ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজার প্রস্তুতি এখন শেষের দিকে। তুলির আঁচড়ে প্রস্তত হচ্ছে প্রতিমা। মন্দিরে মন্দিরে চলছে উৎসবের আমেজ। মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এবছর নতুন একটি পুজা মন্ডপ সহ ৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ততা কমিয়ে এনছেন প্রতিমা কারিগর ও শিল্পীরা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫দিনব্যাপী শুরু হবে দুর্গাৎসব।
ইতিমধ্যে উপজেলার সবগুলো পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। এছাড়াও এবার পুজামন্ডপ গুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামরা। তাছাড়া যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি পূজা মন্ডপে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আগামী ১লা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। যা আগামী ৫ই অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।
বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, শারদীয় দূর্গাৎসব কে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর মাটিরাঙ্গায় ৭টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির মাটিরাঙ্গা সদর, গোমতি কালী ও জগন্নাথ মন্দির, বড়নাল ডাক বাংলা বাজার জগন্নাথ মন্দির, তবলছড়ি লাইফু কার্বারিপাড়া হরি মন্দির, তাইন্দং হেডম্যানপাড়া দূর্গা মন্দির, মাটিরাঙ্গা বলিটিলা শঙ্করমঠ ও গীতা আশ্রম ও বেলছড়ি শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় শিব মন্দির।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গাৎসব কে ঘিরে পূজা মন্ডপ গুলোর ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। পূজার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব