০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

আনোয়ারায় উপকূলীয় জেলেদের সাগরের মাছ ধরার নৌকায় নেই জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম

আনোয়ারা উপজেলায় উপকূলীয় এলাকার জেলেরা জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়া বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতেছে যায়।জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের অভাবে অনেক সময় প্রকৃতির দূর্যোগ খবলে পড়ে মৃত লাশ হয়ে উপকূলীয় এলাকার ফিরে আসে। আবার অনেক সময় জেলেদের লাশের সন্ধান ও পাওয়া যায় না।

জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামে অভাবে সাগরে প্রাকৃতির দূর্যোগে কবলে পড়লে জীবন বাঁচানোর ন্যূনতম সুযোগও তাদের থাকে না।দূর্যোগে কেউ কেউ ভাগ্যের জোরে তীরে ফেরত আসতে পারেন।আবার অনেকেই প্রাণ হারান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমুদ্রগামী কয়েক জন জেলে জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাজনদের ফিশিং বোটে সাগরে মাছ ধরতে যাই। সেখানে খাবার সামগ্রী দেওয়া হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া নেওয়া হয় না। ফলে সাগরে নৌকা ডুবে গেলে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন থাকে না।

জেলেরা জানান, জীবিকা নির্বাহ জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আনোয়ারা উপকূল এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রের মাছ শিকার করতে যায়। অনেক সময় ডাকাতের সশস্ত্র হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়। ক্ষত স্থানে সেলাই বা ব্যান্ডেজ এবং রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রত্যেক ট্রলারের জেলেদের কিংবা মাঝিকে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ এবং লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ, অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহের যদি মৎস বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেই সকল নৌকা/ বোটে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে।জেলেরা ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যেতে রক্ষা পাবে।

মাছ ধরার প্রতিটি ট্রলারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বয়া, লাইফ জ্যাকেট, র‌্যাপ (ভাসমান পাত্র), অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, কম্পাস, রেডিও, প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকতে হবে। মাছ ধরার ট্রলার তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিইটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন আনোয়ারায় উপকূলের প্রায় ৬১০০ জন জেলে। উপকূলে ছোট-বড় মিলে ৯১০টি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। উপজেলা তালিকাভুক্ত ২৪০০ জন জেলের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।

নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার হয় কিনা জানতে চাইলে, উঠান মাঝির ঘাটের কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন জানান, জেলেদের প্রশিক্ষণ, লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহের উপজেলা মৎস্য বিভাগ এবং নৌ-পুলিশের নির্দেশ রয়েছে। প্রতিটি সাম্পান এবং শিপিং বোটের আমরা লাইফ জ্যাকেট,বালি ব্যবহার করি।তবে রাতের বেলায় সকল সময় নৌকায় মাঝে জেলেরা ঘুমিয়ে পড়লে জাহাড় মেরে দিলে তখন আর লাইফ জ্যাকেট পড়ার সুযোগ থাকে না। জেলের সাগরের গভীর জলে ডুবে যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশীদুল হক জানান, জেলেদের মাছ ধরা নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করানো জন্য আমরা প্রশিক্ষণ এবং আলোচনা সভা সবসময় নির্দেশ দিয়ে থাকি। অনেক সময় জেলেরা সাগরের মাছ শিকার যাওয়া সময় যারা নিয়মনীতি মেনে চলা না। তারা বেশি ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা সাগরের মাছ শিকার করার সময় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কখনো অভিযান পরিচালনা করতেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই রকম আইন এখনো হয়নি। আমরা এই রকম অভিযান পরিচালনা করেনি।

আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় মৎস্য কর্মকর্তা, কোস্ট গার্ড এবং নৌ-পুলিশের যারা আছি। মিটিং করে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করানো জন্য জেলেদের সর্তক করতেছি। সর্বস্ত সর্তকতা সাথে সাগরের যাওয়া কথা বলতেছি। সর্তক সংকেত চলাকারী সময়ে আমরা হাত মাইকিং এবং প্রতিটা ঘাটে ঘাটে গিয়ে জেলেদের সাগরে মাছ শিকার না যাওয়া জন্য সর্তক করে থাকি। জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার যে সকল নৌকা ব্যবহার করে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ দিলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আনোয়ারায় উপকূলীয় জেলেদের সাগরের মাছ ধরার নৌকায় নেই জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম

প্রকাশিত : ০৬:১৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

আনোয়ারা উপজেলায় উপকূলীয় এলাকার জেলেরা জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়া বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতেছে যায়।জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের অভাবে অনেক সময় প্রকৃতির দূর্যোগ খবলে পড়ে মৃত লাশ হয়ে উপকূলীয় এলাকার ফিরে আসে। আবার অনেক সময় জেলেদের লাশের সন্ধান ও পাওয়া যায় না।

জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামে অভাবে সাগরে প্রাকৃতির দূর্যোগে কবলে পড়লে জীবন বাঁচানোর ন্যূনতম সুযোগও তাদের থাকে না।দূর্যোগে কেউ কেউ ভাগ্যের জোরে তীরে ফেরত আসতে পারেন।আবার অনেকেই প্রাণ হারান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমুদ্রগামী কয়েক জন জেলে জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাজনদের ফিশিং বোটে সাগরে মাছ ধরতে যাই। সেখানে খাবার সামগ্রী দেওয়া হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া নেওয়া হয় না। ফলে সাগরে নৌকা ডুবে গেলে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন থাকে না।

জেলেরা জানান, জীবিকা নির্বাহ জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আনোয়ারা উপকূল এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রের মাছ শিকার করতে যায়। অনেক সময় ডাকাতের সশস্ত্র হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়। ক্ষত স্থানে সেলাই বা ব্যান্ডেজ এবং রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রত্যেক ট্রলারের জেলেদের কিংবা মাঝিকে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ এবং লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ, অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহের যদি মৎস বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেই সকল নৌকা/ বোটে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে।জেলেরা ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যেতে রক্ষা পাবে।

মাছ ধরার প্রতিটি ট্রলারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বয়া, লাইফ জ্যাকেট, র‌্যাপ (ভাসমান পাত্র), অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, কম্পাস, রেডিও, প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকতে হবে। মাছ ধরার ট্রলার তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিইটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন আনোয়ারায় উপকূলের প্রায় ৬১০০ জন জেলে। উপকূলে ছোট-বড় মিলে ৯১০টি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। উপজেলা তালিকাভুক্ত ২৪০০ জন জেলের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।

নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার হয় কিনা জানতে চাইলে, উঠান মাঝির ঘাটের কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন জানান, জেলেদের প্রশিক্ষণ, লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহের উপজেলা মৎস্য বিভাগ এবং নৌ-পুলিশের নির্দেশ রয়েছে। প্রতিটি সাম্পান এবং শিপিং বোটের আমরা লাইফ জ্যাকেট,বালি ব্যবহার করি।তবে রাতের বেলায় সকল সময় নৌকায় মাঝে জেলেরা ঘুমিয়ে পড়লে জাহাড় মেরে দিলে তখন আর লাইফ জ্যাকেট পড়ার সুযোগ থাকে না। জেলের সাগরের গভীর জলে ডুবে যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশীদুল হক জানান, জেলেদের মাছ ধরা নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করানো জন্য আমরা প্রশিক্ষণ এবং আলোচনা সভা সবসময় নির্দেশ দিয়ে থাকি। অনেক সময় জেলেরা সাগরের মাছ শিকার যাওয়া সময় যারা নিয়মনীতি মেনে চলা না। তারা বেশি ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা সাগরের মাছ শিকার করার সময় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কখনো অভিযান পরিচালনা করতেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই রকম আইন এখনো হয়নি। আমরা এই রকম অভিযান পরিচালনা করেনি।

আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় মৎস্য কর্মকর্তা, কোস্ট গার্ড এবং নৌ-পুলিশের যারা আছি। মিটিং করে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করানো জন্য জেলেদের সর্তক করতেছি। সর্বস্ত সর্তকতা সাথে সাগরের যাওয়া কথা বলতেছি। সর্তক সংকেত চলাকারী সময়ে আমরা হাত মাইকিং এবং প্রতিটা ঘাটে ঘাটে গিয়ে জেলেদের সাগরে মাছ শিকার না যাওয়া জন্য সর্তক করে থাকি। জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার যে সকল নৌকা ব্যবহার করে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ দিলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ