মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। গাংনীর ধানখোলা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে অসহায় ও দরিদ্রদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে উক্ত ইউনিয়নের ৩-নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন সহ বেশ কয়েক’জনের নামে।
পাকুড়িয়া গ্রামের সুফল মন্ডলের স্ত্রী সাধনা বলেন, আমাদের ঘর দেওয়ার কথা ছিল বাড়ির সামনের খাস জমিতে, কিন্তু এখন নিজের জমিতে ঘর দিতে চাচ্ছে, এবং ঘর পাইয়ে দেওয়া বাবদ মেম্বর আনোয়ার হোসেন কে আমি ও প্রতিবেশী ইতি একই দিনে, একই সময়ে পঞ্চাশ হাজার করে এক লক্ষ টাকা দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা কোন ঘর পায়নি। আদৌ পাবো কিনা তাও সঠিক জানিনা।
একই গ্রামের সামাদের স্ত্রী সুখীরন খাতুন বলেন, আমার দুই ছেলে সহ একই পরিবারের মাঝে আমাদের তিন-টা ঘর দেওয়া বাবদ পাকুড়িয়া গ্রামের বকুল এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে এবং টাকা নেওয়ার বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ঘর বরাদ্দ পেতে সবার কাছ থেকেই ৫০-৬০ হাজার টাকা করে নিয়েছে পাকুরিয়া গ্রামের বকুল, আশরাফ, ইউপি সদস্য আনোয়ার ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন। এলাকাবাসীরা আরও জানান যে বেশী টাকা দেয় তার ঘর আগে হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলে, সরকার কর্তৃক ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, আমি শুধু জনপ্রতিনিধি হিসেবে তালিকা পাঠিয়েছি। তাছাড়া আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মোবাইল ফোন গ্রহন (রিসিভ) করেনি। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম বলেন, এই ব্যাপারে আমি অবগত নয়। তবে সত্যতা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব


























