি।

আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসন ও সরকার পরিচালনায় যেমন এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে: থাকে একইভাবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক উল্লেখিত ধারার আবহে দলের গঠনতন্ত্রের মধ্যেও ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ ও ছ এবং উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ গৃহীত হয়েছে। যে ধারা অনুযায়ী আপনি যখন তখন তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত যে কাউকে দায়িত্ব থেকে বিনা নোটিশে শোকজে অব্যাহতি ও বহিষ্কার করে একজন রাজনৈতিক কর্মীর গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। প্রকৃতপক্ষে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ গৃহীত হওয়ার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার ১ (১) উপধারা-২ ও উপধারা-৩ বর্ণিত বিধানাবলীর সাথে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ন্যূনতম কোন সামঞ্জস্যতা নেই। আমি পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা-১: প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে সারা দেশের লাখ লাখ নেতা কর্মীর দাবি মেনে দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা ১ (১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ চ ছ এবং উপধারা-২ এর ক, খ ও গ এবং উপধারা-৩ সহ সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক ধারা উপধারাসমূহ স্থগিত ঘোষণা করছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেন, সাম্প্রতিক দলীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমার কাছে প্রতিয়মান হয় যে, বিগত দিনে দলের বহু সিনিয়র, অভিজ্ঞ দায়িত্বশীল পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে, পদোন্নতি বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে যা পার্টিকে দিন দিন দুর্বল করার নামান্তর। পার্টির মধ্যে অগণতান্ত্রিক ভাব-আবহ সৃষ্টির কারণে নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে পার্টি খন্ডিত হওয়ার সমূহ আশংকা দেখা দিচ্ছে।

এরকম একটি পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে এবং পার্টি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আমার নিদর্শেনা অনুযায়ী প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙা এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গাফফার বিশ্বাস, এছাড়া নবম সম্মেলনের পর পদ-পদবিতে না রাখা সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড, মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুসহ দেশজুড়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত, বহিষ্কার ও নিষ্ক্রিয় করে রাখা সকল নেতাকর্মীদের এই আদেশ জারির পর হতে যার যার আগের পদ পদবিতে অর্ন্তভূক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।