সম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা জেলা হতে ৭ জন তরুণ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবরারুল হক-কে সনাক্তপূর্বক রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং গ্রেফতার করা হয়।

আবরারুল হক এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশব্যাপি নিখোঁজের চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে জড়িত সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী’র বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় পরবর্তীতে রামপুরাস্থ হাজীপাড়া এলাকা থেকে ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেফতার করা হয় গ্রেফতারকৃত ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী জানায়, সে সংগঠনের “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া” এর দাওয়া বিভাগের প্রধান সে সংগঠনের দাওয়াতি বিভাগে কাজ করতো এবং পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণের সময় কোনো জঙ্গি সদস্য অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা করতো। কোনো সদস্য হামলার শিকার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দিতো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া’র সক্রিয় ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ আব্দুল্লাহ (২২)মোঃ তাজুল ইসলাম (৩৩) মোঃ জিয়াউদ্দিন (৩৭)মোঃ হাবিবুবুল্লাহ (১৯) ও মোঃ মাহামুদুল হাসান (১৮)। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ০৩ টি মোবাইল ফোন, ফতওয়া সংক্রান্ত ১২ পাতা কাগজ উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সকলেই নব্য উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া” এর সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত মোঃ হাবিবুবুল্লাহ ও মোঃ মাহামুদুল হাসান উল্লিখিত সংগঠনের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কথিত জিহাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে নিজ নিজ বাসা ত্যাগ করে। আটককৃত আসামী আবদুল্লাহ, তাজুল ইসলাম ও জিয়াউদ্দিন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে গৃহ ত্যাগ করা নতুন সদস্যদের সাময়িক বাসস্থান ব্যবস্থা করা ও প্রাথমিক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করত।

এই সংগঠনের উদ্দেশ্য মূলতঃ জঙ্গিবাদের জন্য সদস্য রিক্রুটমেন্ট, অর্থ সংগ্রহ, সশস্ত্র সামরিক ট্রেনিং, আধুনিক অস্ত্র ক্রয়সহ বিশাল জঙ্গি বাহিনী গঠন করা। তাদের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে তারা দেশব্যাপী ২০২১ খ্রিঃ থেকে অদ্যাবধি ৭০/৮০ জন যুবককে এই সংগঠনের সদস্য করেছে। সংগঠনের উদ্দেশ্যে ছিলো পাহাড়ে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরি, নিরাপদ সামরিক ট্রেনিং, সংগঠনের উগ্রবাদী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকল্পে দেশে নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে পুনরায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যাওয়া। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ডেমরা থানায় ১টি মামলা রুজু হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব