কক্সবাজারে ১৫০টি দোকান স্থাপনা ভেঙ্গে গণপূর্তের মাঠ উদ্ধার করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দীর্ঘ ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল টাকার সরকারি সম্পদ। ওই মাঠটি কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন। সমুদ্র সৈকত আবাসিক এলাকার বøক-এ এবং বøক-বি এর মধ্যবর্তী গণপূর্তের মালিকানাধীন এই মাঠে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানগুলোতে অভিযান চালায় কউক। এসময় মাঠে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ১৫০টি দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়।
কউক কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ এই মাঠ প্রকল্পের কাজ শুরু করলে জৈনক গিয়াস উদ্দিন গং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুকুম চেয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন। ৩১-০৫-২০১৯ তারিখ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত তার নিষেধাজ্ঞার হুকুম আবেদন খারিজ করে দেন। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে উক্ত গিয়াস উদ্দিন গং মহামান্য হাইকোর্টে আপীল করেন। এতে গণপূর্তের প্রকল্প কাজের উপর ৬ মাসের স্থিতবস্থা দেয়া হয় যা ক্রমাগত মেয়াদ বাড়তে থাকে। অবশেষে গত ২৩-০৮-২০২২ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত স্থিতবস্থা এবং একই আদেশে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে চলমান মূল মামলাটি বাতিল করে দেন।
এব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই জায়গার মালিক কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগ এবং গণপূর্ত বিভাগের নামে বি.এস খতিয়ান এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। জনৈক গিয়াস উদ্দিন গং এর ক্ষতিপূরণের টাকা পায় নাই মর্মে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার প্রতিবেদনে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিন গং এর ক্ষতিপূরণ বাবদ সব অর্থ পেয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের ফলে উচ্ছেদ করতে আইনগত কোন বাধা নাই মর্মে এ্যাটর্ণি জেনারেল অফিস থেকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব