০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কর্ণফুলীতে আনারসের গণজোয়ারে চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরী। অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার স্বপ্ন দেখলেও তা সম্ভব হয়নি। কারণ বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। নিজ দলের, নিজ কমিটির, নিজ ইউনিয়নের অনেকেই সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে সাবেক চেয়ারম্যানসহ দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ সময়ে এসে মাহবুব আলম তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন মাঠে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। তাঁর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও শিকলবাহা ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, বড়উঠানের আরেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জুলধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক, চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমেদসহ অনেক দলীয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে আতাঁত করেছেন মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে।

এসব কারণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক চৌধুরী এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। কোনো কারণে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হলে কেন্দ্রে জবাবদিহি নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মনোনয়ন দাখিল ও দলীয় মতবিনিময় সভায় বারবার বলেছেন, ‘আপনার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন। আপনারা ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ভাইয়ের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ কিন্তু দলীয় নেতাদের তেমন কেউ মাঠে নামছেন না।

এদিকে দলীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতেন। যদি জুলধা, বড়উঠানও শিকলবাহার চেয়ারম্যানেরা প্রকাশ্যে মাঠে না নামতেন।

অন্যদিকে, ফারুক চৌধুরী গত ৫ বছরে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে রেখেছেন। ৫ বছরে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় কম থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ, গত ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারে আসীন থাকলেও ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কোন গুরুত্ব দেননি।

চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কোন উন্নয়ন প্রকল্প চাহিদা হিসেবে গ্রহণ করেননি। যদিও নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে গিয়ে চেয়ারম্যানেরা স্থানীয় লোকজনকে ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। এর একমাত্র বাধা ছিলেন ফারুক চৌধুরী। তিনি নিজ গ্রাম দক্ষিণ শাহমীরপুরে ব্যাপক প্রকল্প দিয়ে উন্নয়ন করেছেন। একের পর এক প্রকল্প দিয়ে সাজিয়েছেন নিজ বাড়ির আশেপাশের সড়কও। সে তুলনায় বাকি ইউনিয়ন গুলোর অবস্থা করুণ। এসব অভিযোগ কর্ণফুলীর একাধিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের।

নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন জানতে চাইলে বড়উঠানের ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা নৌকা বিরুদ্ধে নয়, আমরা ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, আমরা প্রার্থীর বিরুদ্ধে, আমরা হাইব্রিডের বিরুদ্ধে। যারা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ভাইদের উপর হামলা চালিয়েছিলো আমরা তাদের বিরুদ্ধে।’

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘যদি জনগণ আমাকে যোগ্য মনে করে তবে তাঁরা আমাকে সমর্থন দেবেন। পুনরায় নির্বাচিত হলে জনগণের সেবা করাটাই আমার উদ্দেশ্য হবে।’

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিগত ৬ বছরে কর্ণফুলীতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নি। যে সব উন্নয়ন দেখা যায় এ গুলো আমাদের অভিভাবক মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর উন্নয়ন। আমি কথা দিচ্ছি আগামীতে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের ক্ষতি হয় এ ধরণের কোন কাজ আমি করব না। উন্নয়নই হবে আমার প্রধান কাজ।’

পাঁচ ইউনিয়নের একাধিক ভোটারের বলছেন, ‘ভোট হবে নৌকার জন্য চ্যালেঞ্জিং। আনারসের গণজোয়ারে বেকায়দায় পড়েছে নৌকা। চলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি প্রচারণা। আবার অনেকেই বলছেন বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। যেমন-জুলধা, বড়উঠান ও শিকলবাহার জনগণই নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, শুধু তা নয়। এই তিন ইউনিয়নের লোকজনের ভোটে নির্বাচিত হবেন ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এখনো মাঠের চিত্রে এগিয়ে রয়েছেন-স্বতন্ত্র পদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ মহি উদ্দিন মুরাদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা মমতাজ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবদুল শুক্কুর বলেন, ‘কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

উল্লেখ্য, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির আহমদ (চশমা), মো. আবদুল হালিম (তালা), মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ)। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমেনা আক্তার নয়ন (কলস প্রতীক), বানাজা বেগম (হাঁস), ফারহানা মমতাজ (ফুটবল) এবং রানু আকতার (বৈদ্যুতিক পাখা) নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ৫৪ হাজার ২০০ জন। মোট ৪৫টি কেন্দ্রের ২৫০ টির উপরে বুথ কক্ষে ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

কর্ণফুলীতে আনারসের গণজোয়ারে চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা

প্রকাশিত : ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরী। অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার স্বপ্ন দেখলেও তা সম্ভব হয়নি। কারণ বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। নিজ দলের, নিজ কমিটির, নিজ ইউনিয়নের অনেকেই সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে সাবেক চেয়ারম্যানসহ দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ সময়ে এসে মাহবুব আলম তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন মাঠে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। তাঁর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও শিকলবাহা ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, বড়উঠানের আরেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, জুলধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক, চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমেদসহ অনেক দলীয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে আতাঁত করেছেন মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে।

এসব কারণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক চৌধুরী এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। কোনো কারণে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হলে কেন্দ্রে জবাবদিহি নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মনোনয়ন দাখিল ও দলীয় মতবিনিময় সভায় বারবার বলেছেন, ‘আপনার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন। আপনারা ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ভাইয়ের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ কিন্তু দলীয় নেতাদের তেমন কেউ মাঠে নামছেন না।

এদিকে দলীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতেন। যদি জুলধা, বড়উঠানও শিকলবাহার চেয়ারম্যানেরা প্রকাশ্যে মাঠে না নামতেন।

অন্যদিকে, ফারুক চৌধুরী গত ৫ বছরে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে রেখেছেন। ৫ বছরে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় কম থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ, গত ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারে আসীন থাকলেও ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কোন গুরুত্ব দেননি।

চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কোন উন্নয়ন প্রকল্প চাহিদা হিসেবে গ্রহণ করেননি। যদিও নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে গিয়ে চেয়ারম্যানেরা স্থানীয় লোকজনকে ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। এর একমাত্র বাধা ছিলেন ফারুক চৌধুরী। তিনি নিজ গ্রাম দক্ষিণ শাহমীরপুরে ব্যাপক প্রকল্প দিয়ে উন্নয়ন করেছেন। একের পর এক প্রকল্প দিয়ে সাজিয়েছেন নিজ বাড়ির আশেপাশের সড়কও। সে তুলনায় বাকি ইউনিয়ন গুলোর অবস্থা করুণ। এসব অভিযোগ কর্ণফুলীর একাধিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের।

নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন জানতে চাইলে বড়উঠানের ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা নৌকা বিরুদ্ধে নয়, আমরা ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, আমরা প্রার্থীর বিরুদ্ধে, আমরা হাইব্রিডের বিরুদ্ধে। যারা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ভাইদের উপর হামলা চালিয়েছিলো আমরা তাদের বিরুদ্ধে।’

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘যদি জনগণ আমাকে যোগ্য মনে করে তবে তাঁরা আমাকে সমর্থন দেবেন। পুনরায় নির্বাচিত হলে জনগণের সেবা করাটাই আমার উদ্দেশ্য হবে।’

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিগত ৬ বছরে কর্ণফুলীতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নি। যে সব উন্নয়ন দেখা যায় এ গুলো আমাদের অভিভাবক মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর উন্নয়ন। আমি কথা দিচ্ছি আগামীতে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের ক্ষতি হয় এ ধরণের কোন কাজ আমি করব না। উন্নয়নই হবে আমার প্রধান কাজ।’

পাঁচ ইউনিয়নের একাধিক ভোটারের বলছেন, ‘ভোট হবে নৌকার জন্য চ্যালেঞ্জিং। আনারসের গণজোয়ারে বেকায়দায় পড়েছে নৌকা। চলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি প্রচারণা। আবার অনেকেই বলছেন বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। যেমন-জুলধা, বড়উঠান ও শিকলবাহার জনগণই নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, শুধু তা নয়। এই তিন ইউনিয়নের লোকজনের ভোটে নির্বাচিত হবেন ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এখনো মাঠের চিত্রে এগিয়ে রয়েছেন-স্বতন্ত্র পদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ মহি উদ্দিন মুরাদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা মমতাজ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবদুল শুক্কুর বলেন, ‘কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

উল্লেখ্য, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির আহমদ (চশমা), মো. আবদুল হালিম (তালা), মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ)। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমেনা আক্তার নয়ন (কলস প্রতীক), বানাজা বেগম (হাঁস), ফারহানা মমতাজ (ফুটবল) এবং রানু আকতার (বৈদ্যুতিক পাখা) নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ৫৪ হাজার ২০০ জন। মোট ৪৫টি কেন্দ্রের ২৫০ টির উপরে বুথ কক্ষে ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব