০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেষে চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা। উপজেলার পুটিমারী এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে নদী তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত হয়ে যাবে। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প। এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী এলাকার মানুষ।

মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে,উপজেলার পুটিমারী এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ফকিরেরভিটা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে ২টি জায়গায় নদীর তীর কেটে ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া ট্রলিগুলো দ্রুত পালিয়ে যায়। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে।এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,এই পয়েন্টে মাসুদ মিয়া,মিলন মিয়া ও রাশেদুল ইসলাম তাদের ভটভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে।

ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে রাজু মিয়া,আব্দুল মোত্তালেবসহ অনেকে জানান,প্রভাবশালীরা এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেলেও তাদের বলার কিছু নেই। সাংবাদিকরাও কিছু করতে পারে না। নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে,এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ সামনের গ্রামগুলি নদীতে ভেঙ্গে যাবে। ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারনসহ হুমকীর মুখে রয়েছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা।আনিছুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি জানান,জমির মালিকদেরও দোষ রয়েছে।তারা সামান্য টাকার জন্য মাটি ব্যবসায়ীদের নিকট যে পরিমান মাটি বিক্রি করেন,ব্যবসায়ীরা তার দ্বিগুন/তিনগুন মাটি কেটে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও মাটি ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী কাজলডাঙ্গা ফকিরেরভিটা গ্রামের মানুষজন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান,বিষয়টি আমি জেনেছে। সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ১২:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেষে চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা। উপজেলার পুটিমারী এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে নদী তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত হয়ে যাবে। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প। এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী এলাকার মানুষ।

মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে,উপজেলার পুটিমারী এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ফকিরেরভিটা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে ২টি জায়গায় নদীর তীর কেটে ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া ট্রলিগুলো দ্রুত পালিয়ে যায়। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে।এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,এই পয়েন্টে মাসুদ মিয়া,মিলন মিয়া ও রাশেদুল ইসলাম তাদের ভটভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে।

ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে রাজু মিয়া,আব্দুল মোত্তালেবসহ অনেকে জানান,প্রভাবশালীরা এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেলেও তাদের বলার কিছু নেই। সাংবাদিকরাও কিছু করতে পারে না। নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে,এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ সামনের গ্রামগুলি নদীতে ভেঙ্গে যাবে। ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারনসহ হুমকীর মুখে রয়েছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা।আনিছুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি জানান,জমির মালিকদেরও দোষ রয়েছে।তারা সামান্য টাকার জন্য মাটি ব্যবসায়ীদের নিকট যে পরিমান মাটি বিক্রি করেন,ব্যবসায়ীরা তার দ্বিগুন/তিনগুন মাটি কেটে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও মাটি ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী কাজলডাঙ্গা ফকিরেরভিটা গ্রামের মানুষজন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান,বিষয়টি আমি জেনেছে। সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব