০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভ‍ূঞাপুরে যমুনা নদীতে অসময়ে পানিবৃদ্ধি; তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে হঠাৎ পানিবৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও ফসলী জমি। এতে নদীর পানিতে চরাঞ্চলে রোপন করা ভুট্টা, বাদাম, কালাই ও ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) যমুনা নদীতে গতকালের চেয়ে ২২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে চরাঞ্চলে কৃষকরা জেগে উঠা চরে বাদাম, কাতি কালাই, ভুট্টা ও গাইঞ্জা জাতের ধান রোপন করে। এতে ফসল ভাল হলেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে অসময়ের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে। এতে হঠাৎ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার চরাঞ্চলের ফসলী জমি ও ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষকরা।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে ১২ বিঘা জমিতে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল রোপন করেছিলাম। ফসলও গতবছরের তুলনায় এবার ভাল আবাদ হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লাম।

কৃষক হুরমুজ প্রামাণিক, রহিজ উদ্দিন জানান, এই সময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবে সেটা কল্পনাও করিনি। পানি বাড়ার সম্ভবনা থাকলে ফসল রোপন করতাম না। এখনও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফসল তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক ফসলের চারা কেটে গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুয়ামূন কবীর জানান, অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলী জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের রোপন করা বাদাম, ভুট্টা, কালাই ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রনোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ভ‍ূঞাপুরে যমুনা নদীতে অসময়ে পানিবৃদ্ধি; তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

প্রকাশিত : ০২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে হঠাৎ পানিবৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও ফসলী জমি। এতে নদীর পানিতে চরাঞ্চলে রোপন করা ভুট্টা, বাদাম, কালাই ও ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) যমুনা নদীতে গতকালের চেয়ে ২২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে চরাঞ্চলে কৃষকরা জেগে উঠা চরে বাদাম, কাতি কালাই, ভুট্টা ও গাইঞ্জা জাতের ধান রোপন করে। এতে ফসল ভাল হলেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে অসময়ের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে। এতে হঠাৎ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার চরাঞ্চলের ফসলী জমি ও ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষকরা।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে ১২ বিঘা জমিতে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল রোপন করেছিলাম। ফসলও গতবছরের তুলনায় এবার ভাল আবাদ হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লাম।

কৃষক হুরমুজ প্রামাণিক, রহিজ উদ্দিন জানান, এই সময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবে সেটা কল্পনাও করিনি। পানি বাড়ার সম্ভবনা থাকলে ফসল রোপন করতাম না। এখনও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফসল তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক ফসলের চারা কেটে গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুয়ামূন কবীর জানান, অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলী জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের রোপন করা বাদাম, ভুট্টা, কালাই ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রনোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব