০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষকতা ছেড়ে ফল চাষ করে পেলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার

শিক্ষকতা ছেড়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেছিলেন ফল চাষ এবার পেলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। শিক্ষকতা ছেড়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেন কৃষি কাজ। প্রচলিত ফসলের বাইরেও ফল চাষ শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তার বাণিজ্যিক কৃষি খামার গড়ে উঠে। বিভিন্ন ফল চাষ করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এবার তিনি লাভ করলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৬।

বাণিজ্যিক ভিত্তিক খামার স্থাপনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখায় এই পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিটি হচ্ছেন ছানোয়ার হোসেন। তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের মো. জামাল হোসেন ও মোছা. আনোয়ারা বেগমের সন্তান। বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রোঞ্জপদক প্রদান করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

ছানোয়ার হোসেন ১৯৯২ সালে ¯œাতক ডিগ্রি লাভের পর সিলেটের একটি স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পাঁচ বছর শিক্ষকতা করার পর চলে আসেন নিজ গ্রামে। পৈত্রিক জমিতে আগে থেকেই আনারস চাষ হতো। ছানোয়ার হোসেন প্রথমেই আনারস চাষ দিয়ে কৃষিতে যুক্ত হন। পরে নতুন নতুন ফল চাষ শুরু করেন। তিনি আনারসের পাশাপাশি মাল্টা, ড্রাগন, কলা, পেয়ারা কফি চাষ করছেন।

ছানোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে তার পাঁচ একর জমিতে আনারস, চার একর জমিতে মাল্টা, দুই একর জমিতে কলা, পেয়ারা ও ড্রাগন একর করে জমিতে এবং ৫০ শতাংশ জমিতে কফি চাষ করছেন। এছাড়াও তিন একর জমিতে ধান চাষ করছেন। এতে ভাল লাভবান হচ্ছেন। নিজের পৈত্রিক জমি এবং অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে এ চাষবাস করছেন তিনি। কৃষির আয় থেকেই ছানোয়ার হোসেন নিজের গ্রামে ২০১৪ সালে গড়ে তুলেছেন ‘মহিষমারা কলেজ’। এ কলেজের জন্য অর্থের যোগান দিয়েছেন কৃষির আয় থেকে। জমিও দান করেছেন তিনি। এবছর কলেজটি এমপিও ভুক্তও হয়েছে। মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ খান জানান, ছানোয়ার হোসেন একজন আদর্শ কৃষক। ফল চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই তাকে অনুসরণ করেছেন। তারাও সফল ফলচাষী হয়েছেন। ছানোয়ারের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়ায় এলাকার মানুষ আনন্দিত।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, ছানোয়ার হোসেন সফল কৃষক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি শুধু নিজে চাষবাস করেন না। অন্যদেরও সফলভাবে চাষবাসের পরামর্শ দেন।
ছানোয়ার হোসেন জানান, চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে কৃষি কাজ করে ভাল আছি, সুখে আছি। নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

শিক্ষকতা ছেড়ে ফল চাষ করে পেলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার

প্রকাশিত : ০৫:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

শিক্ষকতা ছেড়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেছিলেন ফল চাষ এবার পেলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। শিক্ষকতা ছেড়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেন কৃষি কাজ। প্রচলিত ফসলের বাইরেও ফল চাষ শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তার বাণিজ্যিক কৃষি খামার গড়ে উঠে। বিভিন্ন ফল চাষ করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এবার তিনি লাভ করলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৬।

বাণিজ্যিক ভিত্তিক খামার স্থাপনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখায় এই পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিটি হচ্ছেন ছানোয়ার হোসেন। তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের মো. জামাল হোসেন ও মোছা. আনোয়ারা বেগমের সন্তান। বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রোঞ্জপদক প্রদান করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

ছানোয়ার হোসেন ১৯৯২ সালে ¯œাতক ডিগ্রি লাভের পর সিলেটের একটি স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পাঁচ বছর শিক্ষকতা করার পর চলে আসেন নিজ গ্রামে। পৈত্রিক জমিতে আগে থেকেই আনারস চাষ হতো। ছানোয়ার হোসেন প্রথমেই আনারস চাষ দিয়ে কৃষিতে যুক্ত হন। পরে নতুন নতুন ফল চাষ শুরু করেন। তিনি আনারসের পাশাপাশি মাল্টা, ড্রাগন, কলা, পেয়ারা কফি চাষ করছেন।

ছানোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে তার পাঁচ একর জমিতে আনারস, চার একর জমিতে মাল্টা, দুই একর জমিতে কলা, পেয়ারা ও ড্রাগন একর করে জমিতে এবং ৫০ শতাংশ জমিতে কফি চাষ করছেন। এছাড়াও তিন একর জমিতে ধান চাষ করছেন। এতে ভাল লাভবান হচ্ছেন। নিজের পৈত্রিক জমি এবং অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে এ চাষবাস করছেন তিনি। কৃষির আয় থেকেই ছানোয়ার হোসেন নিজের গ্রামে ২০১৪ সালে গড়ে তুলেছেন ‘মহিষমারা কলেজ’। এ কলেজের জন্য অর্থের যোগান দিয়েছেন কৃষির আয় থেকে। জমিও দান করেছেন তিনি। এবছর কলেজটি এমপিও ভুক্তও হয়েছে। মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ খান জানান, ছানোয়ার হোসেন একজন আদর্শ কৃষক। ফল চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই তাকে অনুসরণ করেছেন। তারাও সফল ফলচাষী হয়েছেন। ছানোয়ারের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়ায় এলাকার মানুষ আনন্দিত।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, ছানোয়ার হোসেন সফল কৃষক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি শুধু নিজে চাষবাস করেন না। অন্যদেরও সফলভাবে চাষবাসের পরামর্শ দেন।
ছানোয়ার হোসেন জানান, চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে কৃষি কাজ করে ভাল আছি, সুখে আছি। নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব