১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ভেড়ামারায় শুক্রবার দোকান বন্ধ রাখার দাবী কর্মচারীদের

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শুক্রবার দোকান বন্ধ রাখার দাবী কর্মচারী বৃন্দের। দোকান কর্মচারীর কথা না ভেবে দোকান মালিকরা শুক্রবার দোকান খোলা রাখছে। তবে দোকান মালিকরা বলছে দোকানের খরচ তুলতেই দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে এমন প্রত্যাশায় দোকান কর্মচারী বৃন্দের।

ভেড়ামারা বাজারে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকলে দোকানের কর্মচারীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করে নিতে পারে। বাস্তবে শ্রমিকদের কথা কেউ ভাবছে না। বণিক সমিতির কার্যক্রমের ওপর প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। শ্রমজীবীর নীতির কথা সপ্তাহে একদিন দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সপ্তাহে একদিন দোকান বন্ধ না থাকলে শ্রমজীবী মানুষদের উপর জুলুম করা হবে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন সপ্তাহে একদিন ছুটি দোকান শ্রমিকদের দিতে হবে। এটা তাদের ন্যায্য অধিকার।

ভেড়ামারা ডাকবাংলা সুপার মার্কেটের (বাবর আলী) সাধারণ সম্পাদক ও সাতকাহন ফ্যাশন হাউজের প্রোপাইটার ফয়জুল ইসলাম মিলন বলেন, মানুষ রোবট নয়, প্রত্যেকটা মানুষেরই সপ্তাহে ১ দিন বিশ্রাম প্রয়োজন এবং কর্মচারিদের ১ দিন ছুটি অবশ্যাম্ভাবী, দেশের সকল জায়গায় এলাকা বিশেষে ১ দিন দোকান বন্ধ থাকে। সে কারণে সপ্তাহে ১ দিন দোকান বন্ধ রাখা ও কর্মচারিদের সপ্তাহে ১ দিন ছুটি বাধ্যতামুলকভাবে দেয়া দরকার এবং মুসলিম হিসেবে শুক্রবারের দিন দোকান বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করি।

স্বস্তি সেলাই মেশিন, বড় মসজিদ গলি প্রোপাইটার মোঃ- ইসরাফিল আলম বলেন, শুক্রবার একটা দিন ছুটি দোকান কর্মচারীদের অনেক দিনের দাবি। কিছুদিন এটা বাস্তবায়ন হয়েছিল আবার কে বা কাহারা শুক্রবার দোকান খোলা রাখে কাদের নির্দেশ এগুলো করা হয়েছে জানা নাই। একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা থাকা দরকার হয় বন্ধ থাকবে অথবা সব খোলা থাকবে। খোলা থাকলে কর্মচারীদের কি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। তবে আমার দাবি শুক্রবার একটা দিন মার্কেটগুলো বন্ধ থাকুক।

শুক্রবার দোকান বন্ধ এটা দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গের সাথে দোকানদারদের বিশেষ করে কর্মচারীদের দেনদার বার হওয়া সত্ত্বেও ফলপ্রসূ কোন সিদ্ধান্ত কেউই দিতে পারেনি। এর উল্লেখিত কিছু কারণ এর মধ্যে একটি হচ্ছে বণিক সমিতি কর্তৃক সিদ্ধান্ত বন্ধের পক্ষে থাকলেও কিছু অনৈতিক ব্যবসায়ীবৃন্দ বিষয়টিকে তুচ্ছ ভেবে শুক্রবার দোকান চুপি চুপি খোলা রাখে।

পরবর্তীতে দেখা যায় এরকম কিছু অনৈতিক ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার কারণে অনেকেই খুলতে বাধ্য হয় তারপর এক সময়ে সকলেই খোলে বাক-বিতণ্ডে কেউই কিংবা ভেড়ামারার প্রত্যেকটি বণিক সমিতি জড়াতে চান না আর এই বন্ধের বিষয়টি তখন আর এত গুরুত্ব বহন করে না তারপর যা তাই আর।

বর্তমানে করোনা পরবর্তীকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের খুলতে পারলেই ভালো এ রকমই চিন্তা চেতনা নিয়ে খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু কারোর গুরুত্ব না থাকার কারণেই শুক্রবার বন্ধের গুরুত্বটা পাইনি । তবে সকল ব্যবসায়ী চান সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে সকল ব্যবসায়ীদের যদি শুক্রবার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। দোকান মালিকগণ এ বিষয়ে হয়তো দ্বিমত পোষণ করবেন না কারণ সাপ্তাহিক একটা দিন সকলেরই ব্যক্তিগত কিছু কাজকর্ম থাকে। এ বিষয়ে যদি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীগণ শক্ত হাতে দায়িত্ব নেন শুক্রবার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি তাতে ব্যবসায়ীদের এবং কর্মচারীদের সকলেরই দীর্ঘদিনের এই আশাটি পূরণ হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় শুক্রবার দোকান বন্ধ রাখার দাবী কর্মচারীদের

প্রকাশিত : ০২:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শুক্রবার দোকান বন্ধ রাখার দাবী কর্মচারী বৃন্দের। দোকান কর্মচারীর কথা না ভেবে দোকান মালিকরা শুক্রবার দোকান খোলা রাখছে। তবে দোকান মালিকরা বলছে দোকানের খরচ তুলতেই দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে এমন প্রত্যাশায় দোকান কর্মচারী বৃন্দের।

ভেড়ামারা বাজারে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকলে দোকানের কর্মচারীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করে নিতে পারে। বাস্তবে শ্রমিকদের কথা কেউ ভাবছে না। বণিক সমিতির কার্যক্রমের ওপর প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। শ্রমজীবীর নীতির কথা সপ্তাহে একদিন দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সপ্তাহে একদিন দোকান বন্ধ না থাকলে শ্রমজীবী মানুষদের উপর জুলুম করা হবে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন সপ্তাহে একদিন ছুটি দোকান শ্রমিকদের দিতে হবে। এটা তাদের ন্যায্য অধিকার।

ভেড়ামারা ডাকবাংলা সুপার মার্কেটের (বাবর আলী) সাধারণ সম্পাদক ও সাতকাহন ফ্যাশন হাউজের প্রোপাইটার ফয়জুল ইসলাম মিলন বলেন, মানুষ রোবট নয়, প্রত্যেকটা মানুষেরই সপ্তাহে ১ দিন বিশ্রাম প্রয়োজন এবং কর্মচারিদের ১ দিন ছুটি অবশ্যাম্ভাবী, দেশের সকল জায়গায় এলাকা বিশেষে ১ দিন দোকান বন্ধ থাকে। সে কারণে সপ্তাহে ১ দিন দোকান বন্ধ রাখা ও কর্মচারিদের সপ্তাহে ১ দিন ছুটি বাধ্যতামুলকভাবে দেয়া দরকার এবং মুসলিম হিসেবে শুক্রবারের দিন দোকান বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করি।

স্বস্তি সেলাই মেশিন, বড় মসজিদ গলি প্রোপাইটার মোঃ- ইসরাফিল আলম বলেন, শুক্রবার একটা দিন ছুটি দোকান কর্মচারীদের অনেক দিনের দাবি। কিছুদিন এটা বাস্তবায়ন হয়েছিল আবার কে বা কাহারা শুক্রবার দোকান খোলা রাখে কাদের নির্দেশ এগুলো করা হয়েছে জানা নাই। একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা থাকা দরকার হয় বন্ধ থাকবে অথবা সব খোলা থাকবে। খোলা থাকলে কর্মচারীদের কি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। তবে আমার দাবি শুক্রবার একটা দিন মার্কেটগুলো বন্ধ থাকুক।

শুক্রবার দোকান বন্ধ এটা দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গের সাথে দোকানদারদের বিশেষ করে কর্মচারীদের দেনদার বার হওয়া সত্ত্বেও ফলপ্রসূ কোন সিদ্ধান্ত কেউই দিতে পারেনি। এর উল্লেখিত কিছু কারণ এর মধ্যে একটি হচ্ছে বণিক সমিতি কর্তৃক সিদ্ধান্ত বন্ধের পক্ষে থাকলেও কিছু অনৈতিক ব্যবসায়ীবৃন্দ বিষয়টিকে তুচ্ছ ভেবে শুক্রবার দোকান চুপি চুপি খোলা রাখে।

পরবর্তীতে দেখা যায় এরকম কিছু অনৈতিক ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার কারণে অনেকেই খুলতে বাধ্য হয় তারপর এক সময়ে সকলেই খোলে বাক-বিতণ্ডে কেউই কিংবা ভেড়ামারার প্রত্যেকটি বণিক সমিতি জড়াতে চান না আর এই বন্ধের বিষয়টি তখন আর এত গুরুত্ব বহন করে না তারপর যা তাই আর।

বর্তমানে করোনা পরবর্তীকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের খুলতে পারলেই ভালো এ রকমই চিন্তা চেতনা নিয়ে খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু কারোর গুরুত্ব না থাকার কারণেই শুক্রবার বন্ধের গুরুত্বটা পাইনি । তবে সকল ব্যবসায়ী চান সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে সকল ব্যবসায়ীদের যদি শুক্রবার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। দোকান মালিকগণ এ বিষয়ে হয়তো দ্বিমত পোষণ করবেন না কারণ সাপ্তাহিক একটা দিন সকলেরই ব্যক্তিগত কিছু কাজকর্ম থাকে। এ বিষয়ে যদি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীগণ শক্ত হাতে দায়িত্ব নেন শুক্রবার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি তাতে ব্যবসায়ীদের এবং কর্মচারীদের সকলেরই দীর্ঘদিনের এই আশাটি পূরণ হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব