০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কমলগঞ্জে বিদ্যুতের তারে বসলেই ছিটকে পড়ে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে পাখি 

আমাদের একটা ভুল ধারণা চালু আছে।  অনেকে ভাবেন, যেসব প্রাণি ডিম পাড়ে তাদের বৈদ্যুতিক শক লাগে না। অন্যদিকে যেসব প্রাণি বাচ্চা প্রসব করে তাদের বৈদ্যুতিক শক  লাগে। পাখিই এর বড় প্রমাণ বলে মনে করে মানুষ।  
পাখিরা অবলীলায় বিদ্যুতের তারে বসে থাকে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এলিভেন কেবি (১১ হাজার বল্ট) ‘র  লাইন টানা হয়েছে। আর এ বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে যেকোনো প্রাণিই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তবে কোন  পাখি মারা যেতে কেউ দেখেনি কখনও।
 প্রায়ই দেখা যায় বাদুড় বিদ্যুতের তারে মরে ঝুলে আছে। এ দৃশ্যই সাধারণ মানুষের ভুল ধারণাকে আরও উসকে দেয়। তারা ভাবে, বাদুড় সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে বলে বিদ্যুতের তারে বসলে মরে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর সড়ক দিয়ে নির্মিত করা হয়েছে এলিভেন কেবি। আর এই এলিভেন কেবিতে বসলেই ছিটকে মাটি পড়ে ছটফট করে মারা পড়ছে বিভিন্ন নিরীহ প্রজাতির পাখি। সম্প্রতি মাধবপুর বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এলিভেন কেবি বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পাখিরা মারা যাচ্ছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর)  সকালেও মাধবপুর বাজারে এমনি  একটি দৃশ্য দেখা যায়। একটি ফিঙে (পেচকোনা) পাখি এলিভেন কেবিতে বৈদ্যুতিক শক  খেয়ে ছিটকে মাটিতে পড়ে ছটফট করে মুহূর্তেই মারা যায়। মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাজেন ভর, জনার্ধন বর্না,সোবান মিয়া, সামছুল মিয়ারা জানান, প্রতিদিনই বৈদ্যুতিক শক লেগে দুই চার টা পাখি মারা যায়। আজ সকালেও একটি পাখি মারা গেছে পল্লিবিদ্যুতের লোকজন যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে অনেক উপকারী পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

কমলগঞ্জে বিদ্যুতের তারে বসলেই ছিটকে পড়ে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে পাখি 

প্রকাশিত : ১২:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
আমাদের একটা ভুল ধারণা চালু আছে।  অনেকে ভাবেন, যেসব প্রাণি ডিম পাড়ে তাদের বৈদ্যুতিক শক লাগে না। অন্যদিকে যেসব প্রাণি বাচ্চা প্রসব করে তাদের বৈদ্যুতিক শক  লাগে। পাখিই এর বড় প্রমাণ বলে মনে করে মানুষ।  
পাখিরা অবলীলায় বিদ্যুতের তারে বসে থাকে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এলিভেন কেবি (১১ হাজার বল্ট) ‘র  লাইন টানা হয়েছে। আর এ বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে যেকোনো প্রাণিই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তবে কোন  পাখি মারা যেতে কেউ দেখেনি কখনও।
 প্রায়ই দেখা যায় বাদুড় বিদ্যুতের তারে মরে ঝুলে আছে। এ দৃশ্যই সাধারণ মানুষের ভুল ধারণাকে আরও উসকে দেয়। তারা ভাবে, বাদুড় সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে বলে বিদ্যুতের তারে বসলে মরে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর সড়ক দিয়ে নির্মিত করা হয়েছে এলিভেন কেবি। আর এই এলিভেন কেবিতে বসলেই ছিটকে মাটি পড়ে ছটফট করে মারা পড়ছে বিভিন্ন নিরীহ প্রজাতির পাখি। সম্প্রতি মাধবপুর বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এলিভেন কেবি বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পাখিরা মারা যাচ্ছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর)  সকালেও মাধবপুর বাজারে এমনি  একটি দৃশ্য দেখা যায়। একটি ফিঙে (পেচকোনা) পাখি এলিভেন কেবিতে বৈদ্যুতিক শক  খেয়ে ছিটকে মাটিতে পড়ে ছটফট করে মুহূর্তেই মারা যায়। মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাজেন ভর, জনার্ধন বর্না,সোবান মিয়া, সামছুল মিয়ারা জানান, প্রতিদিনই বৈদ্যুতিক শক লেগে দুই চার টা পাখি মারা যায়। আজ সকালেও একটি পাখি মারা গেছে পল্লিবিদ্যুতের লোকজন যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে অনেক উপকারী পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব