১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

সরাইল জুমিনা বেগম হত্যা না আত্মহত্যা ?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুমিনা বেগম-(১৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ধ্রুম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। উপজেলা সদর ইউনিয়নের কুট্রাপাড়া এলাকার আলাল মিয়ার ছোট মেয়ে জুমিনা বেগমের সাথে গত এক বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইমন মিয়ার (২৭)।

এদিকে, গত ২ অক্টোবর বিকেলে পারিবারিক কলহের কারণে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে স্বামী ইমন মিয়াকে প্রধান আসামি ও শ্বাশুড়ি মোছাঃ নাজমা বেগমকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। শ্বাশুড়ি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।

নিহতের বাবা আলাল মিয়া দাবি করেন, সরাইল থানা পুলিশের সাব – ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন তরিঘরি করে কাগজে সই দিতে বলে। আমি সই দিতে না চাইলে পুলিশ আমাকে ধমক দেয় ও গালাগাল করে। পুলিশ নিজেদের ইচ্ছে মতো মামলা সাজিয়ে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমি গরীব মানুষ আমি এর সঠিক বিচার চাই।

নিহতের বড় বোন জুবিলা আক্তার বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাশের ঘরে গিয়ে আমার বোনের শরীরে দুই জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাইছি। গাল ও কানের মাঝখানে কালো দাগ ছিল, আর বুকের নিচে ডান দিকেও কালো দাগ ছিল।

সরাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, তরিঘরি করে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তারা নিজেরাই লিখে আনে,পরে ওসি স্যারের কক্ষে তারা স্বাক্ষর করে তখন আমি ছিলাম না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সরাইল জুমিনা বেগম হত্যা না আত্মহত্যা ?

প্রকাশিত : ১২:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুমিনা বেগম-(১৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ধ্রুম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। উপজেলা সদর ইউনিয়নের কুট্রাপাড়া এলাকার আলাল মিয়ার ছোট মেয়ে জুমিনা বেগমের সাথে গত এক বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইমন মিয়ার (২৭)।

এদিকে, গত ২ অক্টোবর বিকেলে পারিবারিক কলহের কারণে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে স্বামী ইমন মিয়াকে প্রধান আসামি ও শ্বাশুড়ি মোছাঃ নাজমা বেগমকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। শ্বাশুড়ি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।

নিহতের বাবা আলাল মিয়া দাবি করেন, সরাইল থানা পুলিশের সাব – ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন তরিঘরি করে কাগজে সই দিতে বলে। আমি সই দিতে না চাইলে পুলিশ আমাকে ধমক দেয় ও গালাগাল করে। পুলিশ নিজেদের ইচ্ছে মতো মামলা সাজিয়ে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমি গরীব মানুষ আমি এর সঠিক বিচার চাই।

নিহতের বড় বোন জুবিলা আক্তার বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাশের ঘরে গিয়ে আমার বোনের শরীরে দুই জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাইছি। গাল ও কানের মাঝখানে কালো দাগ ছিল, আর বুকের নিচে ডান দিকেও কালো দাগ ছিল।

সরাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, তরিঘরি করে স্বাক্ষর নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তারা নিজেরাই লিখে আনে,পরে ওসি স্যারের কক্ষে তারা স্বাক্ষর করে তখন আমি ছিলাম না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব