০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে বাদীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় চট্টগ্রামে এবার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রাম সমস্বিত জেলা কার্যালয় ১ এ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক ফয়সল কাদির। মামলায় আসামী করা হয়েছে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত চট্টগ্রাম এর স্পেশাল মামলা নং ০৯/২০১৯ এর বাদী নুরুল আমিনকে।

সে চট্টগ্রাম জেলারআকবরশাহ্ থানার ২৭৭, জে ব্লক, কৈবলল্যধাম হাউজিং আবাসিক এলাকার মৃত মাকসুদুর রহমানের পুত্র। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, জেনে শুনে মিথ্যা মামলা করার অপরাধে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৮(১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। দুদককে এই মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে আগের মামলার আরজিতে বর্ণিত তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্নরূপে নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেশুনে মো. আবু জাহান, এস্টেট ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), কৈবল্যধাম গৃহায়ণের জন্য নগর উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চট্টগ্রামকে চাকুরির ক্ষতি ও হয়রানি করার কু-মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, চট্টগ্রাম এর স্পেশাল মামলা নং-০৯/২০১৯ দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৮(গ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, মোহাম্মদ আলী প্রকাশ মোঃ হারুন মিয়া, পিতা-মৃত কিফাত আলী, সাং-আকুবপুর, ডাক-কাশিমপুর, থানা মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা: বর্তমানে সাং-১২, সাহেব পুকুর লেইন, কোরবানীগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম এর পক্ষে নুরুল আমিন, পিতা-মৃত মাকসুদুর রহমান, সাং-২৭৭, জে-ব্লক, কৈবল্যধাম হাউজিং আ/এ, থানা- আকবরশাহ, জেলা-চট্টগ্রাম বাদী হয়ে মো. আবু জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়। বাস্তবে আবু জাহান নির্দোষ ছিলেন কিন্তু বাদী পক্ষ ছলচাতুরী করে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষী প্রমানে আবু জাহান নির্দোষ প্রমানিত হয়। ফলে মিথ্যা মামলা কওে হয়রানি ও আদালতের সময় নষ্ট করায় তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় বলা তিনি প্লটের মালিক না হয়েও ২ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ২২ লক্ষ টাকায় অবৈধ একটি চুক্তিবদ্ধ হন এবং ইতোমধ্যে সর্বমোট ২১ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন মর্মে স্ট্যাম্পের মধ্যে স্বাক্ষরপূর্বক গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে ৩৫ মাস অতিক্রান্ত হলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে ধোকা দেওয়ার জন্য এবং বিবাদী মো. আবু জাহানের সামাজিক ও অফিসিয়াল ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ট্যাগ :

চট্টগ্রামে বাদীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত : ০১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় চট্টগ্রামে এবার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রাম সমস্বিত জেলা কার্যালয় ১ এ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক ফয়সল কাদির। মামলায় আসামী করা হয়েছে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত চট্টগ্রাম এর স্পেশাল মামলা নং ০৯/২০১৯ এর বাদী নুরুল আমিনকে।

সে চট্টগ্রাম জেলারআকবরশাহ্ থানার ২৭৭, জে ব্লক, কৈবলল্যধাম হাউজিং আবাসিক এলাকার মৃত মাকসুদুর রহমানের পুত্র। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, জেনে শুনে মিথ্যা মামলা করার অপরাধে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৮(১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। দুদককে এই মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে আগের মামলার আরজিতে বর্ণিত তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্নরূপে নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেশুনে মো. আবু জাহান, এস্টেট ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), কৈবল্যধাম গৃহায়ণের জন্য নগর উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চট্টগ্রামকে চাকুরির ক্ষতি ও হয়রানি করার কু-মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, চট্টগ্রাম এর স্পেশাল মামলা নং-০৯/২০১৯ দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৮(গ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, মোহাম্মদ আলী প্রকাশ মোঃ হারুন মিয়া, পিতা-মৃত কিফাত আলী, সাং-আকুবপুর, ডাক-কাশিমপুর, থানা মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা: বর্তমানে সাং-১২, সাহেব পুকুর লেইন, কোরবানীগঞ্জ, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম এর পক্ষে নুরুল আমিন, পিতা-মৃত মাকসুদুর রহমান, সাং-২৭৭, জে-ব্লক, কৈবল্যধাম হাউজিং আ/এ, থানা- আকবরশাহ, জেলা-চট্টগ্রাম বাদী হয়ে মো. আবু জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়। বাস্তবে আবু জাহান নির্দোষ ছিলেন কিন্তু বাদী পক্ষ ছলচাতুরী করে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষী প্রমানে আবু জাহান নির্দোষ প্রমানিত হয়। ফলে মিথ্যা মামলা কওে হয়রানি ও আদালতের সময় নষ্ট করায় তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় বলা তিনি প্লটের মালিক না হয়েও ২ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ২২ লক্ষ টাকায় অবৈধ একটি চুক্তিবদ্ধ হন এবং ইতোমধ্যে সর্বমোট ২১ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন মর্মে স্ট্যাম্পের মধ্যে স্বাক্ষরপূর্বক গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে ৩৫ মাস অতিক্রান্ত হলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে ধোকা দেওয়ার জন্য এবং বিবাদী মো. আবু জাহানের সামাজিক ও অফিসিয়াল ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব