০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টবগী-১ কূপের সন্ধান, গ্যাস নিয়ে সুখবর

ভোলায় মিলল ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। দুই বছরে আরও ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে যখন বিপর্যস্ত দেশ, তখন ভোলার একটি গ্যাস কূপে ৮ হাজার ৬০ কোটি টাকার গ্যাস পেয়েছে সরকার। সংকটকালে এ গ্যাস দেশের শিল্পোৎপাদনে কাজে লাগবে। ভোলার টবগী-১ অনুসন্ধান কূপে এই গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে, প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী লিখিত তথ্য থেকে জানান, অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ ধরা হয়েছে প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট। কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় ৩০ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে। টবগী-১ কূপে গ্যাসের বর্ণিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে এ গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৬০ কোটি টাকা, যার দাম এলএনজি আমদানির মূল্য বিবেচনায় অনেক গুণ বেশি হবে।

নসরুল হামিদ জানান, আগামী বছর জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও দুটি কূপের (ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২) খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তিনটি কূপ হতে প্রতিদিন ৪৬ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে।

তবে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ভোলার গ্যাস এখনই জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে প্রসেস প্লান্ট বসাতে হবে। এজন্য অন্তত দেড় বছর সময় প্রয়োজন হবে। তা হলে অফগ্রিডের গ্যাস আনার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন স্বল্প পরিসরে গ্যাস আনা হবে। পরে স্থায়ীভাবে ভোলা-বরিশাল হয়ে পাইপলাইন করা হবে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২-২০২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে গত ১৯ আগস্ট ভোলা জেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপটি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৫২৪ মিটার গভীরতায় খননকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ও উৎপাদন হার নিরূপণে গৃহীত কারিগরি পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম ১ নভেম্বর সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে ৩২/৬৪ ইঞ্চি চোক সাইজ ব্যবহার করে ওই কূপ হতে গড়ে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ‘ফ্লো টেস্ট’ করা হয়েছে। এটি আশাব্যঞ্জক। শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড হতে টবগী-১ কূপ এলাকাটি আনুমানিক ৩ দশমিক ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আগামী ৭ নভেম্বর নাগাদ কূপটি দ্রুত উৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্যে কূপের কমপ্লিশন এবং ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২ এই দুই কূপ থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যবে বলে তিনি জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সংকট যদি আরও বেড়ে যায়, সে চিন্তা থেকেই সরকার সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী বছর কী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা এখন থেকে করা হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি যাতে না হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ভালো আছি। আমরা কিছু সাশ্রয় করছি। আমরা বিদ্যুতে সাশ্রয় করছি, গ্যাসে সাশ্রয় করছি। সবারই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা অস্বীকার করছি না। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব দেশের অবস্থাই এক। সবাই অনিশ্চয়তায়, ভবিষ্যতে কী হবে। কেউ কী জানত এই পরিস্থিতি হবে?’

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আনতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যদি এক জাহাজ গ্যাস আনা হয় তা হলে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু ওই গ্যাস দেশের বাজারে বিক্রি হবে মাত্র ৫৮ কোটি টাকায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিকল্প জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে শুরু করেছে। কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু কয়লার দামও বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এর চাইতে যেন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৫টি কূপ খনন করা হবে। এতে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের পুরনো ক্ষেত্রের উৎপাদন প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমছে। আমরা যদি ধরে নেই, আগামী কয়েক বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস কমে যাবে, তারপরও ২০ মিলিয়নের মতো গ্যাস থেকে যাবে। তবে আমরা আশাবাদী আরও দুটি স্ট্রাকচারে পিএসসির অধীনে কাজ চলছে। শেভরনকে নতুন করে ৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা কাজ করছে। এ ছাড়া আরও কিছু এলাকায় গ্যাস পাওয়া যাবে।’

‘আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের চাহিদা বেড়ে যাবে অনেক। যেভাবে আমাদের শিল্পকারখানায় চাহিদা বাড়ছে, ইকোনমিক জোন চালু হচ্ছে, আমাদের চাহিদা হয়ে যাবে অনেক। এই অবস্থায় আমাদের চেষ্টা থাকবে, নিজেদের গ্যাস ব্যবহার করে চাহিদা পূরণ করার। আমরা যদি কস্ট ইফেকটিভ প্রাইস পাই, তা হলে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে বাকিটা করতে পারব।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

টবগী-১ কূপের সন্ধান, গ্যাস নিয়ে সুখবর

প্রকাশিত : ১০:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

ভোলায় মিলল ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। দুই বছরে আরও ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে যখন বিপর্যস্ত দেশ, তখন ভোলার একটি গ্যাস কূপে ৮ হাজার ৬০ কোটি টাকার গ্যাস পেয়েছে সরকার। সংকটকালে এ গ্যাস দেশের শিল্পোৎপাদনে কাজে লাগবে। ভোলার টবগী-১ অনুসন্ধান কূপে এই গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে, প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী লিখিত তথ্য থেকে জানান, অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ ধরা হয়েছে প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট। কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় ৩০ বছর গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে। টবগী-১ কূপে গ্যাসের বর্ণিত মজুদ বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে এ গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৬০ কোটি টাকা, যার দাম এলএনজি আমদানির মূল্য বিবেচনায় অনেক গুণ বেশি হবে।

নসরুল হামিদ জানান, আগামী বছর জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও দুটি কূপের (ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২) খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তিনটি কূপ হতে প্রতিদিন ৪৬ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে।

তবে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ভোলার গ্যাস এখনই জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে প্রসেস প্লান্ট বসাতে হবে। এজন্য অন্তত দেড় বছর সময় প্রয়োজন হবে। তা হলে অফগ্রিডের গ্যাস আনার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন স্বল্প পরিসরে গ্যাস আনা হবে। পরে স্থায়ীভাবে ভোলা-বরিশাল হয়ে পাইপলাইন করা হবে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২-২০২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে গত ১৯ আগস্ট ভোলা জেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ অনুসন্ধান কূপটি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৫২৪ মিটার গভীরতায় খননকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ও উৎপাদন হার নিরূপণে গৃহীত কারিগরি পরীক্ষামূলক টেস্টিং (ডিএসটি) কার্যক্রম ১ নভেম্বর সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ পরিচালিত ডিএসটি কার্যক্রমে ৩২/৬৪ ইঞ্চি চোক সাইজ ব্যবহার করে ওই কূপ হতে গড়ে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ‘ফ্লো টেস্ট’ করা হয়েছে। এটি আশাব্যঞ্জক। শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড হতে টবগী-১ কূপ এলাকাটি আনুমানিক ৩ দশমিক ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আগামী ৭ নভেম্বর নাগাদ কূপটি দ্রুত উৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্যে কূপের কমপ্লিশন এবং ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২ এই দুই কূপ থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যবে বলে তিনি জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সংকট যদি আরও বেড়ে যায়, সে চিন্তা থেকেই সরকার সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী বছর কী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা এখন থেকে করা হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি যাতে না হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ভালো আছি। আমরা কিছু সাশ্রয় করছি। আমরা বিদ্যুতে সাশ্রয় করছি, গ্যাসে সাশ্রয় করছি। সবারই কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা অস্বীকার করছি না। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব দেশের অবস্থাই এক। সবাই অনিশ্চয়তায়, ভবিষ্যতে কী হবে। কেউ কী জানত এই পরিস্থিতি হবে?’

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আনতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যদি এক জাহাজ গ্যাস আনা হয় তা হলে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু ওই গ্যাস দেশের বাজারে বিক্রি হবে মাত্র ৫৮ কোটি টাকায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিকল্প জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে শুরু করেছে। কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কিন্তু কয়লার দামও বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এর চাইতে যেন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৫টি কূপ খনন করা হবে। এতে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের পুরনো ক্ষেত্রের উৎপাদন প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমছে। আমরা যদি ধরে নেই, আগামী কয়েক বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস কমে যাবে, তারপরও ২০ মিলিয়নের মতো গ্যাস থেকে যাবে। তবে আমরা আশাবাদী আরও দুটি স্ট্রাকচারে পিএসসির অধীনে কাজ চলছে। শেভরনকে নতুন করে ৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা কাজ করছে। এ ছাড়া আরও কিছু এলাকায় গ্যাস পাওয়া যাবে।’

‘আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের চাহিদা বেড়ে যাবে অনেক। যেভাবে আমাদের শিল্পকারখানায় চাহিদা বাড়ছে, ইকোনমিক জোন চালু হচ্ছে, আমাদের চাহিদা হয়ে যাবে অনেক। এই অবস্থায় আমাদের চেষ্টা থাকবে, নিজেদের গ্যাস ব্যবহার করে চাহিদা পূরণ করার। আমরা যদি কস্ট ইফেকটিভ প্রাইস পাই, তা হলে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে বাকিটা করতে পারব।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব